মন্ত্রী, সাংসদ ও ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তাদের জব্দ বা আটক হওয়া এবং ঝড়ে উপড়ে পড়া কাঠের বিশেষ বরাদ্দ দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। নতুন নীতিমালা অনুযায়ী বাড়ি তৈরির জন্য নিলামমূল্যের চেয়ে কম দামে তাঁদের এই কাঠ দেওয়া হবে।
পরিবেশকর্মীরা এ উদ্যোগের সমালোচনা করে বলছেন, জব্দ হওয়া চোরাই কাঠ বরাদ্দের নিয়ম জারি রাখা হলে বনের গাছ চুরি আরও উত্সাহ পাবে। গত ৬ ডিসেম্বর জারি করা ‘বসতবাড়ি নির্মাণের জন্য শুধুমাত্র জব্দকৃত কাঠ ও ঝড়ে উপড়ে পড়া গাছের কাঠ বরাদ্দ নীতিমালা-২০০৯’ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপনে এই কাঠ বরাদ্দের নিয়ম সুনির্দিষ্ট করা হয়েছে। এতে সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জন্য কাঠ বরাদ্দের পরিমাণ আগের নীতিমালার চেয়ে বাড়ানো হয়েছে।
বন গবেষণায় যুক্ত বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সোসাইটি ফর এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড হিউম্যান ডেভেলপমেন্টের (সেড) নির্বাহী পরিচালক ফিলিপ গাইন এ ব্যাপারে প্রথম আলোকে বলেন, ‘এমনিতেই বনে গাছ নাই। তারপর আবার চোরাই কাঠ বরাদ্দের ক্ষেত্রে নীতিমালা তৈরি করে মন্ত্রী, সাংসদ ও সরকারি কর্মকর্তাদের সুবিধা দিলে তা বনের মারাত্মক ক্ষতির কারণ হবে। গাছ চুরি বেড়ে গিয়ে বন ধ্বংসের হার বাড়বে।’
নতুন এই সংশোধিত নীতিমালার মূল্যায়ন করতে গিয়ে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনজীবী সমিতির (বেলা) নির্বাহী পরিচালক সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান প্রথম আলোকে বলেন, ‘দখল ও গাছ চুরির কারণে দেশের বনভূমির পরিমাণ ১৬ শতাংশ থেকে কমে ৬ শতাংশে নেমে এসেছে। সরকার বনভূমির জমি সংরক্ষণের জন্য বন আইন সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছে। কিন্তু জব্দ কাঠ বরাদ্দের নিয়ম জারি রাখা হলে গাছ চুরি আরও উত্সাহ পাবে।’
কি সুন্দর ব্যবস্থা!!!
বিস্তারিত জানতে প্রথম আলো পড়ুন
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১০ দুপুর ১:৫৫

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




