somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

জুল ভার্ন
এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস...খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে...কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়।আমার অদক্ষ কলমে...যদি পারো ভালোবেসো তাকে...ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে,যে অকারণে লিখেছিল মানবশ্রাবণের ধারা....অঝোর

সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার উজ্জামান এর বক্তব্য পর্যালোচনা....

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ৯:৫২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার উজ্জামান এর বক্তব্য পর্যালোচনা....


* ডিসেম্বরের মধ্যে নিরপেক্ষ নির্বাচনের প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।

* তিনি বলেছেনঃ ''আজকে একটা কথা পরিষ্কার করে বলতে চাই। আমার অন্য কোনো আকাঙ্ক্ষা নাই, একটাই আকাঙ্ক্ষা, দেশ ও জাতিকে সুন্দর জায়গায় রেখে সেনা নিবাসে ফেরত আসব।"

* তিনি বলেছেনঃ "আজকে পুলিশ সদস্য কাজ করছে না। কারণ তাদের অনেকেই জেলে। র‍্যাব, বিজিবি প্যানিকড। দেশের শান্তিরক্ষার দায়িত্ব শুধু সেনাবাহিনীর না। আনসার বাহিনী আছে। ৩০ হাজার সেনাবাহিনী সদস্য নিয়ে আমরা কীভাবে করব?"

* "আমার মনে হয় আমরা নির্বাচনের দিকেই ধাবিত হচ্ছি, ১৮ মাসের কথা বলেছিলাম। ডিসেম্বরের মধ্যে একটা সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন প্রত্যাশা করছি।"

* ''সবাইকে এক থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, হানাহানি না করে দিন শেষে দেশ ও জাতির দিকে খেয়াল করে এক থাকতে হবে। যদি নিজেরা কাদা ছোড়াছুড়ি করেন, দেশ ও জাতির সার্বভৌমত্ব বিপন্ন হবে।"

* 'আমি সতর্ক করে দিচ্ছি, পরে বলতে পারবেন না যে সতর্ক করিনি। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস যতটুকু পারছেন সাহায্য করছেন দেশকে ইউনাইটেড রাখার।"

* ওয়াকার-উজ-জামান বলেন, "সেনাবাহিনীর ওপর আক্রমণ করবেন না। সেনাবাহিনী এবং সেনাপ্রধানের প্রতি বিদ্বেষ কারো কারো, কী কারণে জানি না। আমাদের সাহায্য করেন, আক্রমণ নয়। আমাদের উপদেশ দেন, আমি সবার কাছে স্মরণাপন্য হই, আমরা ভালো উপদেশ গ্রহণ করব, আমরা এক থাকতে চাই, দেশ ও জাতিকে আমরা রক্ষা করতে চাই।"

* "একটা অরাজক পরিস্থিতির মধ্যে বিরাজ করছি, অপরাধীরা এর সুযোগ নিচ্ছে"- বলেও জানান তিনি।

দেশে এতো যে বিশৃঙ্খলা তা জেনারেল ওয়াকারের কথার অনেকটাই মেনে নেয়া উচিত। কিন্তু আমি তার কথা পুরোপুরি ভালোভাবে নিতে পারছিনা। তার বক্তব্যে উপদেশ, কি উচিত কি উচিত না, এইসব নিয়ে কিছু জরুরী আলাপ থাকলেও প্রচ্ছন্ন কিছু একটা যে আছে, সেটা উপেক্ষা করতে পারছিনা!

সার্বভৌমত্ব নিয়ে সমস‍্যা হলে দেশের সহস্রবাহিনী আছে, তারা কি করছে যে সার্বভৌমত্ব নিয়ে কেউ টানাটানি করার এতো সহজ সাহস পায়? কিকরে পায়? আবার আপনি তা কিকারণে সতর্ক ভঙ্গিতে ভয় হিসেবে সাধারণের ভেতর ইন্সটল করতে চাইছেন? কেন? ইট ডাজন্ট এলাইন প্রপারলি....কোথাও সমস‍্যা আছে।

পরাজিত শক্তি মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে চাইছে বারবার, এদেরকে দমন করেন শক্ত হাতে। এমনকি কেউ কোন বাহিনীর ওপর আক্রমণ করার সাহস দেখালে যে ই হোক তাদেরকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেন, সারাজীবনের শিক্ষা দেয়ার ব‍্যবস্থা করেন- যেন কেউ চেইন অব কমান্ড ভাঙার সাহস না পায়।

আইন শৃঙ্ক্ষলা রক্ষা করার দায়িত্ব প্রাথমিক ভাবে পুলিশের। সরকার সেই জায়গায় সবার আগে সংস্কার করুক। আমরা তো হাসিনাবাহিনী, সে পুলিশেরই হোক বা তিনবাহিনীতে হোক, বদল চাই, অন্যায়কারীদের বিচার চাই।
সে যে ই হোক; অন‍্যায় করেছে কিন্তু "এখন তারা ভয়ে আছে, চাপে আছে, তদন্তে আছে…'- এই কথাগুলো কোনভাবেই আলোচনায় আসা উচিত না। তো সেজন‍্য তাই তারা সহযোগিতা করছেনা? তাদেরকে বলতে হবে, ‘যা করেছেন, ভুলে যান, রিল‍্যাক্স, মাস্তি করেন, আসেন কাজ করেন?’ আশ্চর্য‍্য!
আই ডোন্ট গেট ইট। আমরা তো ওদের বিচার চাই। সরকার ঢেলে সাজাক। দেশে শিক্ষিত বেকারের অভাব নাই- নতুন নিয়োগ হোক।

