সরকার এর উচিত গনস্বাস্হ্য কে সাথে নিয়েই এই কিট কে পরীক্ষা করা....এই কিট যদি উনাদের ক্লেইম অনুসারে রক্তে ভাইরাস এর এন্টিজেন (লাইভ ভাইরাস এর ই শরীরের একটু অংশ) ৫ মিনিটে ডিটেক্ট করতে পারে তাহলে সারা বিশ্বে এই কিট নিয়ে কাড়াকাড়ি লেগে যাবে..তখন সরকার তার এই অদুরদর্শীতার জন্য নিজের আংগুল কামড়ানো ছাড়া কিছুই করার থাকবে না। যদিও এখন বিশ্বের গোল্ড স্ট্যান্ডার্ডহল আরটিপিসিআর দিয়ে নাকের ভিতর থেকে নেওয়া স্যাম্পল থেকে ভাইরাস কে সরাসরি ডিটেক্শন করা কিন্তু স্যাম্পল প্রসেসিং, ডিটেক্টশান করতে করতে ৮-১০ ঘন্টা লেগে যায় এবং ব্যয়বহুল আর তার সাথেতো স্পেসিফিক যন্ত্রপাতিই লাগে তাই সব ল্যাবেই এটা করা যায় না।
....আর গনস্বাস্হ্য এর মতে যদি সিম্পল রক্ত থেকেই এই ভাইরাস এর এন্টিজেন ডিটেক্ট করা যায় ৫ মিনিটে, তাহলে এটা তো সারা বিশ্বই ব্যবহার করবে...পিসিআর এর মত এতব্যয়বহুল পদ্ধতি বিশ্ব কেন ইউজ করবে..।
কিন্তু আমার একটু সন্দেহ আছে রক্তে ভাইরাস এর উপস্হিতি নিয়ে ....খুব কমই রোগীর ক্ষেত্রেই রক্তে লাইভ ভাইরাস পাওয়া গেছে চায়নাতে..।এই হার ছিল ১০-৩০% রোগীর মাঝে.... ভাইরাস টা শ্বাসযন্ত্রে ই এটাক করে....।
তারপর ও সরকার (অথবা ৩য় কোন পক্ষ) এর উচিত মিনিমাম ১০০-২০০ রোগীর উপর টেস্ট করে পিসিআর রেজাল্ট এর সাথে তুলনা করা...যদি ভাল রেজাল্ট দেয় তাহলে তো বাংলাদেশের ই নাম হবে....
গনস্বাস্হ্য ও তাদের ডাটাকে কোন সাইন্টেফিক জার্নালে প্রকাশ করা উচিত যাতে সারা বিশ্ব জানতে পারে....পাবলিকেশন ছাড়া মুখের কথায় কেউ বিশ্বাস করবে না
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পস্তাতে হবে যদি এই কিট এর এন্টিজেন ডিটেকশান এবিলিটি ৫ মিনিটে হয় যেখানে ৮-১০ ঘন্টা (উইথ লটস অফ মানি) লাগে ভাইরাস ডিটেক্ট করতে বর্তমান পিসিআর পদ্ধতিতে...যদিও আমি সন্দিহান এই বিশাল ক্লেইম এ...
পুরা বিশ্ব হুমড়ি খেয়ে পড়বে যদি আসলেই নির্ভুল ভাবে ১০০% ডিটেক্ট করতে পারে ৫ মিনিটে কিন্তু বিজ্ঞান তো এই ক্লেইম কে সাপোর্ট করে না...
প্লিজ গনস্বাস্হ্য - if you are confident with your extraordinary claim, publish its invention in a world class scientific journal for the whole world to see.
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে এপ্রিল, ২০২০ ভোর ৪:০১