বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রীসংস্থা নিয়ে অনেকের অনেক ভুল ধারণা আছে। তারা কি করে,কিভাবে কাজ করে,তাদের মূলনীতি কি ইত্যাদি সম্পর্কে অনেকেই জানেনা। ফলে মানুষ যা বলে তাই অন্ধের মতো বিশ্বাস করে। যাচাই-বাছাই করার মন মানসিকতা তাদের নাই।
আমি এই জন্য বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রীসংস্থার সংক্ষেপিত পরিচিতি তুলে ধরছি (পরিচিতি অনুসারে)। বিশেষ করে ছাত্রী সমাজের জন্য। আপুদের পড়ার অনুরোধ থাকলো।
বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রীসংস্থা ইসলামী আদর্শবাহী একক ছাত্রী সংগঠন। ১৯৭৮ সালের ১৫ই জুলাই এ সংগঠনের যাত্রা শুরু হয়।
♦সংগঠনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যঃ
এ সংস্থার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হলো বাংলাদেশের ছাত্রী সমাজকে আল্লাহর কোরআন ও রাসূলের(সাঃ) সুন্নাহ অনুযায়ী গঠন করে তাদেরকে আদর্শ মুসলিম নারী হিসেবে গড়ে তোলা এবং দ্বীন ইসলামের প্রতি সঠিক দায়িত্ব পালন করে আল্লাহর সন্তোষ লাভ করা, যাতে দুনিয়ায় শান্তি ও আখিরাতে মুক্তি হাসিল করা যায়।
♦এ সংস্থার কর্মসূচীঃ
এ সংগঠনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য অর্জনের জন্য গ্রহণ করা হয়েছে ইসলামী আন্দোলনের চিরন্তন কর্মসূচীঃ
(এক) ছাত্রীদের মধ্যে দ্বীন ইসলামের সঠিক ধারণার ব্যাপক প্রচার ও প্রসার।
(দুই) ইসলাম প্রিয় ছাত্রীদের সুসংগঠিত করে উন্নত নৈতিক জীবন যাপনের প্রশিক্ষণ দান।
(তিন) ছাত্রী সমাজের মর্যাদা প্রতিষ্ঠা ও বিভিন্নমুখী সমস্যা সমাধানের পদক্ষেপ গ্রহণ।
♦কার্যক্রমঃ
১ম দফাঃ দাওয়াত
♦ ছাত্রীদের ব্যক্তিগত ও সাংগঠনিকভাবে ইসলামী জ্ঞান চর্চায় উদ্বুদ্ধ করা।
♦ সাপ্তাহিক,পাক্ষিক বা মাসিক সাধারণ সভা ও তাফসীর ক্লাসের আয়োজন করা।
♦ ইসলামের বিভিন্ন বিষয়ের উপর সেমিনার, সিম্পোজিয়াম ইত্যাদির আয়োজন করা।
♦ দেয়ালিকা,সাহিত্য পত্রিকা ও বিভিন্ন সাময়িকী প্রকাশ করে ছাত্রীদের সুপ্ত প্রতিভার বিকাশ সাধন করা।
২য় দফাঃ সংগঠন ও প্রশিক্ষণ
♦ ব্যক্তিগত ও সাংগঠনিক পাঠাগার গড়ে তোলা।
♦ নিয়মিত ইবাদত অনুশীলনের মাধ্যমে খোদাভীতি জাগ্রত করা।
♦ নৈতিক প্রশিক্ষণের জন্য- শিক্ষা বৈঠক, নৈশ ইবাদত, শিক্ষা শিবিরের আয়োজন করা।
♦ জ্ঞানগত দিকের উন্নতির লক্ষ্যে সামষ্টিক পাঠ,পাঠচক্র,স্পীকার্স ফোরামের ব্যবস্থা করা।
এ সংগঠের আয়ের উৎস হলো- সংগঠনের কর্মীদের আর্থিক কোরবানী,শুভাকাঙ্ক্ষী সুধীদের আর্থিক সহযোগিতা ও সংস্থার প্রকাশিত পুস্তিকার বিক্রয়লব্ধ অর্থ।
৩য় দফাঃ সমস্যা সমাধান
♦ব্যক্তিগতঃ
♦ছাত্রীকল্যাণ ফান্ড গঠন
♦লেন্ডিং লাইব্রেরী প্রতিষ্ঠা
♦নোট ও প্রশ্নপত্র বিলি
♦ফ্রি কোচিং ক্লাস
♦সমষ্টিগতঃ
♦ইসলামী শিক্ষার সপক্ষে জনমত গঠন।
♦ছাত্রীদের জন্য পৃথক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দাবী জানানো।
♦শিক্ষা বিষয়ক সেমিনার,সিম্পোজিয়াম ইত্যাদির আয়োজন করা।
♦ছাত্রীদের সামাজিক সমস্যা সমাধান ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠা।
♦নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলা।
♦সমাজে ইসলামী মূল্যবোধ পুনঃপ্রতিষ্ঠার প্রয়াস চালানো।
♦ক্যারিয়ার গঠন ও নেতৃত্ব সৃষ্টি।
আল্লাহ প্রদত্ত জীবন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রীসংস্থা কাজ করে যাচ্ছে।