somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সৃষ্টি থেকে মুসলমানদের অবদান ও অ-মুসলিমদের অত্যাচারের ইতিহাস।(পর্ব=৩)

১৫ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ৯:৪৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আগুন আবিস্কারের পর ইসলাম পন্থিরা নদি তীরবর্তি স্থানে আগুনের সংরক্ষণ ও স্থায়ী বাস করা শুরু করে। তখন তারা তাদের দলের বৃদ্ধ, শিশু, রোগী ও গর্ভবতীদের আগুনের কাছে গড়া বাসস্থানে রেখে শিকারের অন্নেষনে যাইতো। শিকারের সময় তারা যে সকল জীবিত পশু ধরে আনতো, বাসায় থাকা বৃদ্ধ ও গর্ভবতীরা তার দেখাশোনা করতো। এতদিন তারা একই স্থানে একদিন বা দুই দিনের বেশি থাকতো না, কিন্তু আগুন আবিস্কারের পরে, আগুনের কাছে থাকার জন্য তারা একই স্থানে দীর্ঘদিন থাকা শুরু করে। একই স্থানে দীর্ঘদিন থাকার সময়, বৃদ্ধ ও গর্ভবতীরা খেয়াল করে যে, তারা খাবারের পরে যে বীজ ফেলে দেয় তা থেকে গাছ অঙ্কুরিত হয়ে তা ধিরে ধিরে বড় হচ্ছে ও এক সময় তাতে ফল ধরছে। আর তখন থেকেই নারীরা কৃষিকাজের শুরু করে। আর এসকল করেছে এই ইসলাম পন্থিরা অ-ইসলামীরা নয়।

ধিরে ধিরে তারা পশুপালন ও কৃষি কাজে মনোনিবেশ করে এবং শিকার ও আহরণ পরিত্যগ করে। ইসলাম পন্থিরা যখন কৃষি কাজ ও পশু পালন করে তাদের জীবিকা নির্বাহ শুরু করে, তখন অ-ইসলাম পন্থি লুটেরা রা তাদের কাছ থেকে তাদের পালিত পশু লুট করে নিয়ে যেত ও জমিনের উঠতি ফসল জোর করে কেড়ে নিয়ে যেত। এবং তাদের যুবতি মেয়েদের তুলে নিযে গিযে ধর্ষণ করতো। ইসলাম পন্থিরা সংখ্যায় বেশি হলেও অ-ইসলাম পন্থিদের মত হিংস্র ছিল না, তাই তারা তাদের কাছে জিম্মি হয়ে থাকে। তথাপিও ইসলাম পন্থিরা শান্তিতে থাকার জন্য বা শান্তি বজায় রাখার জন্য তাদের সাথে মারামারিতে লিপ্ত না হয়ে, তারা তা সহ্য করতো। আর এভাবেই গত হযে যায় ৫০ হাজার বছর। এই ৫০ হাজার বছরে ব্যবধানে শান্তি প্রীয় মানুষ বা ইসলাম পন্থিরা ধিরে ধিরে নদি তীরবর্তি স্থানে সংঘ বদ্ধ ভাবে বাঁশ, কাঠ ও পাতা দিয়ে ঘর নির্মাণ করে বসবাস শুরু করে দেয়। এবং আজ থেকে সেই ৫০ হাজার বছর পূর্বেই মানুষ বসবাসের গ্রাম বা পল্লী তৈরী করে। আর এসকলই করে এই ইসলাম পন্থিরা, অ-ইসলাম পন্থি লুটেরা রা নয়।

আজ থেকে আনুমানিক ৫০ হাজার বছর আগে যখন শান্তি প্রীয় মানুষ বা ইসলাম পন্থিরা কৃষি কাজ ও পশু পালনের মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ শুরু করে, তখন যে যেই জমি ইচ্ছা সেই জমিই চাষ করতে পারতো। অর্থাত প্রথম থেকে যে যেই জমি চাষোপযোগী করেছে বা চাষ করতে শুরু করেছে সেই জমি তারই ছিল। আর এভাবেই তারা চাষ ও বাস করে আসছিল। কিন্তু হঠাত করে বাধ সাধে ঐ অ-মুসলিম, অ-শান্তি সৃষ্টিকারী হিংস্র জানোয়ার গুলো। তারা ধিরে ধিরে সংঘবদ্ধ হয়ে একদিন ঘোষনা দিলো যে, আজ থেকে নদি তীরবর্তি স্থানে যে সকল জমিতে কৃষি কাজ ও বাড়ি করে বাস করছে সে সকল জমিনে তারা আর চাষ বা বাস করতে পারবে না। এই পৃথিবীর সমস্ত জমির মালিক নমরুদ। তিনি এতদিন পৃথিবীতে ছিলেন না এই কয়েকদিন আগে তিনি পৃথিবীতে এসেছেন, এবং তিনি আদেশ করেছেন যে তার জমিন ফাঁকা করে দিয়ে এখান থেকে চলে যেতে হবে। আর যদি তারা চলে না যায়, তাহলে নমরুদ তার ভূত বাহিনি দিয়ে সকলকে হত্যা করবেন।

