বার বার সময় পেছানো হচ্ছে। কারণ তখন সমুদ্র বিপদ সংকেত চলছে। যারা আগে সেন্টমার্টিনে গিয়েছে তারা আটকা পড়ে আছে। মন কিছুতেই মানছে না। বিপদ সংকেত কেন শেষ হচ্ছে না। দুইদিন পর ঠিক হলো আর আমরাও রওনা হলাম সেন্টমার্টিনের পথে। সমুদ্র আমি অনেক ভয় পাই তারপরও সেন্টমার্টিনের মত সুন্দর জায়গায় যাওয়ার লোভ সামলাতে পারলাম না।

চলেই গেলাম ভার্সিটি ট্যুরে। ২০১৭ সালে নভেম্বরের ১১ তারিখ রাতে আমরা বাসে উঠি। তারপর সকালে সেন্টমার্টিন পৌছায়। সেন্টমার্টিন জাহাজঘাটে পৌছায়। সেন্টমার্টিন যেতে যেতে দুপুর হয়ে যায়। সে দিনটা সেন্টমার্টিনেই থাকি। পরের দিন সকালে রওনা হই ছেড়াদ্বীপের উদ্দেশ্যে। সংখ্যায় আমরা অনেক হওয়ায় কয়েকটা নৌকা ভাড়া করা হয়। তারপর আমরা পৌছে গেলাম ছেড়াদ্বীপে। সেখানে ঘোরাঘুরি শেষ করার পথে চোখে পড়ল নারকেল। আমি একটি নারিকেল নিলাম আর পাশেই দেখলাম একটি ছোট শিশু দোলনায় দোল খাচ্ছে। শিশুটাকে দেখে মনে হচ্ছিল কি আরামে আছি অথচ তার পরিবারের সবাই কত কষ্টে জীবন যাপন করছে। তারা ৫ ভাই বোন। সবাই কোনরকমে জীবন চালাচ্ছে। রান্না করে খাচ্ছে কিছু পাতা আর সালু। তাদের জিজ্ঞাসা করলে বলে তার বাবা নদীতে মাছ ধরে। ছোট ছেলেও মাছ ধরতে যায়। মা অপেক্ষায় থাকেন সন্তান, স্বামী কখন ঘর ফিরবে। সমুদ্র প্রায় বিপদ সংকেত দেখা দেয়। প্রতিদিন আতঙ্কে দিন কাটে ভদ্রমহিলার। বাচ্চাদের পড়শুনার কথা বললে বলেন, নিজেদের থাকার জায়গা নাই, আজ এখানে ত কাল ওখানে এ অবস্থায় বাচ্চাদের পড়াশুনা করানো তো স্বপ্ন আমাদের কাছে । তারপর দোলনাই তাকিয়ে শিশুটিকে দেখলাম। কি শান্তিতে দোল খাচ্ছে অথচ সে কি জানে তাকেও একদিন এই কষ্টের অংশীদার হতে হবে।
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৩:২৮

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




