আমি সরকারী দল করি, আমি গর্বিত,আমি ক্ষমতার প্রভাবে সব মানুষকে দাস মনে করি,যখন যা ইচ্ছে করতে পারি,পুলিশ,বিডিআর,আর্মি,র্যাব সব আমার লাঠিয়াল বাহিনী।
আমি এত বোকা নই,জানি অনেক শক্তি আমার,শক্তির অপব্যবহার আমি করিনে,লাগেওনা,একটু বুদ্ধি খাটাই,তাতেই অনেক,লক্ষ লক্ষ কোটি কোটি।
আমি সরকারী বড়কর্তা,যত দলই আসুক আমি ছিলাম,আছি,থাকবো, আমার ও সুযোগ আছে ।লক্ষ লক্ষ কোটি কোটি। মারশাল্লাহ সুযোগের সৎব্যবহার করে থাকি। ঢাকায় বাড়ী,গাড়ী ফ্লাট,প্লট,ছেলে মেয়েরা উচ্চবেতনে দেশে বিদেশে দামী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়ে। আমার যা বেতন তার শতগুন খরচ করি,হাজার গুন সম্পদ গড়ি।
২/১ জন সম্পদহীন ত্যাগী নেতা,২/১জন অর্থনীতিবিদ এবং বিভিন্ন মিডিয়ার কিছু লোক মাঝে মধ্যে আমাদের অবৈধ অর্জন নিয়ে কিছু কথা বলে থাকে,তাতে আমাদেরই সুবিধে হয়,কারণ অবৈধ অর্জন এত সহজ এবং নিরাপদ যে,পুরোটাই--- ব্যক্তিগত করে ফেলতাম ঐ ২/১ জন এ নিয়ে কোন কথা না বললে।
আমি সরকারী বড়কর্তা,সরকারী দলের নেতা আমার ভাই,
দুজনে মিলেমিশে,মাঝে মধ্যে নেতা ভাই একটু বেশী,কারন আমি আছি থাকবো, নেতা ভাই দুদিন আছে,১দিন নাই।দেশী বিদেশী বিভিন্ন চুক্তি,টেন্ডার,অনুদান,কৃয়,বিকৃয়,ঋণ,বদলী,প্রমোশন,পুলিশ কাষ্টমস ইনকাম ট্যাস্কের ভাগ সব মিলিয়ে এক মেয়াদে বিনা রিস্কে হাজার কোটি,একটু রিস্ক নিলে ডাবলেরও বেশী।
আমি ব্যবসায়ী, সরকারী বড়কর্তা,সরকারী দলের নেতার মতো বিনা পুজিতে অগাধ অবৈধ অর্জনের সুযোগ আমার নেই,আমাকে পুজি খাটাতে হয়,আমি ধোয়া তুলশী পাতা নই,আমার অবৈধ রোজগার কারো চেয়ে কম নয়,ভেজাল,প্রতারণা,জনগণ আর রাষ্ট্রকে ফাঁকি, ব্যস কেল্লা মাত মিলিয়নার বিলিয়নার হয়ে যাই।
আমি ব্যবসায়ী,বড় ভাই সরকারী দলের নেতা,ছোট ভাই সরকারী বড়কর্তা পুরো দেশের ৩ ভাগ সম্পদের ২ভাগের মালিক আমরাই। যদিও ট্যাস্ক দেয়ার সময় সম্পদের হিসাব দেওয়ার সময় সম্পদ নাই সম্পদ নাই ভাব করি বিনিময়ে ছোট ভাইকে ঘুষ দিই।
দেশ প্রেমিকের সজ্ঞায় প্রথম সারিতে আমরা।কারণ দেশের উন্নয়নে আমাদের ভুমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
উন্নয়ন যে কি হচ্ছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখেনা,
উন্নয়নের কয়েকটি নমুনা ঃ মাথাপিছু ঋনের পরিমান বৃদ্ধি পাচ্ছে,
ঃ ভিক্ষুেকর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে,
ঃ ফুটপাতে ঘুমানো লোকের সংখ্যা বাড়ছে
ঃ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে,
ঃ হত্যা,গোলযোগ,ছিনতাই,চাঁদাবাজি বৃদ্ধি পাচ্ছে,
ঃ নির্যাতন,ধর্ষন,বৃদ্ধি পাচ্ছে
