নির্বাচন উপলক্ষে দেশজুড়ে আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীরা নিশ্চিন্তে প্রচার-প্রচারণা চালালেও এন্টি-আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা আছেন গ্রেফতার, হামলার আতংকে। নির্বাচন কমিশন লেবেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ। নির্বাচন কমিশনের এই ব্যর্থতা দেশের জন্য মোটেও ভালো হবেনা। ভালো হবেনা আওয়ামীলীগের জন্যও...
মৌলভীবাজার-২ আসনের ধানের শীষের হেভিওয়েট প্রার্থী সাবেকআওয়ামী নেতা সুলতান মনসুরের নির্বাচনী জনসভায় আওয়ামীলীগের হামলার পর এলাকার মানুষের প্রতিক্রিয়াঃ
---------------------------------------------------------------------
আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীদের বডি ল্যাংগুয়েজ, বক্তৃতা দ্যাখে শুনে মনে হচ্ছে যেকোনো মূল্যে তারা আবারো ক্ষমতায় যাবেন। বিরোধীদল, জন-আন্দোলন দমনপীড়নের সফল অভিজ্ঞতা তাদের আছে। তারা পেশিশক্তি আর ক্ষমতার অপব্যবহার করে শেয়ারবাজার, হলমার্ক, ডেস্টিনি কেলেঙ্কারিতে রাস্তায় নামা সাধারণ মানুষদের মুখ বন্ধ করেছেন। মুখ বন্ধ করেছেন কোটা সংস্কার ও নিরাপদ সড়কের দাবীতে আওয়াজ তোলা সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের। তারা দমন করেছেন বিরোধী জোটের নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের আন্দোলন।
হামলা, মামলা, লঞ্চনা-বঞ্চনার মাধ্যমে আন্দোলনকারীদের দমিয়ে রাখাকে তারা তাদের সফলতা হিসেবে দেখছেন। আর তাই তারা আশাবাদী। নির্বাচনে জিতবেন... ক্ষমতায় থাকবে।
তাদের এইসব অপকৌশল সাধারণ মানুষ মোটেও ভালোভাবে নিচ্ছে না। আর ইতিহাস বলছে, 'লঞ্চনা-বঞ্চনা, দমন-পীড়ন'ই জন-বিপ্লবের অন্যতম কারণ'। এভাবে ক্ষমতা ধরে রাখলে একটাসময় আওয়ামীলীগ একটি কুখ্যাত, জন-নিন্দিত রাজনৈতিক দলে পরিণত হবে। ' 'আওয়ামীলীগ' শব্দটা মানুষ ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করবে। সুতরাং সময় থাকতে দলটির সুস্থ রাজনীতিতে ফেরা উচিত।
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ ভোর ৪:৫৩