ফ্যাসিবাদের পতন, কিন্তু দোসররা অক্ষত- মুক্তির লড়াই কি তবে অসমাপ্ত?
২০২৪ সালের জুলাই- বাংলার রাজপথ রক্তে রঞ্জিত হয়েছিলো। তরুণদের বুকের তাজা রক্ত, মা-বাবা-ভাই-বোনের চোখের পানি, শ্রমজীবীর হাহাকার- সব মিলিয়ে আমরা ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটিয়েছিলাম। আমরা আশা করেছিলাম, এক নতুন ভোরের সূচনা হবে। ভেবেছিলাম, এত প্রাণের বিনিময়ে অর্জিত আন্দোলন আমাদের মুক্তির নিশান উড়াবে।
কিন্তু আজ আমরা দাঁড়িয়ে আছি এক বিভ্রান্তির মোড়ে। স্বৈরশাসক পালিয়েছে, কিন্তু ফ্যাসিবাদের দোসররা কি সত্যিই পরাজিত হয়েছে? না, তারা এখনো সমহিমায়, এখনও ক্ষমতার চেয়ারে বসে আছে। প্রশাসন, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী, বিচার বিভাগ- সবখানে তাদের অদৃশ্য দাপট। শুধু একজন স্বৈরশাসক তার কয়েকজন সহযোগী নিয়ে দেশ ছাড়লো, কিন্তু তার বপন করা বিষবীজ অক্ষত রয়ে গেল।
এ কারণেই আজও আমরা মুক্তির কোনো সুফল পাচ্ছি না। এ কারণেই আমার বুক কাঁপে এই ভেবে- ফ্যাসিবাদ আবার ফিরে আসবে ভয়ে। ওরা সুযোগের অপেক্ষায় আছে, আবার রক্তচক্ষু নিয়ে ফিরে আসার!
ইতিহাস সাক্ষী, যদি দোসরদের শেকড় উপড়ে না ফেলা যায়, তবে ফ্যাসিবাদ নতুন মুখে, নতুন নামে আবারও ফিরে আসে। তাই আমাদের লড়াই শেষ হয়নি। আমাদের সতর্ক থাকতে হবে, প্রস্তুত থাকতে হবে।
এখনই সময়-
শহীদের রক্তের শপথ মনে করার,
ফ্যাসিবাদের দোসরদের বিচ্ছিন্ন করার,
নতুন প্রজন্মকে সংগঠিত করার,
আর একটি সত্যিকারের গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র কাঠামো গড়ে তোলার।
আমাদের ভুলে গেলে চলবে না- ফ্যাসিবাদ মানে কেবল একজন শাসকের পতন নয়। ফ্যাসিবাদ মানে পুরো একটি দমন-পীড়ন, স্বার্থপর লুটেরাদের প্রণালী। সেই প্রণালী না ভাঙতে পারলে শহীদের আত্মা শান্তি পাবে না।
অতএব, আজই সিদ্ধান্ত নিতে হবে- মুক্তির পথ অসমাপ্ত রাখা যাবে না। নইলে আগামী ভোরে আবারো ফ্যাসিবাদ আমাদের বুকের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়বে।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