আবার একইসঙ্গে বিএনপি/জামাত/ কিছু ছাত্রসমন্বয়কদের ভেতরে যে অগ্রহণযোগ্য কোন্দল চলছে, সেই বিশ্রী অবস্থা থেকে দেশের ও দেশের মানুষের আসলেই মুক্তি দরকার।
ইট হ‍্যাজ গন বিয়ন্ড লিমিটস! এটার যে ডেফিনিট বেনিফিশিয়ারি শত্রুপক্ষ, সেটা বুঝতে কারোরই বৈজ্ঞানিক হওয়া লাগেনা। অথচ এরা সেটা দেখতে পাচ্ছে!

আমরা বরং রাজনৈতিক দল ও পক্ষগুলিকে আহ্বান জানাই, ‘মাইন্ড ইওরস’ মন্ত্র নিয়ে কে কতোটা দেশ রক্ষায় একটিভ থাকতে পারে, সে বিষয়ে। কারা কারা সরাসরি ঘটমান সন্ত্রাস, সহিংসতা রুখতে সরকারকে উপদেশ ও সরাসরি সহযোগিতা করতে পারে, কতটা করতে পারে।
যারা সমাজও দেশকে নিরাপদ রাখতে সর্বোচ্চ ডেডিকেশন নিয়ে কাজ করবে, তাদেরকেই মানুষ নেতা বানাবে, শুধু দলীয় বক্তৃতা আর একে অন‍্যরে সাথে কে কতটা ক্ল‍্যাশ-সফল, তা দেখে না। সবকিছু যতোটা সহজ দেখায়, ততোটা নয়। এটা একটা প্রাইম টাইম- যে জিতবে সেই টিকবে।

দৃঢ়ভাবে বলতে চাই-
আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি- বি ডি আর হত্যাকারীরা অবশ্যই বি ডি আর সদস্যরা। কিন্তু নেপথ্যে কলকাঠি নাড়িয়েছে আওয়ামী লীগ। আমরা বিডিআর ম‍্যাসাকারের বিচার চাই।

** ভালোর মধ্যে মন্দঃ
(১) ডক্টর ইউনুস সরকার প্রধান, বিশ্ববরেণ্য সম্মানীয় ব্যক্তিত্ব, তাকে একটু সম্মান করে সম্বোধন করা উচিৎ ছিলো।

(২) অমন হুমকি ধামকি শেখ হাসিনাও দিয়েছে......সবাই কিন্তু ভয় পায়না।
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ৯:৫২
৩৪টি মন্তব্য ৩৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বাকশাল নিয়ে কুৎসা রটনাকারিদের জন্য॥

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৫৯



গ্রীক দার্শনিক প্লোটো, অ্যারিস্টটল, ফার্সি এজমালি সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্রের স্বপ্ন দেখতেন। বঙ্গবন্ধুর ফিলোসফির একটি শাখা হচ্ছে সমাজতন্ত্র। এরিস্টটল পোয়েটিকস লিখেছেন আর বঙ্গবন্ধু লিখেছেন আমার দেখা নয়া চীন ও কারাগারের রোজনামচা।

ফ্রাঁসোয়া... ...বাকিটুকু পড়ুন

হামিদুর রহমান কমিশন রিপোর্ট: পাকিস্তান সেনাবাহিনীর নিজদের লেখা নারকীয়তার স্বীকারোক্তি

লিখেছেন কিরকুট, ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১:১৫




একাত্তরের নারী নির্যাতন আজ অনেকের কাছেই বিতর্ক , কারণ তারা বিশ্বাস করতে চায় না যে একটি রাষ্ট্রের সেনাবাহিনী এতটা নৃশংস হতে পারে। কিন্তু ইতিহাসের সবচেয়ে নির্মম সত্য হলো: পাকিস্তানের... ...বাকিটুকু পড়ুন

আজকের ডায়েরী- ১৭১

লিখেছেন রাজীব নুর, ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:২৬



মানুষ দুনিয়াতে ন্যাংটা আসে।
ধীরে ধীরে বড় হয়। যোগ্যতা দক্ষতা এবং জ্ঞান অর্জন করে। তারপর ইনকাম শুরু করে। সমাজের বহু মানুষ প্রয়োজনের চেয়ে বেশি টাকা ইনকাম করে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

হত্যাকাণ্ড বন্ধে কেন ম্যাজিক জানা জরুরি ?

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:৪৪


জাতি হিসাবে আমরা বড়োই অভাগা। ইতিহাসের মঞ্চে রাজা বদল হয়, কিন্তু চিত্রনাট্য বদল হয় না। এক রাজা যায়, আরেক রাজা আসে; কিন্তু পর্দার পেছনের কলকাঠি নাড়া সেই একই হাত।... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্মীয় উগ্রবাদ ও জঙ্গী সৃষ্টির ইতিবৃত্ত ১

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১০ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৮:০০


২০০১ সাল। নির্বাচনে বিএনপির ভুমিধস বিজয় হয় হাসিনা সেটআপ প্রশাসনে। এতে ভারত প্রচন্ড ভিত হয়ে যায় যে, ভোটে তাদের দোসর আম্লিগ আর কখনো জয়ী হতে পারবেনা। আম্লিগকে জয়ী করতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×