প্রধানমন্ত্রী ভারত সফরে গিয়েছিলেন। দুর্জনেরা বলে, তিনি নাকি সব কিছু দিয়ে এসেছেন। আসলে, চুক্তিই তো হলো মাত্র। চুক্তির বাস্তবায়ন জরুরী এখন।এখানেই বেধেছে সমস্যা।
(‘চিরুনি অভিযান’ শুরু হওয়ার মাত্র তিন দিন আগে) ৬ ফেব্রুয়ারি ব্যাঙ্গালোরে অনুষ্ঠিত এক সেমিনারের ভাষণে বি. রমন বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীকে আওয়ামী লীগ সরকার এবং বাংলাদেশে ভারতের স্বার্থবিরোধী প্রধান শক্তি হিসেবে তুলে ধরেছেন। বি. রমনের মতে, নির্বাচনে ভোটারদের আকৃষ্ট করার ক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়লেও দল দুটির রাজপথে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির ক্ষমতা কমে যায়নি। সুতরাং ভারতের স্বার্থে প্রথমে এমন ব্যবস্থা নেয়া দরকার যাতে বিএনপি ও জামায়াতের আন্দোলনের শক্তি অবশিষ্ট না থাকে।
প্রেশক্রিপসন:
১. জামাতকে থামাও।
২. বিএনপি কে থামাও।
৩. ফাঁকে ফাঁকে কার্যকর কর চুক্তি।
১. জামাতকে থামাও।
ভারতের গোয়েন্দারা একটা পদ্ধতি বলে দিয়েছেন।
ক)সামনে যুদ্ধাপরাধী বিচারের তোড়জোড় কর।(তাইলে ওই মুখে ব্যস্ত থাকবে এরা)।
খ) সারাদেশে দশহাজার গ্রেফতারের ব্যবস্থা কর।(তাইলে মাঠে নামার লোক কমবে।)
গ) নেতাগুলারে জেলে পুর। (হা হা তাহলে আর বলতে.....মুক্তি নিয়াই ব্যস্ত থাকবে এরা।)
কিন্তু কি করে.. কোন কারণ ছাড়াই?
না! ভারতের র' আছে কি করতে?
৮তারিখ ঘটনা ঘটল তাতে অনেক প্রশ্ন থেকে যায়।
এ)
সকালে আসাদ (যে কিনা শিবিরনেতা নোমানী হত্যাকারী দুইজনের একজন) বংগবন্ধু হলে আবাসিক না হয়েওএক শিবির কর্মীকে জোর করে বের করতে চাইল। (শিবির তাকে পিটিয়ে হাসপাতালে পাঠালো)
বি:দ্র: রক্তারক্তি হয়নি কিন্তু
বি)
রাতে শিবির ক্যম্পাসে মিছিল করল। (দেইখেন বঙগবন্ধু হল নিয়া ঘটনা।)
সাথে সাথে পুলিশ এসে প্রটেকশন দিল লীঘকে।
সি)
শাহ মখদুম হলের প্রভোস্ট ড. দুলাল চন্দ্র রায় হত্যাকাণ্ড রাতে সাড়ে ১২টার দিকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় ছাত্রলীগের একটি গ্রুপকে টিভি রুমে অবস্থান করার অনুমতি দিয়ে যান। (১২টার সময় টিভি রুম বন্ধ করা নিয়ম) পুলিশকেও তিনি ছাত্রলীগের গ্রুপটিকে ‘দেখভাল’ করার অনুরোধ করেছিলেন। (নয়া দিগন্ত, ১৬ ফেব্রুয়ারি)
(ঘটনার শুরু এখানে)
ডি)
প্রভোস্ট বেরিয়ে যাওয়ার পরপর মাথায় মাফলার পরা সাত-আটজনের একটি গ্রুপ হঠাত্ শাহ মখদুম হলের গেটে এসে হাজির হয়ে গেটের নিয়ন্ত্রণনেয়। তাদের ভয়ে দুই নিরাপত্তা কর্মী পালিয়ে গিয়েছিল।
এ গ্রুপটি হল গেটের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার কিছুক্ষণ পরই টিভি রুম থেকে হঠাত্ ‘মাগো’, ‘বাবারে’ এবং ‘বাঁচাও’ ধরনের চিত্কার শোনা গেছে।(ফারুকের চিতকার। সে তো বড় কোন নেতা নয়?)
সিট দখল নিয়ে গোলমাল হয়েছিল বঙ্গবন্ধু হলে। ফারুক তাহলে কেন শাহ মখদুম হলে গিয়ে ......?
ই)
রাত সাড়ে ৩টায়ও সেখানে ছাত্রলীগ কর্মীদের পুলিশের গাড়িতে যাতায়াত করতে দেখা গেছে। পুলিশের পাশাপাশি তত্পর দেখা গেছে মাফলার পরা ওই সাত-আটজনকেও। এমন এক অবস্থায় ধাওয়ার মুখে পালাতে ব্যস্ত শিবিরের কারও পক্ষে লাশ টেনে নিয়ে যেতে পারার প্রশ্ন উঠতে পারে না। তাছাড়া অনুসন্ধানে দেখা গেছে, সৈয়দ আমীর আলী হলের (?????) পেছনে যে সেপটিক ট্যাংকের মধ্যে ফারুকের লাশটি ঢোকানো হয়েছিল সেখানে একটিমাত্র ঢাকনাই খোলা ছিল।
এফ)
এতকিছুর কোন তদন্ত হলোনা... আর ঘটনা হলো রাবিতে।
টুকু সাহেব সারা দেশে শিবির ধরতে বললেন।
জি)
বিনা ওয়ারেন্টে গ্রেফতার হাজারখানেক।
এইচ) শাহীন পালাইসিলো বন্ধুর বাড়ি চাপাইতে। রাজশাহীর পুলিশ খবর পাইলো(????)। তারপর ঘরে ঢুকে গুলি করল তাকে। (পরিবারকে লাশ দেখতে দেয়নি।দেখতে দেয়নি বন্ধুদেরও) বন্ধু মাহফুযকে গ্রপ্তার করল খুনের দায়ে।
এইচ)
চবির লীগের আস্তানা ষোলশহরে আহত হল একজন, নিহত শিবির কর্মী মহিউদ্দীন (তার কোন ছবি প্রকাশ করেনি কেউ। কারণ মুখে দাড়ি চিল তার) আহত শিবির কর্মী মোহাইমিনকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ।
আই)
আমীর আতাউরকে গ্রেফতার। আওয়ামী ভিসি ডাকল সেক্রেটারীকে। ফেরার পথে???? তিনিও গ্রেফ্তার।
জে)
ভোলায় শিবির নিষিদ্ধ। শিবির নিষিদ্ধ হওয়া পর্যন্ত ঘুমানো যাবেনা। মন্ত্রীদের ইত্যাদি ইত্যাদি বক্তব্য।
কে)
কোথাও মিছিল সমাবেশ করতে দিচ্ছেনা তাদের পুলিশ। পাইলেন ডান্ডাবাড়ি। কোমরে দড়ি।
>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>
২. বিএনপি কে থামাও: (নেক্সট পোস্ট)
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১০ দুপুর ১:১৬

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




