প্রিয় গরুচোর সিন্ডিকেট;
প্রথমেই আপনাদেরকে মোবারকবাদ জানাই। আপনাদের কল্যাণে দীর্ঘযুগ আর্থিক সংকটে বিপর্যস্ত দেশের মধ্যবিত্ত পরিবারগুলো অন্তত ভাগায় হলেও কোরবানি দিতে পেরেছে। পরিচিত একজন এগ্রো ফার্ম মালিক জানিয়েছে- আপনারা ইন্ডিয়া এবং মায়ানমার থেকে চোরাচালান করে গরু-মহিষ এনে তাদের ব্যবসা লাটে তুলেছেন! ওরা আপনাদেরকে গরু চোর, চোরাকারবারি বললেও আমি আপনাদেরকে ধন্যবাদ জানাই। আপনাদের কল্যাণেই এগ্রো সন্ত্রাসীদের সিন্ডিকেট তেমন একটা সুবিধা করতে পারেনি। ওদের হাতী সাইজের গরুগুলো প্রায় অবিক্রিত থেকে গিয়েছে কিম্বা বাধ্য হয়ে কম দামে বিক্রি করেছে। তাছাড়া, আওয়ামী লুটেরা সিন্ডিকেট পলাতক থাকায় বড়ো এবং বেশী দামী গরু বিক্রি হয়না।"
প্রিয় গরুচোর ভাইয়েরা, আপনাদের এই মহৎকর্মের জন্য আপনারা দো-জাহানের অশেষ নেকী হাসিল করিয়াছেন।
তারপরও অত্যন্ত পরিতাপের বিষয়, আপনাদের কল্যাণে কিঞ্চিৎ সাশ্রয়ী মূল্যে মধ্যবিত্ত ধর্মপ্রাণ মুসলমানেরা ভাগায় কোরবানি দিতে পারলেও কসাই সম্প্রদায়ের কসাই মনোবৃত্তি থেকে কোরবানিদাতারা রেহাই পায়নি। পেশাদার কসাইরা পরধন লুণ্ঠনকারী কোরবানিদাতাদের ছুলছে তাতে আক্ষেপ নাই। কিন্তু রিকশাওয়ালা-ডেইলী লেবারদের সমন্বয়ে গড়ে ওঠা সিজনাল কসাই সিন্ডিকেটও ভাগায় কোরবানি দেওয়া ধর্মপ্রাণ মানুষদের কোরবানি দিতে কশুর করে নাই। তার উপর ওদের একটা গ্রুপ আমাদের বিল্ডিংয়ের একজনের ৮০০/- দামের একটা চাপাতি এবং প্রায় সব কোরবানিদাতাদের গোসত চুরি করে নিয়ে গিয়েছে।
সরকার নির্ধারিত মূলের অর্ধেক মূল্যে চামড়া বিক্রি না হলেও জোরজবরি চামড়া নেওয়া সন্ত্রাসীদের দেখলাম না! অবশ্য কোরবানিদাতারাও সংঘবদ্ধভাবে গজারি কাঠ নিয়ে প্রস্তুত ছিলেন তাদের আপ্যায়ন করার জন্য।
আল্লাহ রাব্বুল আল আমীন আপনাদের পেশায় সাফল্য দান করুন।
আমীন।
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই জুন, ২০২৫ সকাল ১১:৪৭