ওএনএনবিডি.কম:ভাষাগত কারনে আদিবাসী শিশুরা শিক্ষা ব্যবস্থা থেকে বঞ্চিত। ওইসব আদিবাসী শিশুরা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভাষাগত সমস্যার কারনে বিদ্যালয় মুখি হতে পারছে না। ফলে আদিবাসী শিক্ষার হার খুবই কম। ২০০১সালে আদম শুমারী অনুযায়ী মহাদেবপুর উপজেলায় সাক্ষরতার হার ৪৭.৯ভাগ হলেও আদিবাসীদের ক্ষেত্রে শিক্ষার হার মাত্র ১২ভাগ। বিভিন্ন আদিবাসী পল্লী সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে ভিন্ন চিত্র। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও আদিবাসী পরিবারের কর্তা-কর্তিদের সাথে এক আলাপচারিতায় জানাগেছে, ভাষাগত সমস্যার কারনে আদিবাসী শিশুরা বিদ্যালয়ে আসতে চায় না। তারা লেখাপড়া করতে অনিহা প্রকাশ করে। যে ক’জন বিদ্যালয়ে মুখি হয় তারাও একই কারনে বিদ্যালয়ে টিকতে পারে না। অনসন্ধানে দেখা গেছে, জম্মের পর ৬বছর বয়স পর্যন্ত আদিবাসী শিশুরা বেড়ে ওঠাকালীন বাইরের জগতের সাথে তাদের সম্পক্ত না করার ফলে ওইসব শিশুরা বাংলা ছাড়া তাদের নিজস্ব ভাষা শেখার মাধ্যমেই বড় হয়। এ অবস্থায় ৬ বছর বয়সী ওইসব শিশুরা যখন সরাসরি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্ত্তি করে দেওয়া হয় তখন তারা ভাষাগত সমস্যার মধ্যে পড়ে যায়। তার কাছে বাংলা ভাষা বুঝতে পারে না। এসময় আদিবাসী শিশুরা বিদ্যালয়ে তাদের শিক্ষক ও সহপাঠীদের কোন কথার উত্তর দিতে নিজের ভাষা ব্যবহার করে। এতে শিক্ষকেরাও বেকায়দায় পড়ে যায়। ভাষাগত জটিল এসব সমস্যার এক পর্যায়ে প্রাথমিক আদিবাসী শিশুদের কাছে নিরানন্দ মনে হয়। একসময় তারা বিদ্যালয় থেকে ঝরে পড়ে। এসময় তাদের ঝরে পড়ার বিষয়টির কোন প্রতিকার না করে ব্যাপারটিকে খুবই স্বাভাবিক হিসেবে ধরে নেয় তাদের অভিভাবকেরা। তবে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সামপ্রতিক সময় দু-একটি বেসরকারী সংস্থা তাদের নিজস্ব ভাষার পাশাপাশি বাংলা ভাষাকে অগ্রাধিকার দিয়ে আদিবাসী শিশুদের নিয়ে প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা কর্মসূচী চালু করার ফলে এসব শিশু স্বল্প সংখ্যক হলেও ক্রমেই বিদ্যালয় মূখি হচ্ছে। সমালোচকদের অভিমত আদিবাসী অধুৎসিত এলাকাগুলোর সরকারী ও বেসরকারী বিদ্যালয়সমূহে বাংলা ভাষার পাশাপাশি আদিবাসী ভাষায় অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের শিক্ষক হিসাবে চুক্তি ভিত্তিক নিয়োগ প্রদান করলে একদিকে বিদ্যালয়ে পড়া-লেখার ক্ষেত্রে ভাষাগত কেটে যাবে, অন্যদিকে অধিক সংখ্যক আদিবাসী শিশু বিদ্যালয়মূখি হবে।
দেখুন

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।






