বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ মোঃরুহুল আমিন ১৯৭১
সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে খেতাবপ্রাপ্ত সাতজন
বীরশ্রেষ্ঠের মাধ্যে তিনি একজন গত কিছুদিন
যাবত ফেইজবুকে ঝড় তোলে তার একমাত্র
ছেলে মোঃশওকত এর কিছু ছবি ছবিগুলোতে
দেখাযায় তিনি ফেরি করছেন কখনো বা
দিনমজুরের কাজ করছেন ছবিগুলোর ক্যাপশন করা
হয় এরকম,বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিনের ছেলে
দিনমজুর,রাজাকারের ছেলে মন্ত্রী হলেও
বীরশ্রেষ্ঠের ছেলে ফেরিয়াওলা,কেউ বা
সরকারের সমালোচনা কেউ বা ব্যার্থতা বা
উদাসীনতাকে দায়ী করে পোস্ট বা শেয়ার
করেছেন, এটাকে আমি ইতিবাচক ভাবেই নিব ধরুন
কেউ দেশপ্রেম,আবেগ,ভালোবাসা,কর্তব্য
,দায়ীত্ববোধ থেকে এগুলো
করেছেন,তবে এসব কি অসত্য তথ্য ছিল নাকি
সত্য
আমি বলব ছবি গুলো তো এডিট করা না এগুলো
বাস্তব ছবিতো অনেক কথা বলে,
পরে বলছি্--------------
আবার গত কয়দিন অনলাইন কিছু পত্রিকায় এই খবরটা
এসেছে তবে ভিন্ন ছবি ভিন্ন ক্যাপশন, এসব
নিউজের সাংবাধিকেরা নাকি আবার এসেছেন খবরের
সত্যতা যাছাই করতে ,যাছাই করেন তবে এবার
আমজনতার মত কথা বা মন্তব্য নয়,একেবারে
প্র্রফেশনাল,
তারা কথা বলেছের শওকতের সাথে স্ত্রী
রাবেয়ার সাথে,
কি শুনেছেন সাংবাধিকেরা----------
বলছি,
মোঃশওকত মাসে ৬৫০০টাকা ভাতা পান সরকারের কাছ
থেকে,
মোঃশওকত সহজ,সরল,ভালো,প্রতিবন্ধী একজন
মানুষ ,
যে টাকা সরকার দেন সে টাকা দিয়ে স্ত্রী পরিবার
পরিচালনা করেন ,
তিনি চা অনেক ভালোবাসেন তাই তাকে এককাপ
খাইয়ে যেকোন কাজ করানো যায়,বলেছেন
তার স্ত্রী/
কেনটা সত্য মিলটা কোথায়----------
তিনি কিভাবে জীবনযাপন করেন তার এলাকার মানুষ
অবশ্যই তা দেখেন এবং জানেন, তিনি রাস্তা ঘাটে
কাগজ,বোতল কুড়িয়ে বিক্রি করেন এটা সবাই
জানেন,তিনি প্রতিবন্ধী সেটাও,কিন্তু সাংবাদিকরা
বলেছেন তিনি সহজ সরল প্রতিবন্ধী মানুষ,
প্রতিবন্ধীর কি চিকিৎসার প্রয়োজন হয়না,সেটা কি
অবহেলা নয় দায়ীত্ব কার অবশ্যই
সরকারের,৬৫০০টাকায় কি হয় একটা পররিবারের জন্য,
মোহাম্মদ রুহুল আমিন (জন্ম: ১৯৩৫ - মৃত্যু:
ডিসেম্বর ১০, ১৯৭১) বাংলাদেশের
স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী একজন
শহীদ মুক্তিযোদ্ধা। যুদ্ধে অসামান্য
বীরত্বের জন্য তাঁকে বীরশ্রেষ্ঠ উপাধিতে
ভূষিত করা হয়।
হ্যাঁ,৬৫০০টাকা বর্তমানে একটা সংসার
চালানো যথেষ্ঠ কঠিন তবুও চলছে!
কারণ,যখন আপানার নেই তখন সামর্থের
মধ্যেই চাহিদা মেটাতে হয়।
হচ্ছে তো, সংসারও চলছে বেশ।আমি একটা
অনলাইন পত্রিকায় পড়েছি মোঃশওকতের
স্ত্রী রাবেয়া আক্তার বলেছেন তারা
বেশ সুখে আছেন।যে কোন অনুষ্ঠানে নাকি
তারা প্রধান,বিশেষ অতিথীর আসন পেয়ে
থাকেন। তথ্যটি কি সঠিক আমি কখনো
তাদের কোন অনুষ্ঠানে দেখিনি।তাহলে
কি তিনি সত্যি বলেছেন না আমি ভুল বলছি
সেটা বিবেচনার দায়ীত্ব আপনাদের।
বিশেষ করে যারা নান্দিয়াপাড়া বাজার
এলাকার পাঠক।
আসুন আবার ছবি নিয়ে কিছু বলি-----
ছবিগুলো তো এডিট করা নয় বাস্তব।
আমাদের দেশের সাংবাদিকরা অনেক
এ্যাডভান্স,তারা চোখে দেখেও ভুল
প্রমানে যেমন ওস্তাদ তেমনি চোখে না
দেখেও দোষী বলতে ওস্তাদ।
জ্বি ছবির কথা বলছিলাম,ছবি যেমন স্মৃতি
তেমনি কথাও বলে।চোখে দেখা
ছবিগুলোকে তারা বলছেন স্বাধীনতা
বিরোধীদের অপপ্রচার অথচ এমন দৃশ্যের
সাথে আমরা সবসময় পরিচিত,তারা যদি
স্বাধীনতা বিরোধী হবে তবে কেন সুবিধা
বঞ্চিত মোঃশওকতের পক্ষে লিখল।আমি
বলি কি তারা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে লিখছে।
একজন সুনাগরিক অবশ্যই চাইবে
মুক্তিযুদ্ধাদের পরিবার সচ্ছল জীবন যাপন
করুক।
আসুন আমরা সত্য স্বাধীনতার পক্ষে কথা
বলি,
জয় বাংলা
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:২০