এটা যদি অনেকদিন ধরেই চলতে থাকে, তা হলে কিন্তু আপনার উচিত হবে না এটা কে এড়িয়ে যাওয়া। এর পিছনে বড় কারন আপনার হার্ট অথবা কিডনি এর কার্যক্ষমতা কমে আসছে....তাই পানি জমছে..কিডনির প্রবলেম হলে চোখের চারদিকে ও একটু ফোলা ফোলা লাগবে। আর যদি শুধু এক পায়ে এমন দাগ হয় মোজা থেকে, তাহলে হয়ত সেই পায়ে কোন ব্লাড ক্লট আছে যেটা খুবই ডেন্জারাস হয়ে যেতে পারে (ডিপ ভেইন থ্রোমবসিস)
২- আপনার বাচ্চা যখন বড় হবে, তার উচ্চতা কত হবে, তা বের করার সহজ অংক হল: বাবা এবং মায়ের উচ্চতা যোগ করুন। এখন ছেলে হলে, যোগ ফলের সাথে ৫ ইন্চি যোগ করুন আর মেয়ে হলে ৫ ইন্চি বিয়োগ করুন: এখন সেই ফল কে দুই দিয়ে ভাগ করুন, তাতেই আপনি পাবেন বাচ্চার এডাল্ট বয়সে কত উচ্চতা হবে। (প্লাস/মাইনাস ৩ ইন্চি)।
৩। দেখি মাথা ব্যাথা নিয়ে পোস্ট, কিন্তু পুরা বনর্না ই কি ধরনের রাজকীয় দামী খাওয়া খেয়েছেন তার শো অফ...এটা ভাল টেকনিক কিন্তু উনি জানেন না ব্লগার রা এত নাঈভ না...সব ধরতে পারে...অবশ্য অন্য একজন ব্লগার এত সুন্দর এবং সহজ ভাবে বাসার সাজ-গোজ, খাওয়া-দাওয়ার ছবি দিয়ে পোস্ট দেন কিন্তু সেটাকে আর্টই মনে হয়। এই কাজ টাই মাথা ব্যাথার মত কেউ যদি পোস্ট দিত সেটা মনে হত শুধুই শো-অফ।
৪। আমেরিকাতে দেখি দৈনন্দিন কাজে ছোটখাট অনেক দরকারী জিনিস ব্যব হার হয়, সেগুলি বাংলাদেশে ব্যবহার হয় কিনা জানি না...।কিন্তু এখানে সবাই ইউজ করে....বাংলাদেশে যদি ইউজ না হয়, কেউ ছোটখাট ব্যবসা আরম্ভ করতে পারেন এসব জিনিস দিয়ে: যেমন
ফ্রিজে যাতে সব সময় সতেজ বাতাস থাকে, গন্ধ না হয়, প্রতি মাসে এরকম বেকিং সোডার প্যাক রাখা হয়...নো গন্ধ এনিমোর ইনসাইড রিফ্রেজেরেটর..
ডিশ ওয়াসার এবং ওয়াশিং মেশিন (আমি আবার এই দুটার পার্থক্য বুঝি না) কে মাসে একবার এক ধরনের ছোট একটা সাবান দিয়ে ক্ষার জনিত ক্ষতি যাতে না হয় এবং চর্বি/ময়লা জমে যে গন্ধ হয় সেটা থেকে রক্ষা করা যায়। কাপড় শুকানোর সময় সুগন্ধি লাগানো ছোট এক টুকরা 'কাগজ' কে সাথে দিলে, সমস্ত কাপড় থেকে খুবই ফ্রেশ গন্ধ বের হয়...আর তোয়ালে জাতীয় কাপড় কে মোলায়েম করার জন্য এক চামচ সফটনার জাতীয় লিকুইড সাবানের সাথে মিশানো হয়। আবার বাথরুমে এর ফ্লাশ করার পানির ট্যাংক এর ভিতর ও একটা ছোট জাতীয় সাবান রাখা হয়, যেটা আপনার কমোড কে অনেকদিন পর্যন্ত্য পরিস্কার রাখে...নো মাজা মাজি...।
উপরের সব গুলিই খুবই সস্তা (এক ডলারের এর কম দাম)
৫। পুরুষশাসিত দেশের লোকজন বেশীর ভাগ সময়কে বাচ্চা দেখতে বাবার মত হয়েছে বলে মত দেয় অথচ বিজ্ঞান বলে এটা কোন ভাবেই সম্ভব না .. বাচ্চার সমস্ত জিনগুলিই দুইটা করে কপি থাকে ..একটা আসে মা থেকে আর একটা আসে বাবা থেকে (ফিফটি-ফিফটি হবে দেখতে)
৬। LinkedIn হল Professionals দের সবচেয়ে বড় প্ল্যটফর্ম, তাবদ পৃথিবীর বিজ্ঞানী থেকে সিইও সকল পেশার লোকজনের আনাগোনা এখানে....অনেকেই নিজ নিজ অর্জন যেমন নতুন চাকরী পাওয়া, পিএইচডি ডি্গ্রি পাওয়া, পেপার পাবলিশ করা এসব জানিয়ে পোস্ট দেন....বিজ্ঞান এর আবিস্কার নিয়ে পোস্টে (হয়ত উনি কোন বিজ্ঞান সাময়কিতে কোন পেপার পাবলিশ করেছএন) যখন কোন পোস্ট দাতা আরম্ভ করেন রিলিজিয়াস কোন কোট দিয়ে যেমন (অল প্রেইজ টু গড, জাজাকাল্লাহ....আমিন), তখন প্রফেশনালিজম টা মনে হয় আর মেইন টেইন হয় না
৭। অনেকে পদ্মা সেতু হওয়াতে তেমন শান্তি পাচ্ছেন না সারাদিন মান চেস্টা কেমন করে একটা ইস্যু বের করা যায়...১% সুদে না নিয়ে ৭% সুদে কেন হল? এখন হয়ত উনারা রাগ করে আর পদ্মা সেতু ইউজ করবেন না....যে আমি বেকুল নয়নে জাপানে বানানো এমন লাল-সবুজের মেট্রো ট্রেন দেখে আবেগে আপ্লুত ..উনারা হয়ত রাগের চোটে এই ট্রেনে চড়বেন ই না
৮। সবার শেষে আমার অনেক প্রিয় একটা গান...।ইউটিউবের ১৫-১৬ টা ভার্শান আছে সবগুলিকে লুপে সাজিয়ে সারাদিন বাজিয়ে যাচ্ছি আর কাজ করছি
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই মার্চ, ২০২১ দুপুর ১২:৩৩