"দেখার কথা, কী দেখছি
কী শোনার কথা, কী শুনছি
কী ভাবার কথা, কী ভাবছি
কী বলার কথা, কী বলছি"....শিল্পী হায়দার হোসাইনের এই গানের কথা দিয়েই বাস্তবতা তুলে ধরতে হচ্ছে!
স্বৈরাচারী শাসক শেখ হাসিনা নির্লজ্জভাবে তার অবৈধ ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার জন্য নিয়ম বিরোধী, আইন বিরোধী সকল কুকাম করেছে। প্রশাসনে পদ খালি খালি না থাকার পরেও মেধাবীদের বাদ দিয়ে পদ লেহী অযোগ্য, দুর্নীতিপরায়ণ, দলীয় ক্যাডারদের প্রমোশন দিয়ে মাথা ভাড়ী প্রশাসন প্রশাসন তৈরী করেছে। সকল বাহিনী প্রধান, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান থেকে শুরু করে সাংবিধানিক সংস্থার শীর্ষ পদে যাদেরকে বসিয়েছে- তাদের বেশীরভাগেরই সেইসব সংস্থার তৃতীয় গ্রেডের অফিসার হবার যোগ্যতাও নাই।
ছাত্রজনতার গণ আন্দোলনে স্বৈরাচার সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার রাষ্ট্র সংস্কার করতে সেই স্বৈরশাসকের রেখে যাওয়া দুর্নীতিবাজ চর্ব্য, চোষ্য, লেহ্য পেয়দের নিয়েই প্রশাসন চলছে, এমনকি কয়েকজন উপদেষ্টাও স্বৈরশাসকের দোসর ছিলো। আকন্ঠ দুর্নীতিতে নিমজ্জিত পুলিশ বাহিনীর কতিপয় অফিসার পালিয়ে যাওয়ায় সেইসব যায়গায় যাদেরকে বসিয়েছে- তাদের রেকর্ডও তেমন স্বচ্ছ নয়। পুলিশ বাহিনীর চালিকাশক্তি থানার ওসি, জেলার এসপি এবং ডি আই জি রেঞ্জ....এদের অনেকেই এক স্থান থেকে অন্য স্থানে বদলী করা হয়েছে- তাতে কি তাদের স্বভাবের পরিবর্তন হবে? প্রশাসনের সূতিকাগার ইউএনও রা বহাল তবিয়তে আছে। পরিবর্তন হয়নি এসি ল্যান্ড, সাবরেজিস্টার কারোর।
যেহেতু আমাদের গোয়েন্দা বাহিনী সেই স্বৈরাচারেরই রেখে যাওয়া সেট আপ, তাই তারা বর্তমান প্রশাসনকে সঠিক তথ্য দিবে না। পুলিশের অন্তত শ'দেড়েক গুরুত্বপূর্ন অফিসার এখনো পালিয়ে আছে- ওদের হাতে থানা থেকে লুট হয়ে যাওয়া সকল অস্র গোলাবারুদ আছে। শেখ হাসিনার আমলে লীগের গুণ্ডা বাহিনীর হাতে ৫০ হাজার অস্ত্রের লাইসেন্স দিয়েছে এবং লক্ষ লক্ষ অবৈধ অস্র ওদের হাতে আছে- যারা লুকিয়ে থাকলেও অপকর্ম করতে সক্রিয়। ওরা যেকোনো সময়ে ন্যাশনাল গ্রিডে বিপর্যয় ঘটিয়ে দেশটাকে অন্ধকার করে দিয়ে চরম বিশৃঙ্খলা তৈরি করতে পারে। ওয়াসার পানিতে বিষ মিশিয়ে বড়ো রকম ধ্বংশাত্মক কাজ করতে পারে। ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট এবং বড় পাম্পগুলো ক্ষতি করতে পারে। যভাবে মেট্রোরেল, সেতু ভবন, দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা ভবন ধ্বংশ করেছিলো তেমনি ভাবে ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটানোর সমুহ সম্ভাবনা আছে। সী পোর্ট অচল করে দিতে পারে।
পিলখানায় বিডিআর ম্যাচাকারে যারা সরাসরি জড়িত ছিলো- তারা অনেকেই এখন মেজর থেকে মেজর জেনারেল হয়ে চাকরি করছে। কেউ কেউ লে: জেনারেল, জেনারেল হয়েছে, এমনকি সেনা প্রধান হয়েছে! র্যাব পুলিশের যেসব অফিসার আমাদেরকে গুম করে শারীরিক নির্যাতন নিপীড়ন করে চিরদিনের জন্য পংগু করে দিয়েছে- তারাও বহাল তবিয়তে আছে। আমাকে যারা গুম করে শারীরিক নির্যাতন করেছে- ততকালীন র্যাব-১০ এর কোম্পানি কমান্ডার এখন এসপি এবং এডিশনাল ডি আইজি হবার সিরিয়ালে, আমাকে শারিরীক নির্যাতন করে পংগু করে দেওয়া দুই এস আই এখন ওসি, সিও সাহেব এখন ডি আই জি!
অন্যদিকে, আমরা নির্যাতিত নিপীড়িত আমজনতা যে তিমিরে ছিলাম- সেখানেই আছি।
হয়তো আমৃত্যু এভাবেই চলবে.....
আমাদের ভরসা- হাসবুনাল্লাহু ওয়া নি মাল ওয়াকিল, নি মাল মাওলা ওয়া নি মান নাসির
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে আগস্ট, ২০২৪ সকাল ১১:২১