somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বড় দু' রাজনৈতিক দলের জন্য সরকার গঠনে কার্যকরী রুপরেখা

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৫৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

অনেকদিন ধরে বাংলাদেশের গণতন্ত্র রক্ষায় হাকডাক দিয়ে আসছে দুটি রাজনৈতিক দল। কিন্তু কখনোই তারা চাইনি গণতন্ত্র প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পাক। তাদের মাথায় সবসময় ক্ষমতায় টিকে থাকা আর লুটপাট ছাড়া কিছুই উকি দেয় না। যে কারণে সরকারের মেয়াদ শেষে রক্তপাত অনিবার্য হয়ে ওঠে। এতে করে দু'দলের প্রধান বা প্রথম, মাঝারী সারির নেতাদের কোন ক্ষতি হয় বলে জানা যায় না। ক্ষতি হয় সেই সাধারণ মানুষটির যার আজন্ম স্বপ্ন ছিল একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের। জীবন দিতে তাকে বা তার পরিজনকে। এ ক্ষতি কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হয় না এ সাধারণ মানুষ তথা আমজনতার।
এজন্য সুবিধাভোগী বুদ্ধিবিত্তিক শ্রেণীর মানুষরাও নিজেদের সরকার বা বিরোধীদলের প্রধানের নজরে আসতে গণতন্ত্র রক্ষায় নানা পথ বাতলে দেয়। তবে তা সবসময় কথিত টক শো'র বক্সে বন্দি থেকে যায়। যা নেত্রীর পছন্দ হয় তিনি পক্ষে থাকেন অন্যজন ভৱসনা করতে মেতে ওঠেন।
দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে অনেকে গণতন্ত্র রক্ষায় অনেক পদ্ধতি দেখিয়েছেন। কিন্তু সুবিধাভোগী বৃহত্তর রাজনৈতিক দলটি কোনভাবেই তা মেনে নিতে পারছেন না। কারণ নিজেদের তালগাছটা টিক থাকছে না। এ সমস্যার সমাধান হতে পারে যদি সুবিধাভোগী এ শ্রেণীর মত করে বিশ্লেষণ করে তাদের স্বার্থরক্ষার কোন রূপরেখা দেয়া যায়।
তেমন একটি রূপরেখার জন্যই আজকের লেখার জন্ম।
আমাদের দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে একটি বিষয় স্থায়ী রুপ নিয়েছে। সেটি হলো সরকার পরিচালনার দায়িত্ব পাবার পর লুটপাট করা আর সে বিষয়ে বিরোধীদল মুখ খুললে তাকে কোনঠাসা করতে যা মনে চায় তাই করা। তাতে আগামীতে কি হবে তা ভাবার সময়ো হয় না। ফলে নির্বাচনের আগে সরকার জনপ্রিয়তা হারায়। যা এ বর্তমান সরকারের বেলায় ঘটেছে। এ ঘটনা নতুন নয় আগেও ঘটেছে। তাই নতুন এ রূপরেখা সুবিধাভোগী দু'দলের কাছেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে। সাথে বন্ধ হবে রক্তপাত। আর যদি দু'দলের নেতারা চান তাহলে উন্নয়নের কাজটাও পূর্ববর্তী সময়ের তুলনায় বেশ ভালো হবে।
রূপরেখার একমাত্র শিক্ষা হলো ভাগবাটোয়ারা। এটা দৃশ্যমান না হলেও আমাদের অভিজ্ঞতা মতে নেতারা তাদের অবৈধ আয়টা ঠিকই করতে পারবেন। এ ভাগবাটোয়ারা হবে নির্বাচনে মোট ভোটের কোন দল কত পার্সেন্ট পেয়েছে সে হিসেবে।
ধরুণ নির্বাচনে বিএনপি জোট ৫১ শতাংশ, আওয়ামী লীগ জোট ৩৫ শতাংশ ভোট পেয়েছেন। সে হিসেবে সরকার বিএনপি গঠন করলেও ভোটের শতাংশ হিসেবে মন্ত্রীপরিষদসহ সব সেক্টরে কিছু পদ পাবে আওয়ামী লীগ। এতে করে চুরি-পুকুর চুরি যা হোক। দু'পক্ষের লোকজন লাভ পাবে। যেহেতু এ দু'দল দৃশ্যমান হবে একসাথে আছে ফলে বিদেশী অনুদান প্রবাহ ঠিক থাকবে। এতে করে অবৈধ আয়ের সাথে জনজীবনের উন্নয়ন হবে। কারণ চুরি করতে গেলেতো কাজ করতে হবে।
সবচেয়ে বড় উপকার এর ফলে বিরোধীমত দমন করতে গিয়ে ক্ষমতা ছেড়ে মামলার পিছনে দৌড়াতে হবে না। এতে হয়রানী কমার সাথে সাথে অহেতুক কাড়িকাড়ি টাকা খরচ বন্ধ হবে।
অভিজ্ঞতা মতে বড় রাজনৈতিক দলের নেতারা ৫ বছরে যা আয় করেন তার মোটা অংশ পরবর্তীতে মামলা চালাতে এবং কিছু হবে না তা নিশ্চিত হতে সরকার দলীয় নেতাদের তুষ্ট করতে খরচ করেন। এ ক্ষতি পুষিয়ে নিতেই পরবর্তীতে আবার ক্ষমতায় এলে তারা চুরি-পুকুর চুরির প্রতিযোগিতায় নামেন। ভাগবাটোয়ারার এ রূপরেখা নিয়ে রাজনীতি করলে নেতাদের চাহিদা পূরণ হ্ওয়ায় হয়তো দুর্নীতিও কমবে।
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