ইসলাম পন্থি মানুষেরা একথা বিশ্বাস করলো না, এবং এই জমি সকল নমরুদের তা তারা মানলো না। তখন রাতের আঁধারে তাদের উপর নির্যাতন শুরু হয়ে গেল। যে অ-মুসলিমদের কথার বিরুদ্ধে সোচ্ছার হলো এবং যে এই মুসলিম দলের নেতৃত্ব দিলো রাতের আঁধারে তাকেই তুলে নিয়ে গিয়ে হত্যা করা হলো ও প্রচার করা হলো যে নমরুদের কথার অবাধ্য হওয়ার জন্যই তাকে নমরুদের ভূতেরা হত্যা করেছে। এর আগে মানুষের ভুত সম্বন্ধে কোনই ধারনা ছিল না। তখন নমরুদের এই দল তাদেরকে ভূতের ক্ষমতা বিষয়ে কাল্পনিক যে সকল তথ্য রবরাহ করে, আজ অবধি সাধারণ মানুষেরা তা বিশ্বাস করে চলেছে। কেন না সে সময় শান্তি প্রীয় সকল সাধারণ মানুষকে অ-শান্তি প্রীয় অ-মুসলিমেরা হত্যা করে তা ভূতে করেছে ও নিজেরা ভয় দেখিয়ে তা ভূতে দেখিয়েছে বলে প্রচার করায়, তারা তা বিশ্বাস করে।

এভাবে একের পর এক যখন হত্যা ও নির্যাতন চলতে থাকলো তখন বাধ্য হয়ে ইসলাম পন্থিরা অ-ইসলাম পন্থি নমরুদের দলের সহিত একটি সমঝোতায় এলো। আর তাদের সমঝোতা হলো যে, ইসলাম পন্থিরা যাহা উতপাদন করবে তার অর্ধেক নমরুদকে দিতে হবে। বাধ্য হয়েই ইসলাম পন্থিরা তা মেনে নিলেন। কারণ ইহা ছাড়া তাদের আর কোন উপায় ছিল না। কারণ ইসলাম পন্থিদের সংসার ছিল। সন্তানের প্রতি মায়া ও দ্বায়ীত্ব ছিল। মাতা পিতার প্রতি তাদের কর্তব্য ছিল। তাই তারা শত নির্যাতনের মাঝেও পিতা মাতা ও সন্তানের জন্য ও শান্তি বজায় রাখার জন্য এবং অপন জনের হত্যা বন্ধের জন্য তা মেনে নেয়। আর এভাবেই আজ থেকে ৫০ হাজার বছর আগে হয়ে যায় আল্লাহর জমিনের নতুন মালিক। আর তখন থেকেই শুরু হয়ে যায় পৃথিবীর মানুষের মধ্যে চরম বৈষম্য। তখন অ-ইসলাম পন্থিরা হয়ে যায় প্রভু বা মালিক পক্ষ আর ইসলাম পন্থিরা হয়ে যায় দাস বা চাকর পক্ষ।

