টু ইন ওয়ান.......
একটা ড্রাম আড়াআড়ি ভাবে কাটিয়ে দুই ভাগ করে একভাগে কলমি, পুঁইশাক, কচু চাষ করতাম। কলমি, পুঁইশাক এর সাথে কচু শাক তেমন বাড়তো না। গতবছর বাজার থেকে গুড়ো কচুর মুখি কিনে খারাপগুলো টবে ফেলেছিলাম জৈবসার হিসেবে। কিছুদিন পর সেগুলোতে চারা গজায়। তা দেখে আবারও কিছু গুড়ো কচুর মুখি কিনে ২০০ গ্রাম পরিমাণ একটা ড্রামে ছড়িয়ে ছিটিয়ে দেই কচুর শাক হবে সেই আশায়।
যথা নিয়মে কচুর চারা বড়ো হলে মাঝেমধ্যে কচুর শাক তুলে নিতাম। এবছর বর্ষার সিজন শেষ হতে হতে সব কচুচারা মরে যায়। অন্য চারাগাছ লাগাতে মাটি তুলে প্রস্তুত করতে যেয়ে দেখি মাটির মধ্যে তিন কেজি পরিমাণ খুব উন্নত মানের কচুর মুখি!

আমাদের ছাদ বাগানে পেঁপে, পেয়ারা, লাউ, ধুন্দল, শীম, মরিচ, বেগুন ছাড়াও অন্যান্য শাকসবজী চাষ করেন আমার কিষাণী বৌ। তিনিই পরিচর্যা করেন, সহযোগী সংগী নাতনি। ছাদ বাগানের কোনো গাছ-সব্জিতেই রাসায়নিক সার প্রয়োগ করা হয়না। রান্নার শাকসবজীর বর্জ্য, চা পাতা, ডিমের খোসা ইত্যাদি ব্যবহার করা হয়।

আমি গাছ লাগাই না, শুধু ফল তুলি- যেমন আজও নাতনিকে নিয়ে গাছ পাকা পেঁপে পেড়েছি পাঁচটা, মরিচ তুলেছি।
আবার আজই নার্সারি থেকে কিছু চারাগাছ এনেছি.... কিষাণী বললেন- "তুমি গাছগুলো টবে লাগাও।"
আমি কৌশল করে বললাম- তোমার হাতে ফলন ভালো হয়, তুমিই চারাগুলো রোপণ করো....
তিনি যা বোঝার তা বুঝিছেন!

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



