তিনি অনেক জ্ঞানী-গুণী মস্ত বড় নেতা!
খেতার তলার থেকে এসে সবসময় কন কথা।
গরীরেরে ভালোবাসেন ঋণ দিয়ে যান সুদে!
স্বার্থখানি করতে হাসিল সদলবলে কুঁদে।
দেখেন নাতো ঋণের জালে বন্দী মানুষ মরে,
নিঃস্ব হয়ে রিক্তমনে আহাজারি করে।
ভিটে-মাটিহারা হয়ে ঘুরেন তাঁরা পথে,
কিন্তু নেতা চলেন ফিরেন আকাশযানের রথে।
তিনি হলেন নোবেল-লরেট তেলমারা কৌশলে,
'টাকা-আনা-পাই দিয়ে পায়', মানুষজনে বলে।
অর্থনীতির কারবারি সে, শান্তিতে পান নোবেল!
ভাবুন এবার মাহাত্ম্য কি! ঢালছে কতো তেল?
হায়! আলফ্রেড নোবেল সাহেব, আপনার সম্মান,
অকাতরে বিক্রি করে করছে অপমান!
জ্ঞানী-গুণী মস্ত নেতা ব্যস্ত অনেক বেশি,
ভালোবাসেরন দেশির চেয়ে ভিন্ন পরদেশী।
দেশের মানুষ কাঁদে যখন নিজের প্রয়োজনে,
নিরুর মতো বাঁশি বাজান আপন খেয়াল মনে।
মানুষ যখন অনাহারে বিপর্যয়-দুর্যোগে,
তিনি তখন দেখেন না তা দাতার অনুরাগে।
দেশের উন্নয়নে যখন তৎপর হয় সরকার-
বিশ্বব্যাংকে দাবী করে অর্থঋণের দরকার;
তখন তিনি বাগড়া বাঁধায় গোপন চুপিসারে,
এমন সুদখোর নেতা তিনি আমাদের সংসারে!
পিছল পথে চান ক্ষমতা এমন নেতা তিনি,
শ্রমিক শোষণ, ধনীর তোষণ নিত্য করেন যিনি।
ঘুঘু তুমি আর কতোকাল খেয়ে যাবে ধান?
আইন-কানুনের লম্বা হাতে ধরছে এবার কান।