পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, জন্মের পর পর যেন শিশুর কানে আযান পৌছায়। কারণ প্রতিটি শিশু ফিতরাতের উপর জন্ম গ্রহণকরে। আর ফিতরাত মানে প্রতিটি শিশু মুসলিম হয়ে জন্ম গ্রহণকরে। শিশুর কানে আযান দেওয়ার উদ্দেশ্যে হলো,তার কানে যেন আল্লাহ তায়ালা রমহত্বের আওয়াজ প্রথমেই পৌছে যায়।

মানুষের কানে ও অন্তরে শয়তানের কথা পৌছার পূর্বেই যেন ইসলাম ও হিদায়াতের বাণী পৌছে যায়। আর বুঝানো হয় মানুষের জীবন আযান ও নামাজের মতই ক্ষনস্থায়ী। তাই বলে ইসলামে বলা হয়নি শিশু ভূমিষ্ঠ হওয়ার সাথে সাথে আযান না দিলে শিশুকে হত্যা করকারণ ইসলামে স্পষ্ট বলা হয়েছে হত্যা করা মহাপাপ। গাইবান্ধার পলাশ বাড়ীতে আযান না দেওয়ার কারণে যে নবজাতক শিশুটিকে হত্যা করা হয়েছে। তার বাবা একজন কুরআনে হাফেজ সেহেতু তার সব ইসলামিক হাদিস সম্পর্কে জানা আছে। তিনি কি জানতেন না নিরাপরাধ মানুষকে হত্যা করা মানে পুরো মানব জাতিকে হত্যা করা। তাহলে কেন এ হত্যা? নিষ্পাপ শিশুটির কি দোষ ছিলো পৃথিবীর আলো দেখার আগেই মেরে ফেললেন তাকে। নিজেকে খুব ধর্মপরায়ণ প্রমান করতে যেয়ে আটকে গেলেন আপনি শয়তানের ফাঁদে।
শুধুমাত্র আপনাদের মত হাফেজ লোকদের জন্য সব হাফেজদেরকে ভন্ড বলে সবাই গালি দেয় অপরাধ আপনি করবেন তার দোষ সব হুজুরদের উপর পড়বে কেন? সন্তানকে মেরে ফেলার আগেআপনার নিজেকে মেরে ফেলা উচিত ছিল কারণ আপনিএকজন ভন্ড হুজুর এবং বাবা নামের আগাছা। আপনার মত বাবাকে সবাই ধিক্কার জানায়। আপানর মত পাষন্ড বাবার জন্য সমাজের অন্যান্য বাবাদেরও কথা শুনতে হয়। যতদিন বেঁচে থাকবেন সন্তান খুনের অপরাধ বয়ে বেড়াতে পারবেন তো ? শিশুটিকে তো এক মিনিটের মধ্যেই মেরে ফেলেছেন, কিন্তু আপনি তো মরবেন তিলে তিলে। আপনাদের মত বাবাদের ধিক্কার ধিক্কার ধিক্কার। পৃথিবীর কোন শিশুর যেন এমন বাবা না হয়।
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৮:৪৬

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




