somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পাকিস্তান নিকৃষ্ট বর্বর একটি দেশ

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৫৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

দিনে দিনে সন্ত্রাসবাদের আখড়া হিসেবে
পরিণত হচ্ছে পাকিস্তান। সন্ত্রাসী কার্যক্রমে
মদদ দেয়াসহ জঙ্গি ব্যবস্থাপনায়ও সহায়তার হাত
রয়েছে দেশটির। এমনকি বর্তমানে দুর্ধর্ষ
জঙ্গি দলখ্যাত ইসলামিক স্টেটের (আইএস)
উদ্ভবও পাকিস্তানের নেতৃত্বেই হয়েছে।
আফগানিস্তানের শাখা
হিসেবে তালেবান গোষ্ঠীর পাকিস্তানেও
আবির্ভাব হয়েছে। এর পেছনে কাজ
করেছেন দেশটির চৌকস কিছু গোয়েন্দা
কৌঁসুলি। এমনকি আইএস দৌরাত্ম্য বৃদ্ধিতেও তারাই
কাজ করেছে। এসব কার্যক্রমের বহু প্রমাণ
সংগ্রহ করেছেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে,
বিশ্ব সংঘাত সৃষ্টির পেছনে রয়েছে পাকিস্তান।
আইএস ও তালেবান জঙ্গি তৎপরতা বাড়ার পেছনে
পাকিস্তানের হাত থাকার কারণ হিসেবে ওই
প্রতিবেদনে কিছু বিষয় চিহ্নিত করা হয়েছে।
প্রথমত, সিরাজুদ্দিন হাক্কানি যিনি হাক্কানি
নেটওয়ার্কের নেতা আবার তালেবানের
সেকেন্ড-ইন-কমান্ড। তিনি পাকিস্তানে
মুক্তভাবে চলাফেরা করেন। রাওয়ালপিন্ডিতে
অবস্থিত দেশটির গোয়েন্দা সদর দফতরে
নিরাপত্তা কৌঁসলিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
দ্বিতীয়ত, দেশটির কুয়েতা শহরে দেদারছে
নিজের জঙ্গিদের সঙ্গে বৈঠক করছেন
তালেবানের নতুন নেতা মোল্লা আখতার মানছুর।
তৃতীয়ত, আল-কায়েদা নেতা আইমান আল-
জাওয়াহিরি পাকিস্তানকে আশ্রয়স্থল বানিয়ে
আফগানের দক্ষিণাঞ্চলীয় এলাকায় প্রশিক্ষণ
ক্যাম্প তৈরি করেছে,দক্ষিন এশিয়ায় সন্ত্রাসবাদ
কার্যক্রম প্রসারিত করছেন,
বিগত কয়েক দশকের বিশ্ব পরিস্থিতি
পর্যালোচনা করলে এটা স্পষ্ট হয়ে ওঠে
যে , পাকিস্তান ও সন্ত্রাসবাদ
ক্রমান্বয়ে সমার্থক হয়ে উঠেছে। বিশেষ
করে বিগত কয়েক বছর ধরে বর্বর দেশটির
জঙ্গীবাদী কর্মকাণ্ড পরিচালনার
পরিধি বিষয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বার
বার বিশ্ববাসীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছে।
ভারতও অনেক দিন ধরেই পাকিস্তানের
বিরুদ্ধে সন্ত্রাস ছড়িয়ে দেয়ার
অভিযোগ করে আসছে। সম্প্রতি
আমেরিকার প্রেসিডেন্ট তার বিদায়
ভাষণে অত্যন্ত স্পষ্ট করেই বলেছেনÑ
পাকিস্তানই সন্ত্রাসবাদের স্বর্গ।
ওবামার ভাষণে আমেরিকার
শ্রেষ্ঠত্বের দাবিকে ছাপিয়ে উঠে
আসে সন্ত্রাসবাদের কথা। তিনি মনে
করেন , আগামী এক দশকে আফগানিস্তান,
পাকিস্তানসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশেই
এই অস্থিরতা চলবে। সন্ত্রাসবাদীদের
নতুন স্বর্গ হয়ে উঠবে পাকিস্তান। আল
কায়েদা এবং আইএস যে সরাসরি
আমেরিকার বিপদের কারণ হতে পারে ,
সেই শঙ্কাও প্রকাশ করলেন তিনি।
বললেন , আল কায়েদা এবং এখন
আইএসআইএল সরাসরি আমাদের ওপর
আঘাত হানতে পারে,
বারাক ওবামার কথায় ও উৎকন্ঠা সুপ্রতিষ্ঠিত
হয়েছে,যদিও সারা বিশ্বে সন্ত্রাসবাদ প্রথমে তারা
সৃষ্টি করেছিল উগ্রবাদিদের উৎসাহ ও সমর্থন দিয়ে,
এখন তাদের ঘাড়ে জেকে বসেছে তাদের
পৃষ্ঠপোষতায় বেড়ে উঠা পাকিস্তান তথা সন্ত্রাস
জঙ্গী দল গুলো,
পাকিস্তান বরাবর উগ্র নির্লজ্জ বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি
সৃষ্টিকারী দেশ,
তারা মহত্মা গান্ধীর চরম উদারতা মানবতাবাদ এর
সুযোগ কাজে লাগিয়ে পাকিস্থান আলাদা করে
ফেলেন ভারত থেকে,
ধর্মের ভিত্তিতে, পৃথীবির আর কোন রাষ্ট্র
ধর্মের ভিত্তিতে ভাগ হয়েছে আমি জানিনা,
যেটা সবচেয়ে নিকৃষ্ট অজুহাত বলে আমি মনে
করি,
৪৭ দেশভাগের পরে প্রিয় বাংলাদেশ যখন এই
পাকিস্তানে একটা অংশ তখন তারা বাংলাদেশে
থেকে শোষন করছেন,অবহেলা করেছেন
নির্যাতন করছেন,জগন্য নির্মম ভাবে হত্যা
করেছেন,ধর্ষন করেছেন।
জেনারেল নিয়াজি বাংলাদেশ-
পাকিস্তান যুদ্ধকে 'জিহাদ'
আখ্যায়িত করে দম্ভোক্তি কণ্ঠে তার
সেনাদের উদ্দেশ্যে বলেছিলেন, "One
cannot fight a war here in East Pakistan
and go all the way to the Western wing to
have an ejaculation!" ( পূর্ব পাকিস্তানে
বীর্যপাত না করে কেউ যুদ্ধ সফল করে
পাকিস্তানে ফেরত যেতে পারবে
না )
“ম্যায় ইস হারামজাদী কওম
কি নাসল বদল দুঙ্গা (আমি
এই জারজ জাতির বংশগতি
বদলে দেব। ”
:::::::::জেনারেল নিয়াজি।
নিয়াজি এক
প্রশ্নের উত্তরে বলেন “Are the soldiers
supposed to go to Lahore to find
women?” (মেয়েদের খোজে কি
সৈন্যরা লাহোরে যাবে?)
টিক্কা খান বলেছিলেন,
একজন ভালো মুসলমান কখনো তার পিতার সাথে
যুদ্ধ করবেনা,বেঈমানী করবেনা।
আজ যা আমাদের সহজে অনুমেয় হচ্ছে যে
স্বাধীনতার ৪৫ বছর পরও এদেশে পাকিস্তান
পন্থী লোকের অভাব নেই তারা বাংলাদেশকে
বাংলাস্থান করার জন্যে সদা তৎপর,
এবং একপ্রজরতি বিশ্বাস করে পাকিস্তান একটি
শান্তিপুর্ন দেশ,পাকিস্তানের কারনে দক্ষিন এশিয়ায়
এখনো ইসলাম টিকে আছে,
"এরা টিক্কা খান,জেনারেল নিয়াজীর
সফল সিদ্ধান্তের ফসল,,
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ক- এর নুডুলস

