বাইনারি পদ্ধতি (যা ডিজিটালের প্রাণ)
এ কে কামাল, খাগড়াছড়ি
আমরা সাধারণত যে পদ্ধতিতে দৈনন্দিন জীবনের যাবতীয় হিসাব-নিকাশ করে থাকি তা ডেসিম্যাল পদ্ধতি। কারণ এ ডেসিম্যাল পদ্ধতিতে ০-৯ পর্যন্ত ১০টি সংখ্যা ব্যবহৃত হয়, তাই একে দশভিত্তিক পদ্ধতি বা ডেসিম্যাল পদ্ধতি বলা হয়। কিন্তু গণিতের ক্ষেত্রে এ পদ্ধতি ছাড়াও আরও পদ্ধতি রয়েছে। যেমন - বাইনারি, অক্টাল, হেক্সাডেসিম্যাল।
ডেসিম্যাল পদ্ধতিতে ১০টি অংক (০, ১, ২, ৩, ৪, ৫, ৬, ৭, ৮, ৯)।
বাইনারি পদ্ধতিতে ২টি অংক ( ০ এবং ১)
অক্টাল পদ্ধতিতে ৮টি অংক (০, ১, ২, ৩, ৪, ৫, ৬, ৭)
হেক্সাডেসিম্যাল পদ্ধতিতে ১৬টি অংক (০, ১, ২, ৩, ৪, ৫, ৬, ৭, ৮, ৯, অ, ই, ঈ, উ, ঊ, ঋ)
নিম্নে ডেসিম্যাল এবং বাইনারি পদ্ধতির তুলনামূলক আলোচনা করা হল ঃ
ডেসিম্যাল বাইনারি ডেসিম্যান বাইনারি
১ ১ ১১ ১০১১
২ ১০ ১২ ১১০০
৩ ১১ ১৩ ১১০১
৪ ১০০ ১৪ ১১১০
৫ ১০১ ১৫ ১১১১
৬ ১১০ ১৬ ১০০০০
৭ ১১১ ১৭ ১০০০১
৮ ১০০০ ১৮ ১০০১০
৯ ১০০১ ১৯ ১০০১১
১০ ১০১০ ২০ ১০১০০
৫২০ সংখ্যাটি পাঁচশত বিশ হওয়ার কারণ = ৫´১০২+২´১০১+০´১০০{যেহেতু এ পদ্ধতির বেইস ১০]
=৫´১০০+২´১০+০
=৫০০+২০
=৫২০
৫২০ সংখ্যাটিকে বাইনারি পদ্ধতিতে রূপান্তর নিম্নরূপ =
২ ৫২০ অবশিষ্ট
২ ২৬০.............. ০
২ ১৩০............. ০
২ ৬৫............. ০
২ ৩৪........... ১
২ ১৬.......... ০
২ ৮.......... ০
২ ৪......... ০
২ ২....... ০
২ ১...... ০
২ ০.... ১
এবার অবশিষ্টগুলো নিচের দিক থেকে সাজিয়ে লিখি = ১০০০০০১০০০
১০০০০০১০০০ সংখ্যাটি পাঁচশত বিশ হওয়ার কারণ
= ১´২৯+০´২৮+০´২৭+০´২৬+০´২৫+০´২৪+১´২৩+০´২২+০´২১+০´২০
= ৫১২+০+০+০+০+০+৮+০+০+০
= ৫২০
digitalkhagrachari.blogspot.com

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




