ছবিতে যে বাচ্চাকে স্কুল থেকে হাল ফ্যাশান এর ড্রেস পড়ে বাসায় ফিরে আসতে দেখা যাচ্ছে, এই ছেলের মা গত ৩০ বছর থেকে কলাবাগান বস্তিতে থাকতেন (সেখানেই জন্ম, সেখানেই বেড়ে উঠা, সেখানেই এই ছেলের জন্ম)। আজ তারা সরকার এর তৈরী করা ১৪ তলা দালানের ৫০০-৬০০ স্কয়ার ফুটের একটা ফ্ল্যাটে থাকেন। মায়ের কথা শুনতে শুনতে কখন যে চোখ থেকে অজান্তে পানি গড়িয়ে পড়ল, বুঝতেও পারি না....খুব মনোযোগ দিয়ে কথা গুলি শুনলাম...।এই ছেলের তেমন কোন বন্ধু বান্ধব ছিল না থাকলেও বস্তিতে থাকাতে তেমন কেউ মিশতোও না....এমন পরিবেশে থেকে এই ছেলের মানসিক যে অবস্হা নিয়ে বড় হত, তা দিয়ে যে থেকে বের হয়ে এসে কোন প্রডাক্টিভ কাজে জয়েন করা কস্টকর হয়ে দাড়াতো...কিন্তু এখন সে স্বপ্ন দেখতেই পারে...তার গেট আপ, ব্যবহার সব দেখে মনে হয় না কোন হীনমন্যতা তাকে ঘিরে আছে এখন।
তবে আমি জানি এই মহতী উদ্দোগ কেও প্রশ্নবিদ্ধ করতে কিছু ব্লগার আসবে নানা রকম এর 'সমস্যার' কথা নিয়ে..।বিল্ডিং বানাতে দূর্নীতি হয়েছে, টাকা খেয়ে ফ্ল্যাট বরাদ্দ হয়েছে, ভাড়া দিতে হচ্ছে, চাকরীর ব্যবস্হা নাই নানা রকম এর অভিযোগ...।আপনার অভিযোগ নিয়ে আপনি থাকুন...আমি এই ছেলে আর ছেলের মায়ের হাসি মুখ দেখে ঘুমাতে যাচ্ছি...। শান্তি লাগছে এদের শান্তি দেখে.......