বাংলাদেশে বেকার সমস্যা প্রকট, এবং এর জন্য আমরা নিজেরাই দায়ী। আমরা অনেকেই এই কথাটা বুঝতে পারি না বা জানি না যে আসলে চাকরী যথেষ্ট পরিমানে আছে - সেটা দেশেই হোক বা বিদেশে - আমরা হয়তো যথাযথভাবে দক্ষ ও যোগ্য নই।
আর আমি বলছি আমাদের বাংলাদেশের বর্তমান বাস্তবতায় সরকারের কাছ থেকে কিছু আশা করা সত্যিই বোকামী হবে, সেটা মহান আ. লীগ অথবা সুমহান বিএনপি, যে সরকারই হোক না কেন। এই দুই মহান ভদ্রমহিলাগণ এবং তাঁদের নপুংসক অনুসারী ও দলবল ঝগড়া করেই যাবে আর চুরি করতেই থাকবে। আমাদের ভবিষৎ আমাদেরই দেখতে হবে।
আমার ক্ষুদ্র অভিগ্গতায় প্রাথমিকভাবে নিচের কাজগুলি জানা থাকলে আপনি বিদেশে কিছু না কিছু কাজ পাবেনই:
১) ড্রাইভিং
২) কম্পিউটার চালনা
৩) ইংরেজীতে কথা বলা
৪) ইন্টারনেটে তথ্য খুঁজে বের করতে পারা
ড্রাইভিং জানা মানে শুধু ভুয়া সার্টিফিকেট নয়, সত্যিকারভাবে জানা। আর ইংরেজী শিখতে যদি কোনো প্রচলিত মেথডের কোচিংএ ভর্তি হন, তাহলে জীবনেও ইংরেজী শিখতে পারবেন না।এটা শিখতে হবে নিজের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায়। (এ ব্যাপারে পরে আরও বলতে চেষ্টা করবো)
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন ব্যাপার হচ্ছে বিদেশে চাকরীর তথ্য খুঁজে বের করা। গুগল আপনাকে সাহায্য করবে দেশ অনুসারে জব সাইট বের করতে। আপনাকে শুধু যথেষ্ট ধোর্য্য সহকারে চাকরী বাছাই, আবেদন ও উওরের জন্য অপেক্ষা করে যেতে হবে।
যেকোনো দেশে আসার আগে সে দেশের ব্যাপারে ও সেই চাকরীর ব্যাপারে যথেষ্ট গবেষনা করবেন ইন্টারনেটে। তথ্য পাবেন ওয়েবসাইটে, ব্লগে, এমনকি চ্যাট রুমগুলোতে।যে কথাটি জানতে চাইছেন, সেটা সফলভাবে খুঁজে বের করতে পারা যেমন আপনার কাজ পাওয়ার জন্যে দরকার, তেমনি আপনার সেই কাজ করতে পারার ও প্রয়োজনে অন্য আরেকটি ভাল কাজে সুইচ করবার জন্যেও প্রয়োজন।
একটি কথা বিনীতভাবে বলতে চাই, একটি কাজে লেগে গেলে অটোমেটিক অন্য অনেক কাজের খোঁজ পাওয়া যায়। বিদেশে এটা আরও সত্যি।
সবশেষে, ঝুঁকি নিতে পারাটা খুব জরুরী। সুযোগকে বুঝতে পারা ও সেটা কাজে লাগাবার জন্যে প্রয়োজনে নতুন করে ট্রেনিং নিয়ে আবার কাজ খুঁজে বের করাও সফল হবার আরেকটি পূর্বশর্ত।
পড়ার জন্যে ধন্যবাদ।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