Grameen Phone স্পষ্ট ভাবেই ভারত প্রেমী হয়ে উঠেছে

লিখেছেন অপলক , ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:৪৯



গত কয়েক মাসে GP বহু বাংলাদেশী অভিজ্ঞ কর্মীদের ছাটায় করেছে। GP র মেইন ব্রাঞ্চে প্রায় ১১৮০জন কর্মচারী আছেন যার ভেতরে ৭১৯ জন ভারতীয়। বলা যায়, GP এখন পুরোদস্তুর ভারতীয়।

কারনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

কম্বলটা যেনো উষ্ণ হায়

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৫৭


এখন কবিতার সময় কঠিন মুহূর্ত-
এতো কবিতা এসে ছুঁয়ে যায় যায় ভাব
তবু কবির অনুরাগ বড়- কঠিন চোখ;
কলম খাতাতে আলিঙ্গন শোকাহত-
জল শূন্য উঠন বরাবর স্মৃতির রাস্তায়
বাঁধ ভেঙ্গে হেসে ওঠে, আলোকিত সূর্য;
অথচ শীতের... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইউনুস সাহেবকে আরো পা্ঁচ বছর ক্ষমতায় দেখতে চাই।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৪৪


আইনশৃংখলা পরিস্থিতির অবনতি পুরো ১৫ মাস ধরেই ছিলো। মব করে মানুষ হত্যা, গুলি করে হত্যা, পিটিয়ে মারা, লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার করতে না পারা, পুলিশকে দূর্বল করে রাখা এবং... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদির যাত্রা কবরে, খুনি হাসছে ভারতে...

লিখেছেন নতুন নকিব, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৬

হাদির যাত্রা কবরে, খুনি হাসছে ভারতে...

শহীদ ওসমান বিন হাদি, ছবি অন্তর্জাল থেকে নেওয়া।

হ্যাঁ, সত্যিই, হাদির চিরবিদায় নিয়ে চলে যাওয়ার এই মুহূর্তটিতেই তার খুনি কিন্তু হেসে যাচ্ছে ভারতে। ক্রমাগত হাসি।... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদিকে মারল কারা এবং ক্রোধের আক্রশের শিকার কারা ?

লিখেছেন এ আর ১৫, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:০৩

হাদিকে মারল কারা এবং ক্রোধের আক্রশের শিকার কারা ?


হাদিকে মারল জামাত/শিবির, খুনি নাকি ছাত্রলীগের লুংগির নীচে থাকা শিবির ক্যাডার, ডাকাতি করছিল ছেড়ে আনলো জামাতি আইনজীবি , কয়েকদিন হাদির সাথে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×