৩৬ জুলাই আন্দোলনে জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশনের তদন্ত রিপোর্টের সারাংশ.....
৩৬ জুলাই আন্দোলনে জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের ১৪২ পৃষ্ঠার রিপোর্ট পড়লাম। লেডি হিটলারের গণহত্যা কিম্বা মানবাধিকার নিয়ে তদন্তের বিষয়ে না বলি। তবে জাতিসংঘের প্রতিবেদন অনুযায়ী ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার সরকার পতনে ছাত্রদের সাথে আগে-পরে বিএনপি এবং জামায়াত ভূমিকা কি ছিল- সেই বিষয়ে
জাতিসংঘ মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয়ের (OHCHR) তথ্য-উদ্ধার প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ এর সারাংশ তুলে ধরছিঃ-
বিএনপি (BNP) ২০২৪ সালের বিক্ষোভে বেশি গুরুত্বপূর্ণ ও সংগঠিত ভূমিকা পালন করেছে, যেখানে জামায়াতে ইসলামী (Jamaat-e-Islami) তুলনামূলকভাবে সীমিত ও বিচ্ছিন্নভাবে জড়িত ছিল।
১. বিএনপির ভূমিকা অধিক গুরুত্বপূর্ণ ও সংগঠিতঃ
বিএনপি সরকারবিরোধী আন্দোলনকে বেগবান করার জন্য ছাত্র আন্দোলনকে সমর্থন দেয় এবং জাতীয় পর্যায়ে বিক্ষোভের ডাক দেয়।
২৬ জুলাই, ২০২৪ তারিখে বিএনপি “জাতীয় ঐক্যের” আহ্বান জানায় এবং সকল গণতান্ত্রিক দল, সামাজিক সংগঠন ও কর্মীদের শেখ হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে একত্রিত হতে বলে।
৫ আগস্ট, ২০২৪ তারিখে “মার্চ অন ঢাকা” কর্মসূচিতে বিএনপির উল্লেখযোগ্য অংশগ্রহণ ছিল, যা সরাসরি শেখ হাসিনার পদত্যাগের পথ প্রশস্ত করে।
সরকার বিশেষভাবে বিএনপি'র নেতা ও কর্মীদের টার্গেট করে দমন-পীড়ন চালায়, যার মধ্যে গণগ্রেপ্তার, নির্যাতন এবং রাজনৈতিক দমননীতি অন্তর্ভুক্ত ছিল।
OHCHR- এর মূল্যায়ন অনুযায়ীঃ
* বিএনপি প্রতিবাদকে রাজনৈতিক আন্দোলনে রূপান্তর করে এবং সরকারের পতনের দাবিকে জোরালো করে।
* বিএনপি আন্দোলনের প্রধান উদ্যোক্তা ছিল না (ছাত্ররাই আন্দোলন প্রধান ভূমিকা রেখেছে), তবে এটি প্রতিবাদকে সকল শ্রেণীর মানুষকে সম্পৃক্ত করে জাতীয় পর্যায়ে ছড়িয়ে দেয় এবং সরকারবিরোধী শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ করে।
২. জামায়াতে ইসলামী’র ভূমিকা তুলনামূলকভাবে কম গুরুত্বপূর্ণ ও বিচ্ছিন্ন ছিলো। জামায়াতে ইসলামীও বিক্ষোভকে সমর্থন জানায় এবং তাদের কর্মীদের অংশ নিতে উৎসাহিত করে, তবে তারা আন্দোলনের প্রকাশ্যে নেতৃত্বে ছিল না।
কিছু জামায়াত সদস্য সহিংসতায় জড়িত হয়, বিশেষত আওয়ামী লীগের কর্মী ও পুলিশের বিরুদ্ধে প্রতিশোধমূলক আক্রমণে।
যদিও OHCHR-এর তদন্তে প্রমাণ পাওয়া যায়নি যে জামায়াতের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব এই বিক্ষোভ সংগঠিত করেছে বা সহিংসতা পরিচালনা করেছে।
৩০ জুলাই, ২০২৪ তারিখে সরকার জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে এবং তাদের সদস্যদের ব্যাপকভাবে গ্রেপ্তার করে, যা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত পদক্ষেপ হিসেবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে।
OHCHR-এর মূল্যায়ন অনুযায়ীঃ
* জামায়াতের ভূমিকা গৌণ ছিল, প্রধানত বিক্ষিপ্ত সদস্যদের অংশগ্রহণ ও স্থানীয় পর্যায়ের কিছু সহিংসতার মধ্যে সীমাবদ্ধ।
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ২:৩৫

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



