ধর্মের দিক থেকে এটাকে কিভাবে দেখা হবে। ঐ ব্যক্তি কি ইহুদিদের সিনাগগ অথবা মসজিদে প্রবেশ করতে পারবে? এই গবেষনায় নেত্বত্ত দিয়েছেন পাকিস্হানী অরিজিন ড: মোহাম্মদ মহিউদ্দীন। উনি প্রায় ৩ দশক ধরে এটা নিয়ে গবেষনা করছেন। প্রশ্ন হলে শূকুর কেন? অনেক কারন এর মাঝে একটা হল যে এনাটমিক্যালি শূকুর এর হার্ট এর ক্লোজ সাদৃশ্য মানুষের হার্টের সাথে।
Ethical dilemma: BBC news
Pig heart in human
জিনগত রূপান্তরিত একটি শূকরের হৃদ্যন্ত্র মানুষের শরীরে সফলভাবে প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ড অঙ্গরাজ্যের বাল্টিমোরের ইউনিভার্সিটি অব মেরিল্যান্ড মেডিকেল সেন্টারে গত শুক্রবার সাত ঘণ্টা ধরে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে ওই হৃদ্যন্ত্র প্রতিস্থাপন করা হয়।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বে প্রথমবারের মতো কোনো শূকরের হৃদ্যন্ত্র মানুষের শরীরে সফলভাবে প্রতিস্থাপন করা হলো। যে ব্যক্তির শরীরে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে ওই হৃদ্যন্ত্র প্রতিস্থাপন করা হয়, তাঁর নাম ডেভিড বেনেট (৫৭)। অস্ত্রোপচারের তিন দিন পর বেনেট বেশ ভালো বোধ করছেন বলে চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন।
তবে বেনেটের এই অস্ত্রোপচার ঠিক কতটা সফল হতে যাচ্ছে, তা এখনই বলা যাচ্ছে না। বেনেটকে বাঁচানোর শেষ আশা হিসেবে তাঁরা এই পদক্ষেপ নিয়েছেন।
অস্ত্রোপচারের এক দিন আগে ডেভিড বেনেট এ বিষয়ে কথা বলেন। তাঁর ভাষ্য, এই শেষ সুযোগ (শূকরের হৃৎপিণ্ড) ছিল তাঁর জন্য অনেকটা অন্ধকারে গুলি ছোড়ার মতো। কারণ, তাঁর বেঁচে থাকার অন্য কোনো উপায় নেই এমনটা লিখিত নিয়েই ইউনিভার্সিটি অব মেরিল্যান্ড মেডিকেল সেন্টারের চিকিৎসকদের এই চিকিৎসা প্রক্রিয়ায় অনুমোদন দেয় যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ।
চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, বেনেটের শারীরিক অবস্থা অনেক দুর্বল থাকায় তাঁর শরীরে মানুষের হৃদ্যন্ত্র প্রতিস্থাপন করা সম্ভব ছিল না। জিনগত রূপান্তরিত শূকরের এই হৃদ্যন্ত্র ভালোভাবে কাজ করলে এই গবেষণা সারা বিশ্বের বহু মানুষের প্রাণ বাঁচাবে বলে আশা করছেন এই অস্ত্রোপচারের সঙ্গে যুক্ত থাকা সার্জন বার্টলি গ্রিফিথ।
বেনেটের অস্ত্রোপচারের সময় ছিলেন মেরিল্যান্ড স্কুল অব মেডিসিন বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্জারি বিভাগের চেয়ারম্যান ক্রিস্টিনা লাও। এই চিকিৎসক বলেন, সাধারণত মানুষ থেকে মানুষে অঙ্গ প্রতিস্থাপনের কাজ হয়ে থাকে। অঙ্গের জন্য অপেক্ষা করে সব সময় মানুষ মারা যাচ্ছে। যদি জিনগত রূপান্তরিত শূকরের অঙ্গ ব্যবহারে সফলতা আসে, তবে এ ধরনের মানুষের আর অপেক্ষা করতে হবে না।
যুক্তরাষ্ট্রে বর্তমানে অঙ্গ প্রতিস্থাপনের অপেক্ষায় থাকা রোগীদের মধ্যে দিনে গড়ে ১৭ জনের মৃত্যু হচ্ছে। সেখানে অঙ্গ প্রতিস্থাপনের তালিকায় থাকা রোগীদের সংখ্যা লক্ষাধিক।
এর আগে ২০২১ সালের অক্টোবরে নিউইয়র্কের কয়েকজন সার্জন জানান, তাঁরা প্রথমবারের মতো এক ব্যক্তির শরীরে শূকরের কিডনি প্রতিস্থাপনে সক্ষম হয়েছেন। তবে ওই রোগী ‘ক্লিনিক্যালি মৃত’, তাঁর ফিরে আসার সম্ভাবনা নেই।
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই জানুয়ারি, ২০২২ রাত ৮:৪৬