ঘন্টা খানিক আগে একটা সাইন্টিফিক পেপার প্রকাশ হয়েছে.....পড়ে মাথা বন বন করে ঘুরছে....এত দেশ থাকতে কেন শুধু বাংলাদেশে????? এশিয়াতে তো করোনার প্রাদুর্ভাব কম এবং সেটা ব্যাখা করে ও একটা পোস্ট দিয়েছিলাম মাস দুয়েক আগে..
আপনার সবাই জানেন যে কিছুদিন আগেই বিজ্ঞানী রা বের করেছেন যে আমাদের কিছু ডিএনএ (gene) যেটা ক্রমোজম তিন এবং ৯ এ আছে, সেখানের কিছু জিন কভিড আক্রান্ত দের মাঝে ডিফারেন্ট অন্যদের চেয়ে যারা কভিড এ আক্রান্ত হয় নি, অথবা আক্রান্ত হন না... ক্রোমজম ৯ এ যে জিন আমাদের ব্লাড গ্রুপ ডিসাইড (ABO locus) করে সেখানে দেখা যাচ্ছে যে যারা A type blood group তারাই বেশী আক্রান্ত হচ্ছেন। আর যারা O type, তারা বেশী আক্রান্ত হচ্ছেন না....
কিন্তু এখন সেই ক্রোমজম ৯ এর ABO theory আরো কঠিন পরীক্ষা এর পর ভুল বলে প্রমানিত হয়েছে...। এটা পাবলিশ করেছে
COVID-19 host genetics initiative
কিন্তু তারা ১০০% সিউর যে ক্রোমজম তিন এর ডিএনএ অনেক ডিফারেন্ট যারা কভিড আক্রান্ত হচ্ছেন অন্যদের তুলনায় যারা আক্রান্ত হচ্ছেন না।
আজ বিশ্ববিখ্যাত বিজ্ঞানী ড: Svante Pääbo from German Max Planck Institute and Dr. Hugo Zeberg from Sweden's famous Karolinska Institute একটা 'পেপার' পাবলিশ করেছেন এই ক্রমোজম ৩ এর ভেরিয়েশন সোর্স খুজে পাওয়া নিয়ে।
আপনারাও দেখতে পারেন এখানে
The major genetic risk factor for severe COVID-19 is inherited from Neandertals
আপনারা জানেন যে নিয়ানডার্টাল (অথবা নিয়ানডার্থাল) হল ৫০,০০০ বছর আগে মানুষের মত দেখতেই আরেক প্রজাতি যারা বিলীন হয়ে গিয়েছে..তবে আফ্রিকা থেকে যখন আদিম মানুষ ইউরোপ/ এশিয়াতে ছড়িয়ে পড়ে, তারা তখন নিয়ানডার্টাল দের সাথে দেখা হয় এবং তারা যৌন সংগমও করে...এরই ফলশ্রুতিতে আধুনিক মানুষ এখনও কিছু ডিএনএ বহন করে যেটা এসেছে নিয়ানডার্টাল থেকেই। সেই ডিএনএ আমাদের ২৩ টা ক্রমোজমেই ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে....তবে কভিড এর সাথে সংশ্লিস্ট যে নিয়ানডার্থাল ডিএনএ সেটা আছে ক্রোমজম তিন এ ....যাদের মাঝে নিয়ানডার্থাল এর এই ৫০,০০০ অক্ষর এর ডিএনএ আছে, তারাই বেশী করে কভিড এ আক্রান্ত হচ্ছেন।
সারা পৃথিবীতে খুব কম সংখ্যক লোকের মাঝে এই নিয়ানডার্থালএর এই ৫০,০০০ অক্ষর এর ডিএনএ আছে ক্রমোজম তিন এ। ইউরোপের ৮% লোকের আছে কিন্ত সবচেয়ে বেশি আছে সাউথ এশিয়াতে (প্রায় ৩০%)। সর্বোচ্চ ৬৩% লোকের এই ডিএন এ আছে
সারা পৃথিবী এর মাঝে মাত্র একটা দেশের লোকজনের মাঝে আর সেই দেশটার নাম
বাংলাদেশ!!!!!!!!!!!!
আমার মতে এই ক্রমোজম ৩ এর ডিএনএ হয়ত কিছুটা এক্সপ্লেইন করতে পারে বাংলাদেশে করোনার ইনফেকশান কে...কিন্তু টোটাল ইনফেকশান আরো অন্য ফ্যাক্টর দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। পুরুষ মানুষ বেশী মারা যাচ্ছে....বাংলাদেশের পুরুষের কোন জিন
(on Y chromosome) কি বাংলাদেশের নিয়ানডার্থাল জিন গুলি কে নিয়ন্ত্রন করছে??? যেটা অন্য দেশে হচ্ছে না??? সম্ভব.... ওয়াই ক্রমোজমের ভ্যারিয়েশন এর ফলে হয়ত কেউ খুব ব্যাপক আকারে সক্রমিত হচ্ছেন আবার অন্যরা রেসিসটেন্ট হচ্ছেন। ডাটা কিন্তু তাই বলে...আমেরিকার অর্ধেক জনসংখ্যা, হাসপাতাল এ ব্যবস্হা অপ্রতুল. তাও মৃত্যু সংখ্যা আমেরিকার তুলনায় অনেক কম (২০০০ বনাম ১৩০০০০)।
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১০:৪৬