somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সৃষ্টি থেকে মুসলমানদের অবদান ও অ-মুসলিমদের অত্যাচারের ইতিহাস। (পর্ব=৫)

১৫ ই এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৫:২৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

জীব সৃষ্টির শুরু হয় পাঁচ উপাদানের একটি করে অণুপ্রাণ সম্মিলিত এক অণুপ্রাণ থেকে। ধিরে ধিরে বিবর্তনের মাধ্যমে প্রকৃতির নিয়মে এক থেকে দুই, দুই থেকে চার, চার থেকে ষোল এভাবে অণুপ্রাণ বৃদ্ধি প্রাপ্ত হয়ে জীবের আকার আয়তন ও বুদ্ধির পরিবর্তন সাধিত হয়ে ধিরে ধিরে জীব বুদ্ধিমান হযে জন্ম নেয়। জীবের মস্তিষ্কে জ্ঞানের বিভাগ আছে মোট সাতটি।

১। জ্ঞানের প্রথম বিভাগের কাজ হলো ক্ষুধার অনুভূতী অনুভব করা ও ক্ষুধা নিবৃত্তির চেষ্টা করা। এতে সে আপন পর বোঝে না, সামনে খাবার যাহা পাবে তাহাই সে খাইতে শুরু করবে। তা সে নিজের খাবার হউক আর অন্যের খাবার হউক বা ইহাতে কারও ক্ষতি হউক বা না হউক। এটা তার দেখার বিষয় নয়। তার দেখার বিষয় ক্ষুধা লেগেছে খাইতে হবে। আর তা সে করবে নির্ভিক ভাবে খাবারের মালিকের সামনেই। কারণ সে জানে না যে এই খাবারের কোন মালিক আছে বা নাই। সে জানে এটা খাবার, খাইলে ক্ষুধা নিবৃত্তি হয়। আর এই জ্ঞান সৃষ্টির সকল জীবেই বিদ্যমান। এই জ্ঞানের বিভাগকে জীব বা পশুর জ্ঞান বলা হয়। জ্ঞানের এই বিভাগ থেকেই সুস্থতা ও অ-সুস্থতার অনুভূত হয়ে থাকে। জ্ঞানের এই বিভাগটি ১০০% জীবেরই স্বক্রীয় থাকে।

২। জ্ঞানের দ্বিতীয় বিভাগের কাজ হলো, সে বুঝতে শেখে যে কোনটা আমার ও কোনটা আমার না। তাই সে যেটা আমার না সেটা নিতে বা খাইতে হলে মালিকের অনুপস্থিতিতে নিতে হবে, এই বুঝ তার মধ্যে এসে যায়। তাই সে মালিকের অনুপস্থিতিতে তার দ্রব্য খায় বা নিয়ে যায়। মালিকের উপস্থিতিতে সে কখনই অন্যের দ্রব্য নিবে না। বা কাহাকেও দেখিয়ে সে অন্যের দ্রব্য নিবে না। অর্থাত চুরি করে নিয়ে যাওয়া বা খাওয়ার জ্ঞানের বিভাগটি হলো এই জ্ঞানের বিভাগ। তাই জ্ঞানের এই বিভাগটিকে বলা হয় চুরি জ্ঞানের বিভাগ। জ্ঞানের এই বিভাগটি ১% জীবের মধ্যেই বিদ্যমান।

৩। জ্ঞানের তৃতীয় বিভাগের কাজ হলো, আমি অন্যের কোন জিনিস হস্তগত করার পরে, সেটা যে আমি নিই নি, তা প্রমাণ করতে পারলে জিনিসটি আমার হয়ে যাবে, এটা বুঝতে পারার জ্ঞান। এবং এ পর্যায়ে কি কি মিথ্যা বলতে হবে ও কিভাবে মিথ্যা বলতে হবে এসকল বিষয় সরবরাহ করে এই বিভাগ থেকে। তাই জ্ঞানের এই বিভাগের নাম মিথ্যাবাদী বিভাগ। এবং মানুষের মানহানীর জন্য মিথ্যা রটনা, জ্ঞানের এই বিভাগটির কাজ। জ্ঞানের এই বিভাগটি সৃষ্টিতে .০০১% জীবের মধ্যে বিদ্যমান।

