somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সমুদ্রে বাসকারী একটি দানব ক্রাকেন

০৬ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:২৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


ক্রাকেন কিংবদন্তির দানবাকৃতির জীব যা আইসল্যান্ড এবং নরওয়ের উপকূলে বাস করত বলে ধারনা করা হয়।বিশেষ করে তাদের বিশাল আকার ও ভয়াল চেহারা বিভিন্ন কল্পকাহিনীতে তাদেরকে সমুদ্রে বাসকারী একটি দানব হিসেবেই স্থান দিয়েছে। কিঙবদন্তীটির উদ্ভব হয়েছে সম্ভবত দানব স্কুইড অবলোকনের ঘটনা থেকে এরা শুঁড়সহ ১৩-১৫ মিটার ৪০-৫০ ফুট লম্বা হতে পারে বলে ধারনা করা হয়। এই প্রাণীরা সাধারণত অত্যন্ত গভীর সমুদ্রে বসবাস করে কিন্তু সমুদ্রপৃষ্টে এদের দেখা যায় এবং এরা জাহাজ আক্রমণ করেছে বলে শোনা যায়।



যদিও নামটি নর্স গাঁথা গুলোতে পাওয়া যায় না, কিন্তু এই ধরনের সমুদ্রদানবয়ের বর্ণনা রয়েছে এবং আনুমানিক ১২৫০ সালের নরওয়েজীয় টেক্সট,এ পাওয়া যায়। ক্যারোলাস লিনিয়াস তার জীবিত প্রাণীদের শ্রেণীবিভাগের একটি গ্রন্থের প্রথম সংস্করণে ক্রাকেনকে একটি cephalopods হিসেবে Microcosmus নামে অন্তর্ভুক্ত করেন কিন্তু পরবর্তী সংস্করণগুলোতে প্রাণীটিকে বাদ দেন। Erik Pontoppidan, বার্জেনের বিশপও বিস্তারিতভাবে ক্রাকেনের বিবরণ দিয়েছেন তার "Natural History of Norway"-গ্রন্থে। পুরনো বিবরণগুলোতে, Pontoppidan-এরটিসহ, ক্রাকেনকে বর্ণনা করা হয়েছে একটি প্রাণী হিসেবে যার আকার একটি ভাসমান দ্বীপের মত, নাবিকদের জন্য যার প্রধান বিপদ প্রাণীটি নিজে নয়, বরং এটি ডুব দিলে যে ঘূর্ণিস্রোত সৃষ্টি হয় তা। যাইহোক, Pontoppidan দানবীয় পাশাপাশি পশুটির ধ্বংস ক্ষমতা সম্পকে যা বিবরণ দিয়েছেন তাতে বলা হয়েছে যে যদি এটি সবচেয়ে বড় যুদ্ধজাহাজটিকে যদি আঁকড়ে ধরে, তবে তাকে এটি সমুদ্রের তলদেশে টেনে নিতে সক্ষম হবে। ক্রাকেন সবসময়েই সমুদ্রসর্প থেকে স্বতন্ত্র ছি। একটি প্রতিনিধিত্বমূলক আদি বর্ণনা দিয়েছেন সুইডেনের অধিবাসী Jacob Wallenberg তার বই Min son på galejan "My son on the galley" ১৭৮১ সালেঃ

