বইমেলা, বই কেনা....
৩০০ বছর পূর্বে Joseph Addison
বলে গিয়েছেন -"Reading is to the mind what exercise is to the body.”
আর বর্তমান মডার্ন সায়েন্স গবেষণার দ্বারা এই কথাটির সত্যতা প্রমাণ করেছে- 'ব্যায়াম যেমন আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখে তেমনি বই পড়ার মধ্য দিয়ে আমরা আমাদের মনকে সুস্থ ও আনন্দিত রাখতে পারে। একটি ভালো বই মানুষের মনশ্চক্ষু যেমন খুলে দেয় তেমনি জ্ঞান ও বুদ্ধিকে প্রসারিত ও বিকশিত করে মনের আলো জ্বালাতে সাহায্য করে'।
বই-ই হচ্ছে মানুষের শ্রেষ্ঠ সম্পদ। যার সাথে পার্থিব কোনো সম্পদের তুলনা হতে পারে না। একদিন হয়তো পার্থিব সব সম্পদ বিনষ্ট হয়ে যাবে, কিন্তু একটি ভালো বই থেকে প্রাপ্ত জ্ঞান কখনও নিঃশেষ হবে না, তা আজীবন হৃদয়ে জ্ঞানের প্রদীপ জ্বালিয়ে রাখবে।
গত পনেরো বছর বই মেলা ছিলো অনেকটাই আওয়ামী দূর্গ। ভয়ে ভয়ে মেলায় যেয়ে বই মেলা থেকে বই কিনেছি। পড়েছিও অনেক। পড়ার পর মনে হয়েছে যে, বেশীর ভাগ বই পড়ে সময় নষ্ট, অর্থ নষ্ট এবং মনের কষ্ট লালন করা ছাড়া কিছু শেখার ও পাওয়ার নেই।
এ এক বড়ো বেদনার বিষয়। আশা থাকে বই পড়ে পড়ে মন ভরাবো, একটা ভালো মানের বিনোদন পাবো। কিন্তু বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই প্রত্যাশা পূরণ হয় না, উল্টো হতাশা, মনের কষ্ট ও অর্থ নষ্ট ….।
তাই এবারের বই মেলায় বই কেনার আগে অনেক অনেক চিন্তা ভাবনা করতে হবে দেখছি। এদেশে বই বের করার জন্য নূন্যতম কোনো যাচাই বাছাই প্রক্রিয়া নেই। টাকা দাও প্রকাশককে আর বই প্রকাশ করো। ছাড়ো মাল..আর লেখক বনে যাও।
কী যে করুণ অবস্থা! আর বাংলা একাডেমি! তাদের কী যে কাজ তা খোদ বাংলা একাডেমির লোকেরাও জানে না। তারা বসে বসে আঙ্গুল চোষে ও মেলার ষ্টল থেকে কত টাকা পেল তা গনণায় ব্যস্ত থাকে। আরো দুঃখের বিষয় হলো, এই অবস্থা থেকে মুক্তির জন্য কারো কোনো ধরণের গরজ নেই। অবশ্য থাকবেই বা কেন? দেশের সংস্কৃতি ও শিল্প-সাহিত্য রসাতলে গেলে তাদের কি-ইবা যায় আসে..তাদের বেতন ভাতা, কামে- আকামের সম্মানীতো পেয়েই যাচ্ছে!

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