৪। জ্ঞানের চতুর্থ বিভাগটির কাজ হলো পরের জিনিস নেয়া যাবে না ও মিথ্যা বলা যাবে না। কারও মানহানীর জন্য মিথ্যা রটনা করা যাবেনা এবং কোন সত্যই সে গোপন করতে জানে না। এবং সকল সত্যই সে সকলের সামনে উপস্থাপন করে ফেলে। এতে যদি কারও ক্ষতিও হয় তাও সে সত্য প্রকাশ থেকে পিছ পা হয় না। জ্ঞানের এই বিভাগ কে সততা সরবরাহকারী বিভাগ বলা হয়। জ্ঞানের এই বিভাগটি পরোপকার ও অন্যের সেবা করার ইচ্ছাকেও সরবরাহ করে থাকে। তাই এই জ্ঞানের বিভাগ খোলা জীব পরোপকারী হয়ে থাকে। জ্ঞানের এই বিভাগটি সৃষ্টিতে .০০০০০১% জীবের মধ্যে বিদ্যমান।

৫। জ্ঞানের পঞ্চম বিভাগটির কাজ হলো, তাকে কেহ কোন সূত্র দিলে সেখান থেকে সে নতুন নতুন সূত্র দেখতে ও বুঝতে পারার ক্ষমতাকে সরবরাহ করে। এ বিভাগটি একটি সূত্র ধরে এগোতে এগোতে অনেক সূত্রের আবিস্কার করে অল্প ক্ষমতা সম্পন্ন কিছুকে বেশি ক্ষমতা সম্পন্ন কিছু তৈরী করতে পারার ক্ষমতা সরবরাহ করে। সৃষ্টিতে এই জ্ঞানের বিভাগটি খোলা থাকে .০০০০০০০০১% জীবের মধ্যে। এদেরকে প্রকৌশলি বলা হয়।

৬। জ্ঞানের ষষ্ঠ বিভাগটির কাজ হলো সে প্রকৃতির উপাদানের গতিবিধি দেখে তা থেকে নতুন কোন একটি সূত্র আবিস্কার করতে পারার ক্ষমতা সরবরাহ করে। যাদের এই জ্ঞানের বিভাগটি খোলা থাকে তারাই নতুন কিছু সৃষ্টির জন্য সূত্র দিয়ে যেতে পারেন। সৃষ্টিতে এই জ্ঞানের বিভাগটি .০০০০০০০০০০০১% জীবের খোলা থাকে। জ্ঞানের এই স্তর খোলা থাকা ব্যক্তিকেই বিজ্ঞানী বলা হয়। এই ধরণের জ্ঞানের স্তর খোলা জীব পাঁচ শ বছরে একটি করে জন্ম নেয়।

৭। জ্ঞানের সপ্তম বিভাগটির কাজ হলো মহা বিশ্বের সকল উপাদানের সকল কিছুর উপর দেখতে ও বুঝতে পারার মত ক্ষমতা সরবরাহ করে। এমন কি খালি চোখে যাহা দেখা যায় না তাহাও তারা দেখতে পারেন ও তার মধ্যে কি আছে তা ও দেখতে ও বলতে পারেন এবং তাহা জীবের কি কল্যাণ বা অকল্যাণ করতে সক্ষম তাহাও তিনারা জানতে ও বুঝতে পারেন। তারা মহাবিশ্বে কোথায় কি আছে কি দ্বারা কি হতে পারে, তা জীবের কিকি উপকার বা অপকার করতে পারে, তার সকল কিছুই দেখতে ও বূঝতে পারেন। এদেরকেই আল্লাহ হতে প্রেরিত নবি ও রাসুল বলা হয়। এই নবি ও রাসুল সকল জীবেই বর্তমান। সৃষ্টিতে এই জ্ঞানের বিভাগটি .০০০০০০০০০০০০০০১% জীবের মধ্যে বিদ্যমান। জ্ঞানের এই স্তর খোলা জীব লক্ষ বছরে একটি জন্ম গ্রহন করেন। আর ইনিই আমাদের হযরত মহাম্মদ সাঃ। যিনি সর্ব কালের সর্ব যুগের শ্রেষ্ঠ মহামানব। যিনি সমাজ ব্যবস্থায় সমাজ বিজ্ঞানী, যিনি রাজ্য ব্যবস্থায় রাজনিতি বিজ্ঞানী, যিনি কৃষি ব্যবস্থায় কৃষি বিজ্ঞানী, যিনি বানিজ্য ব্যবস্থায় বানিজ্য বিজ্ঞানী, যিনি চিকিতসা ব্যবস্থায় চিকিতসা বিজ্ঞানী, যিনি দেহ ব্যবস্থায় দেহ বিজ্ঞানী, যিনি আত্ম ব্যবস্থায় আত্ম বিজ্ঞানী। আজ থেকে লক্ষ বছর পরে এই মহাম্মদ সাঃ ই আবার পৃথিবীতে আসবেন আমাদের সকল ধারণা সকল চিন্তার উর্দ্ধে নতুন কোন উন্নত কিছু আবিস্কারের সূত্র জানাতে। ততদিন কোরআন যাহা বলেছে সেগুলি বিজ্ঞানীরা বাস্তবায়নের চেষ্টা করুক।