ক্রাকেন, যাকে কাঁকড়া মাছও বলা হয়, যেটি নরওয়ের নাবিকদের বর্ণনা অনুযায়ী ততটা বিশাল নয়, মস্তক এবং লেজসমূহ গণ্য করে, আমাদের Öland এর চেয়ে সে বড় নয় অর্থাৎ ১৬ কি. মি. এর কম সে সমুদ্রের তলদেশে অবস্থান করে, অগনন ক্ষুদ্র মাছ দ্বারা নিরন্তর পরিবেষ্টিত, যারা তার খাদ্য হিসেবে কাজে লাগে এবং বিনিময়ে তার নিকট হতে খাবার পায়ঃ তার ভোজন, E. Pontoppidan যা লিখেছিলেন তা যদি সঠিকভাবে আমার মনে থাকে, তিন মাসের অধিক স্থায়ী হয় না, এবং আরও তিন মাস প্রয়োজন হয় তা হজম করতে। তার বর্জ্য ক্ষুদ্রতর মাছের একটি বাহিনীর প্রয়োজনে লাগে, একারণে জেলেরা তার বিশ্রামের স্থানে মাছ ধরে... ধীরে ধীরে, ক্রাকেন সমুদ্রপৃষ্টে ভেসে ওঠে, এবং সে যখন ১০ থেকে ১২ ফ্যাদম গভীরে, নৌকাগুলো তার এলাকা থেকে সরে যাওয়াই ভালো, কারণ স্বল্পক্ষণের মধ্যেই সে সজোরে ভেসে উঠবে, ভাসমান একটি দ্বীপের মত, তার ভয়াবহ নাসারন্ধ্র দিয়ে জল নিঃসরণ করতে করতে এবং চারপাশে বৃত্তাকার ঢেউ তৈরি করতে করতে, যা বহু মাইল পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে।
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:২৯
৫টি মন্তব্য ৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

=বেনারসী রঙে সাজিয়ে দিলাম চায়ের আসর=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫২



©কাজী ফাতেমা ছবি
মনে কি পড়ে সেই স্মৃতিময় সময়, সেই লাজুক লাজুক দিন,
যেদিন তুমি আমি ভেবেছিলাম এ আমাদের সুদিন,
আহা খয়েরী চা রঙা টিপ কপালে, বউ সাজানো ক্ষণ,
এমন রঙবাহারী আসর,সাজিয়েছি... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিজ্ঞানময় গ্রন্থ!

লিখেছেন জ্যাক স্মিথ, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:৪২

একটু আগে জনৈক ব্লগারের একটি পোস্টে কমেন্ট করেছিলাম, কমেন্ট করার পর দেখি বেশ বড় একটি কমেন্ট হয়ে গেছে, তাই ভাবলাম জনস্বার্থে কমেন্ট'টি পোস্ট আকারে শেয়ার করি :-P । তাছাড়া বেশ... ...বাকিটুকু পড়ুন

অস্ট্রেলিয়ার গল্প ২০২৪-৪

লিখেছেন শায়মা, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:৪৫


চলে যাবার দিন ঘনিয়ে আসছিলো। ফুরিয়ে আসছিলো ছুটি। ছোট থেকেই দুদিনের জন্য কোথাও গেলেও ফিরে আসার সময় মানে বিদায় বেলা আমার কাছে বড়ই বেদনাদায়ক। সেদিন চ্যাটসউডের স্ট্রিট ফুড... ...বাকিটুকু পড়ুন

আপনি কি বেদ, উপনিষদ, পুরাণ, ঋগ্বেদ এর তত্ত্ব বিশ্বাস করেন?

লিখেছেন শেরজা তপন, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫২


ব্লগে কেন বারবার কোরআন ও ইসলামকে টেনে আনা হয়? আর এই ধর্ম বিশ্বাসকে নিয়েই তর্ক বিতর্কে জড়িয়ে পড়ে সবাই? অন্য ধর্ম কেন ব্লগে তেমন আলোচনা হয় না? আমাদের ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার ‘অন্তরবাসিনী’ উপন্যাসের নায়িকাকে একদিন দেখতে গেলাম

লিখেছেন সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:২৫

যে মেয়েকে নিয়ে ‘অন্তরবাসিনী’ উপন্যাসটি লিখেছিলাম, তার নাম ভুলে গেছি। এ গল্প শেষ করার আগে তার নাম মনে পড়বে কিনা জানি না। গল্পের খাতিরে ওর নাম ‘অ’ ধরে নিচ্ছি।

... ...বাকিটুকু পড়ুন

×