ঃ সড়ক দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বাড়ছে
ঃ যানযট বাড়ছে
ঃ বিদ্যুৎ,গ্যাস,পানি সংকট বাড়ছে
ঃ বেশ্যাবৃত্তি বাড়ছে
ঃ মাদক, চোরাচালান বৃদ্ধি পাচ্ছে,
ঃ ধনী গরীবের বৈষম্য বাড়ছে ইত্যাদি,যদি ও উন্নয়নের সামান্য নমুনা তুলে ধরা হলো
উন্নয়ন বিশেষজ্ঞ একদল লোক আমাদের দেশে কাজ করে যারা নিজেদের উন্নয়ন কর্মী পরিচয়ে গর্বিত বোধ করেন। আমাদের দারিদ্রতাকে পুঁিজ করে ধনী দেশগুলি থেকে আর্থিক সাহায্য আনছে।বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে আজ পর্যন্ত অফেরৎযোগ্য যত অনুদান এসেছে তা দিয়ে বাংলাদেশের গৃহহীন সকল মানুষের ঘর,স্বাস্থ¯ম্মত লেট্রিন বানিয়ে দেয়া যেত। গর্বিত উন্নয়ন কর্মীরা(প্রধান নির্বাহী)সম্মদশালী হয়েছেন,৫ষ্টার মানের জীবন যাপন করেন।এ খরচ সে খরচ দেখিয়ে উন্নয়নের অর্জনমাত্রা সন্তষজনক পর্যায়ে রিপোর্ট করেন।সেক্ষেত্রে সরকারী সংশ্লিষ্ঠ বিভাগকে,অডিট ফার্মকে ভাগা দিতে হয়।
ক্ষুদ্র ঋনের মাধ্যমে দরিদ্র মানুষের অর্থনৈতিক উ্ন্নয়নের নোবেল বিজয়ী সুত্র ধনীক শ্রেনীরই স্বার্থ রক্ষা করে।সহজ হিসাব,পুজি ঘূর্ণায়মান থাকবে,নারী ও পুরুষের অলস শ্রমের ব্যবহার হবে,বাজার সচল হবে,মুনাফা হবে,শোষন,বন্চ্ঞনা,নির্যাতনের বিরুদ্ধে ন্যায্য পাওনা আদায়ে সংগঠিত না হয়ে,আপাতঃ নগদ কিছু পাওয়ার রিলিফি,খয়রাতি মানসিকতা তৈরী করে।বর্তমানে একই ব্যাক্তি প্রায় ৫/৬টি সংস্থার কাছ থেকে ক্ষুদ্র ঋণ গ্রহন করছে,এ সংস্থা থেকে নিয়ে ঐ সংস্থাকে দিচেছ,এভাবে চলছে খরচ করছে ঘাটতি তৈরী হচেছ,এ মুহুর্তে ২/১টি বড় সংস্থা ঋণ কর্মসুচী বন্ধ করলে ক্ষুদ্র ঋণ আদায়ের হার৫০% এ নেমে আসবে।সমবায়ের নামে মাল্টিপারপাস সোসাইটি এবং মাইক্রো ক্রেডিট রেগুলারিটি অথরিটির অনুমোদনহীন এনজিও গুলো এ চার্জ সেচার্জ এর নামে এবং উচ্চ হার সুদে যা রমরমা ব্যবসা করছে তাতে ঐ এনজিও গুলোর উন্নতি হচেছ, দরিদ্র ঋণ গ্রহিতা অন্যান্য সংস্থার কাছে আরো ঋণী হচ্ছে,ভিটেবাড়ী বিক্রি করে শহরে আসছে,শহরে ক্ষুদ্র ঋণের ফাদে পড়ে অবশিষ্ট শারিরীক মানসিক শ্রম নিংড়ে দিয়ে মৃত্যু পথযাত্রী হয়ে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছে,আল্লাহ মাফ করে দিও।
মানুষকে সৃষ্টির সেরা জীব বলা হয়ে থাকে,কারণ মানুষের মধ্যে বুদ্ধিবৃত্তি আছে।বুব্ধিবৃত্তি ২ধরনের
(১) সুবুদ্ধি (২)কুবুদ্ধি
মানুষের মানবিক মুল্যবোধ,সামাজিক দায়বদ্ধতা,কর্তব্য,সুবুদ্ধি দ্বারা পরিচালিত হলে কল্যাণ। কুবুদ্ধি দ্বারা পরিচালিত হলে অকল্যান।
আমরা আমাদের দেশ কি সুবুদ্ধি দ্বারা পরিচালিত করছি না কি
কুবুদ্ধির প্রভাবে ?
