somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

গনস্বাস্হ্য এর করোনা কিট (৩)

২৮ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:২৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সরকার এর উচিত গনস্বাস্হ্য কে সাথে নিয়েই এই কিট কে পরীক্ষা করা....এই কিট যদি উনাদের ক্লেইম অনুসারে রক্তে ভাইরাস এর এন্টিজেন (লাইভ ভাইরাস এর ই শরীরের একটু অংশ) ৫ মিনিটে ডিটেক্ট করতে পারে তাহলে সারা বিশ্বে এই কিট নিয়ে কাড়াকাড়ি লেগে যাবে..তখন সরকার তার এই অদুরদর্শীতার জন্য নিজের আংগুল কামড়ানো ছাড়া কিছুই করার থাকবে না। যদিও এখন বিশ্বের গোল্ড স্ট্যান্ডার্ডহল আরটিপিসিআর দিয়ে নাকের ভিতর থেকে নেওয়া স্যাম্পল থেকে ভাইরাস কে সরাসরি ডিটেক্শন করা কিন্তু স্যাম্পল প্রসেসিং, ডিটেক্টশান করতে করতে ৮-১০ ঘন্টা লেগে যায় এবং ব্যয়বহুল আর তার সাথেতো স্পেসিফিক যন্ত্রপাতিই লাগে তাই সব ল্যাবেই এটা করা যায় না।

....আর গনস্বাস্হ্য এর মতে যদি সিম্পল রক্ত থেকেই এই ভাইরাস এর এন্টিজেন ডিটেক্ট করা যায় ৫ মিনিটে, তাহলে এটা তো সারা বিশ্বই ব্যবহার করবে...পিসিআর এর মত এতব্যয়বহুল পদ্ধতি বিশ্ব কেন ইউজ করবে..।

কিন্তু আমার একটু সন্দেহ আছে রক্তে ভাইরাস এর উপস্হিতি নিয়ে ....খুব কমই রোগীর ক্ষেত্রেই রক্তে লাইভ ভাইরাস পাওয়া গেছে চায়নাতে..।এই হার ছিল ১০-৩০% রোগীর মাঝে.... ভাইরাস টা শ্বাসযন্ত্রে ই এটাক করে....।

তারপর ও সরকার (অথবা ৩য় কোন পক্ষ) এর উচিত মিনিমাম ১০০-২০০ রোগীর উপর টেস্ট করে পিসিআর রেজাল্ট এর সাথে তুলনা করা...যদি ভাল রেজাল্ট দেয় তাহলে তো বাংলাদেশের ই নাম হবে....


গনস্বাস্হ্য ও তাদের ডাটাকে কোন সাইন্টেফিক জার্নালে প্রকাশ করা উচিত যাতে সারা বিশ্ব জানতে পারে....পাবলিকেশন ছাড়া মুখের কথায় কেউ বিশ্বাস করবে না

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পস্তাতে হবে যদি এই কিট এর এন্টিজেন ডিটেকশান এবিলিটি ৫ মিনিটে হয় যেখানে ৮-১০ ঘন্টা (উইথ লটস অফ মানি) লাগে ভাইরাস ডিটেক্ট করতে বর্তমান পিসিআর পদ্ধতিতে...যদিও আমি সন্দিহান এই বিশাল ক্লেইম এ...
পুরা বিশ্ব হুমড়ি খেয়ে পড়বে যদি আসলেই নির্ভুল ভাবে ১০০% ডিটেক্ট করতে পারে ৫ মিনিটে কিন্তু বিজ্ঞান তো এই ক্লেইম কে সাপোর্ট করে না...

প্লিজ গনস্বাস্হ্য - if you are confident with your extraordinary claim, publish its invention in a world class scientific journal for the whole world to see.

সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে এপ্রিল, ২০২০ ভোর ৪:০১
৯টি মন্তব্য ৮টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধাদের মুমিনী চেহারা ও পোশাক দেখে শান্তি পেলাম

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:৫৮



স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে স্টেজে উঠেছেন বত্রিশ মুক্তিযোদ্ধা তাঁদের চব্বিশ জনের দাঁড়ি, টুপি ও পাজামা-পাঞ্জাবী ছিলো। এমন দৃশ্য দেখে আত্মায় খুব শান্তি পেলাম। মনে হলো আমাদের মুক্তিযোদ্ধা আমাদের মুমিনদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

দু'টো মানচিত্র এঁকে, দু'টো দেশের মাঝে বিঁধে আছে অনুভূতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৩৪


মিস ইউনিভার্স একটি আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতার নাম। এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুন্দরীরা অংশগ্রহণ করলেও কখনোই সৌদি কোন নারী অংশ গ্রহন করেন নি। তবে এবার রেকর্ড ভঙ্গ করলেন সৌদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের দুই টাকার জ্ঞানী বনাম তিনশো মিলিয়নের জ্ঞানী!

লিখেছেন সাহাদাত উদরাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ২:৫৯

বিশ্বের নামীদামী অমুসলিমদের মুসলিম হয়ে যাওয়াটা আমার কাছে তেমন কোন বিষয় মনে হত না বা বলা চলে এদের নিয়ে আমার কোন আগ্রহ ছিল না। কিন্তু আজ অষ্ট্রেলিয়ার বিখ্যাত ডিজাইনার মিঃ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×