লিখেছেন করুণাধারা, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৫২



অনেকেই জানেন, তবু ক এর গল্পটা দিয়ে শুরু করলাম, কারণ আমার আজকের পোস্ট পুরোটাই ক বিষয়ক।


একজন পরীক্ষক এসএসসি পরীক্ষার অংক খাতা দেখতে গিয়ে একটা মোটাসোটা খাতা পেলেন । খুলে দেখলেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

কারবারটা যেমন তেমন : ব্যাপারটা হইলো কি ???

লিখেছেন স্বপ্নের শঙ্খচিল, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০২

কারবারটা যেমন তেমন : ব্যাপারটা হইলো কি ???



আপনারা যারা আখাউড়ার কাছাকাছি বসবাস করে থাকেন
তবে এই কথাটা শুনেও থাকতে পারেন ।
আজকে তেমন একটি বাস্তব ঘটনা বলব !
আমরা সবাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্প্রিং মোল্লার কোরআন পাঠ : সূরা নং - ২ : আল-বাকারা : আয়াত নং - ১

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:১৬

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আল্লাহর নামের সাথে যিনি একমাত্র দাতা একমাত্র দয়ালু

২-১ : আলিফ-লাম-মীম


আল-বাকারা (গাভী) সূরাটি কোরআনের দ্বিতীয় এবং বৃহত্তম সূরা। সূরাটি শুরু হয়েছে আলিফ, লাম, মীম হরফ তিনটি দিয়ে।
... ...বাকিটুকু পড়ুন

কুরসি নাশিন

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:১৫


সুলতানি বা মোগল আমলে এদেশে মানুষকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছিল৷ আশরাফ ও আতরাফ৷ একমাত্র আশরাফরাই সুলতান বা মোগলদের সাথে উঠতে বসতে পারতেন৷ এই আশরাফ নির্ধারণ করা হতো উপাধি... ...বাকিটুকু পড়ুন

বসন্ত বিলাসিতা! ফুল বিলাসিতা! ঘ্রাণ বিলাসিতা!

লিখেছেন নাজনীন১, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৪:০৯


যদিও আমাদের দেশে বসন্ত এর বর্ণ হলুদ! হলুদ গাঁদা দেখেই পহেলা ফাল্গুন পালন করা হয়।

কিন্তু প্রকৃতিতে বসন্ত আসে আরো পরে! রাধাচূড়া, কৃষ্ণচূড়া এদের হাত ধরে রক্তিম বসন্ত এই বাংলার!

ঠান্ডার দেশগুলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

×