দেশ বা রাষ্ট্রের আগে ব্যাক্তি বা পরিবার নিয়ে আলেচোনা করা যেতে পারে।যদিও সমাজ পরিচালিত হয় রাষ্ট্রীয় নীতিমালা দ্বারা। নীতিমালা আইন কানুন প্রচলিত যা আছে বা যা কিছু পরিবর্তন পরিবর্ধন হচ্ছে তা সকল জনগণের জন্য।
আমাদের একটা বড় পরিবর্তন দরকার,কি পরিবর্তন, কি ভাবে পরিবর্তন তা শুধু উপলদ্বি করা দরকার।
শিশু পাঠে আমরা পড়ি সদা সত্য কথা বলবো,সৎ পথে চলবো,হিংসা নিন্দা করবোনা। মহা মনিষীদের জীবনীও পড়ে থাকি।শিশু থেকে যখন একটু বড় হই,তখন পড়ি, শিখি একজন গোয়ালা কতটুকু দুধে কতটুকু পানি মেশালে কি পরিমান লাভ হবে।শুনি বাবার কাছে চাচার নিন্দা,মায়ের কাছে খালার নিন্দা,এক প্রতিবেশির কাছে আর এক প্রতিবেশির নিন্দা,এক শিক্ষকের কাছে আর এক শিক্ষকের নিন্দা।আর একটু বড় হলে শুনি এক দলের কাছে আর এক দলের নিন্দা,এক নেতার কাছে আর এক নেতার নিন্দা,প্রধান মন্ত্রীর কাছে বিরোধী দলের নেত্রীর নিন্দা,আরো দেখি আইন না মানার প্রতিযোগিতা,দেখি আয় ব্যয়ের অসমতা,দেখি বেতনের শতগুন খরচ করে হাজার গুন সম্পদ গড়ে। দেখছি সরকারী এ - –ট ুজেড শিক্ষা স্বাস্থ্য বিদ্যুৎ পুলিশ কাষ্টমস ওয়াপদা বিআরটিএ রেলওয়ে ভূমি পোর্ট সহ এমন কোন অফিস বা কার্য়ক্রম নেই যেখানে অবৈধ লেনদেন হচ্ছেনা, দেখি চোরাচালান,কালোবাজারী,মজুদদারী করে রাতারাতি কোটিপতি হতে,দেখি ইনকামট্যাক্সের লোকেরা আয় ব্যয়ের অমিল মিল করে দেয় টাকার বিনিময়ে,স্বয়ং রাষ্ট্র কালো টাকা সাদা করার সুযোগ করে দেয় আবার দূর্নীতি দমনের কথা বলে।
কোন ভাবেই মিলাতে পারিনা দূর্নীতি দমনের কথা বলে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ করে দেয় কিভাবে!দূর্নীতি যদি দমনই হয় তাহলে কালো টাকা আসে কোথা থেকে!
