somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আবেগে বন্দী ভালবাসা !!!!!!!!

২৪ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ঘড়ির কাটায় রাত তিনটে দশ মিনিট ঘুমাতে পারছে না মেয়েটি, লিখছে তার আবেগের কথাগুলো। ভালবাসার কথা নয় কারন একদিন ছেলেটি মেয়েটিকে বলেছিলো এটা ভালবাসা নয় শুধুই আবেগ। আবেগ যেদিন ফুরিয়ে যাবে মেয়েটির প্রতি ছেলেটির ভালবাসাও ফুরিয়ে যাবে। তাই মেয়েটির সত্যিকারের ভালবাসা ছেলেটি বুঝলো না আবেগ বলে দূরে ঠেলে দিলো মেয়েটির ভালবাসাকে। কাছে আসার একবারও চেষ্টা করলো না। অথচ দীর্ঘ ছয় বছর কেটে যাচ্ছে মেয়েটির আবেগ এখনো শেষ হচ্ছে না। ভালবাসা আর আবেগের ব্যাখা মেয়েটি জানে না শুধু জানে সে একটি ছেলেকে ভালবাসে । যে ছেলেটি না কোনদিন তার সাথে ভাল করে কথা বলেছে , না কোনদিন তার সাথে দেখা করেছে । কারণ মেয়েটির ভালবাসা ছিলো একতরফা ।
ভালবাসে ছেলেটিকে অথচ মুখ ফুটে ছেলেটির সামনে যেয়ে কখনো বলতে পারতো না ভালবাসি তোমাকে। একটি মেয়ে হয়ে একটি ছেলেকে কি করে বলবে ভালবাসি । ভালবাসে খুব অথচ লজ্জায় বলতে পারতো না । কি করে বলবে, যে মেয়েটি ভাল করে কোনদিন কোন ছেলের সাথে কথা বলেনি , স্কুল কলেজ জীবনে যার কোন ছেলে বন্ধু ছিলো না । অথচ সে মেয়েটিই একদিন একটি ছেলের প্রেমে পড়ে গেল। ধীরে ধীরে ছেলেটির প্রতি দূর্বল হয়ে পড়লো। মেয়েটির এখন অনেক ছেলে বন্ধু । এখন সে অনেক ছেলেদের সাথে মিশে , কথা বলে কিন্তু কারও প্রেমে পড়ে না। কাউকে ভাললাগলেও ভালবাসতে পারে না। সামাজিকতার কথা, পরিবারের কথা ভেবে মেয়েটি বিয়ের কথা ভাবলেও মন থেকে কোন ছেলেকে মেনে নিতে পারে না।
তার ভাবনায়, কল্পনায় তার অস্তিত্ব জুড়ে যেন ছেলেটির ছায়া। অথচ ছেলেটি বিয়ে করে অনেক সুখে আছে। হয়তো কোন বন্ধুদের সাথে মেয়েটিকে নিয়ে গল্প করে আর হেসে উড়িয়ে দেয় এই বলে একটি মেয়ে তাকে অনেক ভালবাসতো । ওহ মেয়েটির ভালবাসা তো ছেলেটির কাছে আবেগ। ছেলেটির কাছে মেয়েটির প্রশ্ন সত্যি যদি এটা ভালবাসা না হয় শুধুই আবেগ হয়ে থাকে তবে ছয় বছর হয়ে যাওয়ার পরও কেন মেয়েটি ছেলেটিকে ভুলতে পারে না। আজও কেন ছেলেটিকে নিয়ে ভাবে , ছেলেটিকে নিয়ে স্বপ্ন দেখে । ছেলেটির জন্য লুকিয়ে লুকিয়ে অঝোরে কাঁদে। তবে কি মেয়েটির আবেগ এখনো কাটেনি। প্রতিদিন ছেলেটির আইডিতে যেয়ে একবার হলেও ছেলেটিকে দেখে। ফেসবুক আইডি খোলে ছেলেটির সাথে পরিচয় হবার পর । এরপর মেয়েটি ছেলেটির আইডিতে যেয়ে লাইক দিত আর মাঝে মাঝে কমেন্ট করতো । শুভকামনা অথবা ভালো কোন কমেন্ট। তাতেই মেয়েটি দূর থেকে শান্তি পেত। কিন্তু তাতেও ছেলেটির সমস্যা। কি আর করা অপশন একটা আছেই তো। একদিন মেয়েটিকে আইডি থেকেও ব্লক করে দেয়। মেয়েটি বাধ্য হয়ে আরেকটি আইডি খোলে । সেখান থেকেও ব্লক। কি অপরাধ মেয়েটির, নিস¦ার্থভাবে ছেলেটিকে ভালবাসে হয়তো এটাই মেয়েটির সবচেয়ে বড় অপরাধ।
আবেগ থাকলে মেয়েটি ছেলেটিকে বিয়ের পরও বিরক্ত করে যেত। কিন্তু না যেদিন মেয়েটি শুনলো ছেলেটি বিয়ে করেছে সেদিন থেকে সে আর ছেলেটিকে বিরক্ত করে না । মাঝে মাঝে মেয়েটি যখন কষ্ট সহ্য করতে পারে না তখন সে তার বন্ধুদের নাম্বার থেকে ফোন দেয় । ছেলেটি হ্যালো বললেই কেটে দেয়। কারণ মেয়েটি শুধু ছেলেটির ভয়েস শুনলেই শান্তি পায়। তারপরও কি বলবে এটা ভালবাসা নয় আবেগ। মাঝে মাঝে মেয়েটি বলে তার ভালবাসার মানুষ যদি তার কাছে কোনদিন ফিরে আসে তবে সে সবকিছু ছেড়ে দিয়ে তার ভালবাসার মানুষটিকে গ্রহণ করবে।
কিন্তু মেয়েটি তা কখনোই করবে না কারণ একটি মেয়ে হয়ে আরেকটি মেয়ের সংসার সে কখনো ভাঙ্গবে না । দূর থেকেই সারাজীবন ছেলেটিকে ভালবেসে যাবে। আর লুকিয়ে লুকিয়ে ছেলেটির জন্য চোখের পানি ফেলবে। মেয়েটি ছেলেটিকে শুধু একটা অনুরোধ করে ছিলো তার ফেসবুক আইডিতে যেন মেয়েটিকে ব্লক না করে। কিন্তু ছেলেটি তাও শুনলো না । মাঝে মাঝে মেয়েটি চিৎকার করে কাদে তাও ছেলেটিকে অভিশাপ দেয় না। সবসময় ছেলেটির জন্য দোয়া করে আল্লাহ যেন তাকে ভালো রাখে সুস্থ রাখে। মেয়েটির জন্য ছেলেটির ভালোবাসা সারাজীবন থেকে যাবে । কিন্তু ছেলেটি কখনোই মেয়েটির ভালবাসা বুঝবে না। ভালথাকুক সকলের ভালোবাসার মানুষ।
সর্বশেষ একটি কথাই বলবো .. প্রেমের পাখি সবার বুকে মানে না পোষ অবুঝের মতো তোমাকেই কেন বা দেব দোষ।

সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১০:৪২
৩টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বন্ডাইর মত হত্যাকাণ্ড বন্ধে নেতানিয়াহুদের থামানো জরুরি...

লিখেছেন নতুন নকিব, ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:২৫

বন্ডাইর মত হত্যাকাণ্ড বন্ধে নেতানিয়াহুদের থামানো জরুরি...

বন্ডাই সৈকতের হামলাস্থল। ছবি: রয়টার্স

অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডাই সৈকত এলাকায় ইহুদিদের একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে সমবেত মানুষের ওপর দুই অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী অতর্কিতে গুলি চালিয়েছে। এতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আল্লাহ সর্বত্র বিরাজমাণ নন বলা কুফুরী

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১৪



সূরাঃ ২ বাকারা, ২৫৫ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৫৫। আল্লাহ, তিনি ব্যতীত কোন ইলাহ নেই।তিনি চিরঞ্জীব চির বিদ্যমাণ।তাঁকে তন্দ্রা অথবা নিদ্রা স্পর্শ করে না।আকাশ ও পৃথিবীতে যা কিছু আছে সমস্তই... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিজয়ের আগে রাজাকারের গুলিতে নিহত আফজাল

লিখেছেন প্রামানিক, ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:১৩


ঘটনা স্থল গাইবান্ধা জেলার ফুলছড়ি থানার উড়িয়া ইউনিয়নের গুণভরি ওয়াপদা বাঁধ।

১৯৭১সালের ১৬ই ডিসেম্বরের কয়েক দিন আগের ঘটনা। আফজাল নামের ভদ্রলোক এসেছিলেন শ্বশুর বাড়ি বেড়াতে। আমাদের পাশের গ্রামেই তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

৫৫ বছর আগে কি ঘটেছে, উহা কি ইডিয়টদের মনে থাকে?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:৫৮




ব্লগের অনেক প্রশ্নফাঁস ( Gen-F ) ১ দিন আগে পড়া নিউটনের ২য় সুত্রের প্রমাণ মনে করতে পারে না বলেই ফাঁসকরা প্রশ্নপত্র কিনে, বইয়ের পাতা কেটে পরীক্ষার হলে নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

১৯৭১ সালে পাক ভারত যুদ্ধে ভারত বিজয়ী!

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯


দীর্ঘ ২৫ বছরের নানা লাঞ্ছনা গঞ্জনা বঞ্চনা সহ্য করে যখন পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বীর বাঙালী অস্ত্র হাতে তুলে নিয়ে বীরবিক্রমে যুদ্ধ করে দেশ প্রায় স্বাধীন করে ফেলবে এমন সময় বাংলাদেশী ভারতীয়... ...বাকিটুকু পড়ুন

×