
* ডিসেম্বরের মধ্যে নিরপেক্ষ নির্বাচনের প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।
* তিনি বলেছেনঃ ''আজকে একটা কথা পরিষ্কার করে বলতে চাই। আমার অন্য কোনো আকাঙ্ক্ষা নাই, একটাই আকাঙ্ক্ষা, দেশ ও জাতিকে সুন্দর জায়গায় রেখে সেনা নিবাসে ফেরত আসব।"
* তিনি বলেছেনঃ "আজকে পুলিশ সদস্য কাজ করছে না। কারণ তাদের অনেকেই জেলে। র্যাব, বিজিবি প্যানিকড। দেশের শান্তিরক্ষার দায়িত্ব শুধু সেনাবাহিনীর না। আনসার বাহিনী আছে। ৩০ হাজার সেনাবাহিনী সদস্য নিয়ে আমরা কীভাবে করব?"
* "আমার মনে হয় আমরা নির্বাচনের দিকেই ধাবিত হচ্ছি, ১৮ মাসের কথা বলেছিলাম। ডিসেম্বরের মধ্যে একটা সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন প্রত্যাশা করছি।"
* ''সবাইকে এক থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, হানাহানি না করে দিন শেষে দেশ ও জাতির দিকে খেয়াল করে এক থাকতে হবে। যদি নিজেরা কাদা ছোড়াছুড়ি করেন, দেশ ও জাতির সার্বভৌমত্ব বিপন্ন হবে।"
* 'আমি সতর্ক করে দিচ্ছি, পরে বলতে পারবেন না যে সতর্ক করিনি। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস যতটুকু পারছেন সাহায্য করছেন দেশকে ইউনাইটেড রাখার।"
* ওয়াকার-উজ-জামান বলেন, "সেনাবাহিনীর ওপর আক্রমণ করবেন না। সেনাবাহিনী এবং সেনাপ্রধানের প্রতি বিদ্বেষ কারো কারো, কী কারণে জানি না। আমাদের সাহায্য করেন, আক্রমণ নয়। আমাদের উপদেশ দেন, আমি সবার কাছে স্মরণাপন্য হই, আমরা ভালো উপদেশ গ্রহণ করব, আমরা এক থাকতে চাই, দেশ ও জাতিকে আমরা রক্ষা করতে চাই।"
* "একটা অরাজক পরিস্থিতির মধ্যে বিরাজ করছি, অপরাধীরা এর সুযোগ নিচ্ছে"- বলেও জানান তিনি।
দেশে এতো যে বিশৃঙ্খলা তা জেনারেল ওয়াকারের কথার অনেকটাই মেনে নেয়া উচিত। কিন্তু আমি তার কথা পুরোপুরি ভালোভাবে নিতে পারছিনা। তার বক্তব্যে উপদেশ, কি উচিত কি উচিত না, এইসব নিয়ে কিছু জরুরী আলাপ থাকলেও প্রচ্ছন্ন কিছু একটা যে আছে, সেটা উপেক্ষা করতে পারছিনা!
সার্বভৌমত্ব নিয়ে সমস্যা হলে দেশের সহস্রবাহিনী আছে, তারা কি করছে যে সার্বভৌমত্ব নিয়ে কেউ টানাটানি করার এতো সহজ সাহস পায়? কিকরে পায়? আবার আপনি তা কিকারণে সতর্ক ভঙ্গিতে ভয় হিসেবে সাধারণের ভেতর ইন্সটল করতে চাইছেন? কেন? ইট ডাজন্ট এলাইন প্রপারলি....কোথাও সমস্যা আছে।
পরাজিত শক্তি মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে চাইছে বারবার, এদেরকে দমন করেন শক্ত হাতে। এমনকি কেউ কোন বাহিনীর ওপর আক্রমণ করার সাহস দেখালে যে ই হোক তাদেরকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেন, সারাজীবনের শিক্ষা দেয়ার ব্যবস্থা করেন- যেন কেউ চেইন অব কমান্ড ভাঙার সাহস না পায়।
আইন শৃঙ্ক্ষলা রক্ষা করার দায়িত্ব প্রাথমিক ভাবে পুলিশের। সরকার সেই জায়গায় সবার আগে সংস্কার করুক। আমরা তো হাসিনাবাহিনী, সে পুলিশেরই হোক বা তিনবাহিনীতে হোক, বদল চাই, অন্যায়কারীদের বিচার চাই।
সে যে ই হোক; অন্যায় করেছে কিন্তু "এখন তারা ভয়ে আছে, চাপে আছে, তদন্তে আছে…'- এই কথাগুলো কোনভাবেই আলোচনায় আসা উচিত না। তো সেজন্য তাই তারা সহযোগিতা করছেনা? তাদেরকে বলতে হবে, ‘যা করেছেন, ভুলে যান, রিল্যাক্স, মাস্তি করেন, আসেন কাজ করেন?’ আশ্চর্য্য!
আই ডোন্ট গেট ইট। আমরা তো ওদের বিচার চাই। সরকার ঢেলে সাজাক। দেশে শিক্ষিত বেকারের অভাব নাই- নতুন নিয়োগ হোক।
আবার একইসঙ্গে বিএনপি/জামাত/ কিছু ছাত্রসমন্বয়কদের ভেতরে যে অগ্রহণযোগ্য কোন্দল চলছে, সেই বিশ্রী অবস্থা থেকে দেশের ও দেশের মানুষের আসলেই মুক্তি দরকার।
ইট হ্যাজ গন বিয়ন্ড লিমিটস! এটার যে ডেফিনিট বেনিফিশিয়ারি শত্রুপক্ষ, সেটা বুঝতে কারোরই বৈজ্ঞানিক হওয়া লাগেনা। অথচ এরা সেটা দেখতে পাচ্ছে!
আমরা বরং রাজনৈতিক দল ও পক্ষগুলিকে আহ্বান জানাই, ‘মাইন্ড ইওরস’ মন্ত্র নিয়ে কে কতোটা দেশ রক্ষায় একটিভ থাকতে পারে, সে বিষয়ে। কারা কারা সরাসরি ঘটমান সন্ত্রাস, সহিংসতা রুখতে সরকারকে উপদেশ ও সরাসরি সহযোগিতা করতে পারে, কতটা করতে পারে।
যারা সমাজও দেশকে নিরাপদ রাখতে সর্বোচ্চ ডেডিকেশন নিয়ে কাজ করবে, তাদেরকেই মানুষ নেতা বানাবে, শুধু দলীয় বক্তৃতা আর একে অন্যরে সাথে কে কতটা ক্ল্যাশ-সফল, তা দেখে না। সবকিছু যতোটা সহজ দেখায়, ততোটা নয়। এটা একটা প্রাইম টাইম- যে জিতবে সেই টিকবে।
দৃঢ়ভাবে বলতে চাই-
আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি- বি ডি আর হত্যাকারীরা অবশ্যই বি ডি আর সদস্যরা। কিন্তু নেপথ্যে কলকাঠি নাড়িয়েছে আওয়ামী লীগ। আমরা বিডিআর ম্যাসাকারের বিচার চাই।
** ভালোর মধ্যে মন্দঃ
(১) ডক্টর ইউনুস সরকার প্রধান, বিশ্ববরেণ্য সম্মানীয় ব্যক্তিত্ব, তাকে একটু সম্মান করে সম্বোধন করা উচিৎ ছিলো।
(২) অমন হুমকি ধামকি শেখ হাসিনাও দিয়েছে......সবাই কিন্তু ভয় পায়না।
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ৯:৫২

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