ছোট্ট একটা গল্প না বল্লেই নয়- অমাদের এলাকাতে রউপ ভাই নামে একজন লোক আছেন,সম্ভ্রান্ত বনেদী ধনী মুসলীম ঘরের সন্তান,জেলা পর্যায়ের ভালো ফুটবলার ছিলেন,বড় রকমের ইনজুরির কারনে ফুটবল খেলা ইতি টেনেছেন অনেক আগে,হতাশায় নেশা শুরু করেন,৫০উর্দ্ধো রউপ ভাই এখনো পর্যন্ত নেশার মধ্যেই আছেন।এবং প্রিয় নেশা হচেছ গাজা সেবন।আমাদের সমাজে নেশাকে বা যারা নেশা করে তাদের খারাপ ভাবা হয়,যারা ঘুষ খায় তাদেরকে খারাপ ভাবা হয়না,বরং মেয়ের জামাই হিসেবে ঘুষখোর পাত্র পেলে মা বাবা বিয়ের জন্য আর দেরী করতে চাননা,বিয়ের পর আত্মীয়দের গল্প শোনান জামাই যা বেতন পায় তার চেয়ে হাজারগুন বাড়তি ইনকাম।জামাই এর বাপতো ছেলেমেয়ে মানুষ করতে সব শেষ করেছে,জামাই আমার মাত্র ৭বছর চাকরী করে বাপের যা ছিলো তার ১০০গুন করেছে,বিয়ের পর মেয়েকে বলেছে১বছরের মধ্যে মেয়ের নামে শহরে ১০তলা বাড়ী করে দেবে।
আমাদের দেশে মুল্যবোধ এখন কোন স্তরে! বিড়ালের গোপ আছে কিনা তা বিবেচ্য নয়,বিবেচ্য ইদুর ধরে কি না।
তার মানে টাকা কিভাবে রোজগার করলো তা বিবেচ্য নয়,বিবেচ্য কত বেশী টাকার মালিক।
অসততা পুরস্কিত সততা তিরস্বিত।পরিবর্তিত অধপতিত মূল্যবোধ এত নীচে নেমেছে যে,আমাদের খবরের কাগজে পড়তে হয় ৩ বছরের মেয়ে ধর্ষিত হয়,শিশুখাদ্যসহ সকল খাবারে বেশী লাভের আশায় বিষ মেশানো হয়।
আর এই অধঃপতিত পরিবর্তিত মুল্যবোধের জন্য দায়ী শ্রেফ ধরাবাহিক ভাবে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসা রাজনৈতিক দলগৃুলো। আমাদের দেশে যারা রাজনীতি করে নীচু পর্যায়ের কর্মী থেকে উপর পর্যায়ের নেতা পর্যন্ত তাদের মধ্যে দেশপ্রেম সততা নৈতিক মুল্যবোধ শুন্য।পড়াশোনা জ্ঞান র্চ্চার ও প্রচুর ঘাটতি,রাজনীতি এখন ভালো রোজগেরে পেশা।ফুটপাত দখল,চাদাবাজী,ছিনতাই,জমি দখল,লুট,তদবীর,সরকারী কর্মকর্তাদের কাছ থেকে ঘুষের ভাগা,টেন্ডারবাজী,ঠিকাদারী,বদলী,নিয়োগ,প্রভৃতি আয়মুলক কর্মকান্ড রাজনৈতিক নেতা কর্মীরা করে থাকেন।
সম্পদ তৈরীর নেশা,পেশা মানুষকে অমানবিক,নৃসংস,বিবেকবোধহীন,নেতিক মুল্যবোধ বর্জিত অমানুষে পরিণত করে।দেশের কি ক্ষতি হচ্ছে,দেশের মানুষের কি ক্ষতি হচ্ছে,কোনো বিবেচনা নেই।আরো,আরোও সম্পদ চাই।
ছোট পরিসরে,বড় পরিসরে সবভাবেই অন্যায় অনিয়ম হচ্ছে।সব রকম খাবারে ভেজাল বিষক্রিয়া,এমনকি শিশুখাদ্যেও।যার যতটুকু সুযোগ আছে,ক্ষমতা আছে অন্যায় করার সে তা করছে,কেউ করছে লুকিয়ে চুরিয়ে কেউবা খোলামেলা।তবে যে রাজনেতিক দল যখন সরকার গঠন করে তখন অন্যায়ও খোলামেলাভাবে করে।বিচার আইন আদালতকে স্বাধীন করে দিয়েও নিয়ন্ত্রন করে।সাজা মওকুপ হয়,মামলা প্রত্যাহার হয়।
দমন নিপীড়ন চলে আদিম অসভ্যদের মতো।