অ-ইসলাম পন্থিদের কোন সন্তান ছিল না। কারণ তারা যুবতি মেয়েদের তুলে এনে ধর্ষণ করতো। আর যখন সেই মেয়েটি গর্ভবতি হতো তখন তাকে হয় হত্যা করতো নয তার মায়ের কাছে পঠিয়ে দিত। তারা কখনই সন্তানের দ্বায়ীত্ব নিত না। তারা তাদের মায়ের সেবা করতো না। তারা তাদের মাকে অস্বিকার করতো। তারা জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত মেয়েদেরকে শুধু ভোগের সামগ্রী হিসাবে ব্যবহার করতো। তাই তাদের ছিল না কোন মায়া কোন মহব্বত কোন দ্বায়বদ্ধতা। তারা যা খুশি তাই করতো। আর এভাবেই গত হয়ে যায় আরও ৪০ হাজার বছর। আর এভাবেই তখন থেকে মুসলমানেরা জিম্মি হয়ে থাকে অ-মুসলিমদের হাতে। মুসলমানেরা হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রম করে নিজেদের জীবিকা নির্বাহে যখন কাহিল, ঠিক তখনই অ-মুসলিমেরা মুসলমানের উতপাদিত সম্পদে বিলাসিতায গা ভাসিয়ে আরামে ফুর্তি করে চলেছে। এভাবে চলতে থাকার পরে, আজ থেকে আনুমানিক আট হাজার বছর পূর্বে আদমের জন্ম হয়। তিনি কোন ভাবেই মেনে নিতে পারেন না যে, তারা হাড় ভাঙ্গা পরিশ্রম করে তার অর্ধেক নমরুদ নামের যালিমের হাতে তুলে দিতে হবে। এর বিরুদ্ধে জনমত তৈরী করেন ও রুখে দাঁড়াবার পরিকল্পনা করেন।

চলবে--

সত্য সহায়। গুরুজী।।

------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যাহার চিন্তা বাক্য ও কর্ম, নিজের, সমাজের, দেশের তথা বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষে নিযোজিত, সেই সত্য ও শান্তি ধর্মের লোক। তা সে যে সম্প্রদায়েরই হউক না কেন।

আর- যাহার চিন্তা বাক্য ও কর্ম, নিজের, সমাজের, দেশের তথা বিশ্ব অ-শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষে নিযোজিত, সেই অ-সত্য ও অ-শান্তি ধর্মের লোক। তা সে যে সম্প্রদায়েরই হউক না কেন। সেরু পাগলার বাণী।
১টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

অধুনা পাল্টে যাওয়া গ্রাম বা মফঃস্বল আর ভ্যাবাচ্যাকা খাওয়া শহুরে মানুষ!!

লিখেছেন শেরজা তপন, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:০০


দেশের দ্রব্যমুল্যের বাজারে আগুন। মধ্যবিত্তরা তো বটেই উচ্চবিত্তরা পর্যন্ত বাজারে গিয়ে আয়ের সাথে ব্যায়ের তাল মেলাতে হিমসিম খাচ্ছে- - একদিকে বাইরে সুর্য আগুনে উত্তাপ ছড়াচ্ছে অন্যদিকে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমুল্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

সাম্প্রতিক দুইটা বিষয় ভাইরাল হতে দেখলাম।

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:৪১

সাম্প্রতিক দুইটা বিষয় ভাইরাল হতে দেখলাম।
১. এফডিসিতে মারামারি
২. ঘরোয়া ক্রিকেটে নারী আম্পায়ারের আম্পায়ারিং নিয়ে বিতর্ক

১. বাংলা সিনেমাকে আমরা সাধারণ দর্শকরা এখন কার্টুনের মতন ট্রিট করি। মাহিয়া মাহির... ...বাকিটুকু পড়ুন

আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের (সা.) পক্ষ নিলে আল্লাহ হেদায়াত প্রদান করেন

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৬:৪২



সূরা: ৩৯ যুমার, ২৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৩। আল্লাহ নাযিল করেছেন উত্তম হাদিস, যা সুসমঞ্জস্য, পুন: পুন: আবৃত। এতে যারা তাদের রবকে ভয় করে তাদের শরির রোমাঞ্চিত হয়।অত:পর তাদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্লগটা তো ছ্যাড়াব্যাড়া হয়ে গেলো :(

লিখেছেন সাখাওয়াত হোসেন বাবন, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:৫৭



আমি আমার ব্লগিং শুরু করি প্রথম আলো ব্লগে লেখালেখির মাধ্যমে। ব্লগটির প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। কারণ প্রথম আলো ব্লগ আমায় লেখালেখিতে মনোযোগী হতে শিখিয়েছে । সে এক যুগ আগের কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবন পারাবার: শঠতা ও প্রতারণার উর্বর ভূমি

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৪০


অনার্সের শেষ আর মাস্টার্সের শুরু। ভালুকা ডিগ্রি কলেজের উত্তর পার্শ্বে বাচ্চাদের যে স্কুলটা আছে (রোজ বাড কিন্ডারগার্টেন), সেখানে মাত্র যোগদান করেছি। ইংরেজি-ধর্ম ক্লাশ করাই। কয়েকদিনে বেশ পরিচিতি এসে গেল আমার।

স্কুল... ...বাকিটুকু পড়ুন

×