এই সাত নম্বর জ্ঞানের বিভাগটি আবার সাত ভাগে বিভক্ত। এই সাতটি বিভাগে আবার প্রত্যেকের দুটি করে জ্ঞান সীমা স্তর বিদ্যমান। যাহা-

১। গোস্ত, ২। পোস্ত, ৩। হাড়, ৪। রগ, ৫। গুর্দা, ৬। মণি ও ৭। মগজ। এবং ১। দম, ২। কদম, ৩। অহম, ৪। ফহম, ৫। আক্কেল, ৬। এলেম, ও ৭। হেলেম।

তম্মধ্যে আদম ১। গোস্ত, ১। দম, এর জ্ঞান প্রাপ্ত হয়ে পৃথিবীতে এসেছিলেন।

মহাবিশ্বের সকল সভ্যতা ও সকল প্রযুক্তি এই মুসলমানেরাই আবিস্কার করেছে, কোন অমুসলিম নয়। তারা মুসলমানের আবিস্কৃত কল্যাণকর প্রযুক্তিগুলি জীবের অকল্যাণ সাধনে প্রয়োগ করে চলেছে।

চলবে-

সত্য সহায়। গুরুজী।।

------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যাহার চিন্তা বাক্য ও কর্ম, নিজের, সমাজের, দেশের তথা বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষে নিযোজিত, সেই সত্য ও শান্তি ধর্মের লোক। তা সে যে সম্প্রদায়েরই হউক না কেন।

আর- যাহার চিন্তা বাক্য ও কর্ম, নিজের, সমাজের, দেশের তথা বিশ্ব অ-শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষে নিযোজিত, সেই অ-সত্য ও অ-শান্তি ধর্মের লোক। তা সে যে সম্প্রদায়েরই হউক না কেন। সেরু পাগলার বাণী।
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বন্ধুর বউ কে শাড়ি উপহার দিলেন ব্যারিস্টার সুমন। বাটার প্লাই এফেক্ট এর সুন্দর উদাহারন।

লিখেছেন নাহল তরকারি, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:০৭



এক দেশে ছিলো এক ছেলে। তিনি ছিলেন ব্যারিস্টার। তার নাম ব্যারিস্টার সুমন। তিনি একজন সম্মানিত আইনসভার সদস্য। তিনি সরকার কতৃক কিছু শাড়ি পায়, তার জনগণের মাঝে বিলি করার জন্য।... ...বাকিটুকু পড়ুন

ড্রাকুলা

লিখেছেন সুদীপ কুমার, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:১২

কোন একদিন তাদের মুখোশ খুলে যায়
বেরিয়ে আসে দানবীয় কপোট মুখায়ব।

অতীতে তারা ছিল আমাদের স্বপ্ন পুরুষ
তাদের দেশ ছিল স্বপ্নের দেশ।
তাদেরকে দেখলেই আমরা ভক্তিতে নুয়ে পড়তাম
ঠিক যেন তাদের চাকর,
অবশ্য আমাদের মেরুদন্ড তখনও... ...বাকিটুকু পড়ুন

অধুনা পাল্টে যাওয়া গ্রাম বা মফঃস্বল আর ভ্যাবাচ্যাকা খাওয়া শহুরে মানুষ!!

লিখেছেন শেরজা তপন, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:০০


দেশের দ্রব্যমুল্যের বাজারে আগুন। মধ্যবিত্তরা তো বটেই উচ্চবিত্তরা পর্যন্ত বাজারে গিয়ে আয়ের সাথে ব্যায়ের তাল মেলাতে হিমসিম খাচ্ছে- - একদিকে বাইরে সুর্য আগুনে উত্তাপ ছড়াচ্ছে অন্যদিকে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমুল্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

সাম্প্রতিক দুইটা বিষয় ভাইরাল হতে দেখলাম।

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:৪১

সাম্প্রতিক দুইটা বিষয় ভাইরাল হতে দেখলাম।
১. এফডিসিতে মারামারি
২. ঘরোয়া ক্রিকেটে নারী আম্পায়ারের আম্পায়ারিং নিয়ে বিতর্ক

১. বাংলা সিনেমাকে আমরা সাধারণ দর্শকরা এখন কার্টুনের মতন ট্রিট করি। মাহিয়া মাহির... ...বাকিটুকু পড়ুন

আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের (সা.) পক্ষ নিলে আল্লাহ হেদায়াত প্রদান করেন

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৬:৪২



সূরা: ৩৯ যুমার, ২৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৩। আল্লাহ নাযিল করেছেন উত্তম হাদিস, যা সুসমঞ্জস্য, পুন: পুন: আবৃত। এতে যারা তাদের রবকে ভয় করে তাদের শরির রোমাঞ্চিত হয়।অত:পর তাদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×