সব কিছুই লক্ষ্যহীন উ™£ান্ততা অথবা অসৎ উদ্দেশ্য চরিতার্থ।আমাদের সমসাময়িক বা আমাদের চেয়ে পিছিয়ে পড়া দেশগুলো যখন ক্ষুধা,দারীদ্রমুক্ত,নৈতিক মুল্যবোধ জাগ্রত উন্নত দেশে পরিণত হয়েছে,তখন ও আমরা দুর্নীতিতে শীর্ষে থাকার গৌরবে গৌরান্বিত,দুর্নীতি অন্যায় অনিয়ম করে ব্যক্তিগত অজর্নে ওরাজনৈতিকভাবে একে অপরকে দোষারপ করতে ব্যস্ত। ফলাফল ভিক্ষুকের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে,বস্তিতে নিম্ম আয়ের মানুষের অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বসবাস বৃদ্ধি পেয়েছে,দুষন,অন্যায়,অবিচার বৃদ্ধি পেয়েছে,সুবিধাভোগী কিছু মানুষ উচ্চতর বিলাসী জীবন যাপনের সুযোগ অর্জন করেছে।
আমাদের সমাজে বর্তমানের সুবিধাভোগী শ্রেনী যেমন-রাজনৈতিক নেতাকর্মী,ব্যবসায়ী,সরকারী কর্মকর্তা কর্মচারী,উন্নয়ন সংগঠনের প্রধানগণ কখনই মনে প্রানে এ অবস্থার পরিবর্তন চায়না।কারন অন্যায় আর অনিয়মের বর্তমান ব্যবস্থাই অবৈধ অর্জনে উত্তম।
আমরা সমাজতন্ত্র চাই না,সমাজতন্ত্র বুঝিও না,গনতন্ত্র একনায়কতন্ত্র ও বুঝিনা
আমরা শুধু বুঝতে পারি কোন তন্ত্রই এখানে নেই,আছে ক্ষমতাসীনদের ইচ্ছাতন্ত্র।
ইচ্ছাতন্ত্র ও কল্যাণকর হতে পারে যদি তা হয় সদিচ্ছা বা সুবুদ্ধি দ্বারা পরিচালিত।সত্যিকার কল্যান হয় কিসে ? এবং আমরা কি সামর্থ্য ? আমাদের কি কল্যান/শান্তি/মংগল করার আদৌ কোন ইচ্ছা আছে ?আমরা নিজের ইচ্ছায় চুরি,দুর্নীতি,দমন,নিপীড়ন,স্বজনপ্রীতি ছাড়া কিছুই করতে পারিনা। উন্নয়ন উৎপাদন কল্যান সবকিছু প্রভুদের উপর নির্ভর করে।আর প্রভু যদি শয়তান হয়,শয়তানের কাছ থেকে কল্যাণ আশা করা আর মরুভুমিতে পানি খোজা সমান।আমাদের প্রভু দেশগুলো এত শয়তানের শয়তান যে সভ্যতার নামে করে অসভ্যতা,মানবাধিকার রক্ষার নামে করে সীমাহীন লংঘন,শান্তির নামে করে চরম অশান্তি,প্রভুদের খুশি করতে জনগণের কল্যানের পরিবর্তে প্রভুদের কল্যান করা হয়। দেশ প্রেম সেতো শুধু মুখে মুখে,কিন্তু কতদিন! দেশ প্রেমের নমুনা কি চুরি,দুর্নীতি,ব্যক্তিগত সম্পদ বৃদ্ধি,আর রাজকীয় ভোগবিলাস ?১৯৭১ সালে পাকিস্থান প্রীতির জন্য দেশের শত্রু বলা হতো,পাকিস্থানকে বহাল রাখতে চেয়েছিলো যারা তদেরকে শত্র“ বলা হতো,এখনো বলা হয়,এবং দেরীতে হলেও সেই শত্র“দের বিচার শুরু হয়েছে।
আজ এখন একবিংশ শতাব্দিতে কেউ চায়না এ দেশটি পাকিস্থান হয়ে যাক।কিন্তু এ দেশের বেশীরভাগ হিন্দুরা এখন চায় দেশ অল ইন্ডিয়া হলে ভালো হতো,অনেকে অল ইন্ডিয়াই ভাবে,পাকিস্থান প্রীতির জন্য যদি মুসলীম রাজাকার বলা যায় ইন্ডিয়া প্রীতির জন্য নিশ্চয়ই হিন্দু রাজাকার বলা যায়! দেশী অর্থ যারা বিদেশে পাচার করে তারা দেশের শত্র“,এবং পাচারকৃত অর্থ ফেরৎ আনতে সরকার উদ্যোগও নেয়। বাংলাদেশের হিন্দুরা হাজার হাজার কোটি টাকা ইন্ডিয়াতে পাচার করে থাকে তাকে পাচারও বলা হয়না,ফিরিয়ে আনার উদ্যোগও নেয়া হয়না,একি প্রভু ভক্তি!জুজুর ভয়!
এখন আমরা দিধাম্বিত কে দেশপ্রেমিক কে দেশের শত্র“ ?অনুভব করতে পারি দেশপ্রেমিকের সংখ্যা কমছে। যে দেশে দেশের চেয়ে দল বড়ো,দলের চেয়ে ব্যক্তি বড়ো, সে দেশে দেশপ্রেমিকের সৃষ্টি হয়না,
ন্যুনতম দেশপ্রেম যদি আমাদের থাকতো,তাহলে প্রকৃতি ধ্বংস করে ব্যক্তি সম্পদ গড়তে পারতাম না,অবৈধ টাকা অর্জনের জন্য পাহাড়,বন,নদী ধ্বংস করতে পারতাম না,বৈদেশিকঋনের টাকা,অনুদানের টাকা,উন্নয়নের টাকা,নিজের করে তা দিয়ে উচ্চ ভোগ বিলাসী জীবন যাপন করতে পারতাম না।
তাহলে করণীয় কি কিছুই নেই!অবশ্যই আছে,কথা হচ্ছে সঠিক করণীয় কাজটি আমরা করতে চাই কিনা!সত্যিই যদি মনে প্রাণে দেশের,দেশের মানুষের কল্যান চাই,তাহলে দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করতে হবে,যখন যে দল ক্ষমতায় থাকে তাদেরকে হতে হবে দৃষ্টান্ত,নির্ভুলভাবে সরকারী দলের বা ক্ষমতাসীন দলের সকল স্তরের (এ টু জেড)মন্ত্রী,সাংসদ নেতা,কর্মী,সমর্থক প্রত্যেকের আয় ব্যয়ের সঠিক তথ্য, আয়ের সাথে ব্যয়ের অমিল,কি কি কাজের মাধ্যমে সম্পদ অর্জিত হয়,সম্পদের পরিমান,সম্পদের বিপরীতে প্রদেয় ট্যাস্কের পরিমানসহ সকল তথ্য সঠিক ওনির্ভূলভাবে জনগণের কাছে তুলে ধরতে হবে।অবৈধ ভাবে কেউ সম্পদ অর্জন করলে তা বাজেয়াপ্ত করে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির ব্যব¯থা করতে হবে । সরকারী দলের পর সরকারী কর্মকর্তা কর্মচারীদের আয় ব্যয়ের,সম্পদ তৈরীর সকল সত্য তথ্য,অর্থাৎ বেতনের শতগুন কিভাবে খরচ করে,বেতনের হাজারগুন সম্পদ কিভাবে তৈরী করে,আয় ব্যয়ের এই অমিলের সঠিক তথ্য প্রকাশ করে অবৈধ আয় যারা করে তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।এরপর ব্যবসায়ী,ছোট বড় সকল ব্যবসায়ীর ভেজাল,প্রতারণা,রাজস্ব ফাঁকির সঠিক তথ্য,সম্পদের পরিমানের সঠিক তথ্য প্রকাশ করে অসৎ ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে,শিল্পপতি শ্রেনী যারা দেশের কলকারখানার মালিক তাদের সব রকমের ফাঁকি,খেলাপী ঋণের আদায়,অবৈধ সম্পদ অর্জন এর বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।এরপর ক্রমান্বয়ে সকল বিরোধীদলের নেতা কর্মী,এনজিও প্রধান,বেসরকারী,শায়ত্বসাশিত প্রতিষ্টানের উর্দ্ধোতনসহ সকল নাগরিকের আয় ব্যয়ের সঠিক তথ্য এবং সঠিকভাবে রাজস্ব আদ্য়া করতে হবে।
আমরা জানি এ কাজ সরকার সহজে করবেনা বা করতে পারবেনা,আর তাই বলবে হ্যা কাজতো হচ্ছে,কাজ না হলে দেশ চলছে কিভাবে।কি কাজ যে হচ্ছে তাতো দেখছি,অবৈধ আয় আর অবৈধ সম্পদ,উচ্চ ভোগ বিলাস,বলাই যায় শহরে পাবলিক পরিবহনের চেয়ে প্রাইভেট কারের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে,
চক্ষুলজ্জা বলে একটা কথা প্রচলিত আছে,তা বোধ হয় এখন নেই।(চলবে)

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




