somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

নীল চাদরে ঢাকা (শেষ পর্ব)

২২ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



কমলা পিঠা ভাজতে বসেছেন। তেলের পিঠা,পাটিশাফটা পিঠা পরে আরও আইটেম হতে পারে। কোন উপলক্ষ পেলেই তিনি এমন পিঠা বানাতে বসেন।গ্রাম্য মহিলারা এই একটি ব্যাপারে বিশেষ পটু। আজ উপলক্ষ হল ঢাকা থেকে বকুল এসেছে রুকুও আছে।

অদূরে জলচৌকি পেতে গালে হাত দিয়ে চিন্তিত ভঙ্গিতে বসেছে রুকু।গাল থেকে হাত নামিয়ে সোজা হয়ে বসে সে বলল,"মা দাদার সঙ্গে ভাল কইরা কথা বইলা তারপর তোমার চাচার সঙ্গে কথা বলা উচিত।"
কমলা নারকেলের আইচা দিয়ে তৈরী চামচে করে ফুটন্ত তেলের মধ্যে গোলা ঢালতে ঢালতে বললেন,"ক্যান আমি ওরে বলছি না আবার বলতে হইবো ক্যান?এখন বিয়া না করলে কি পাইকা ঝিঙ্গা হইয়া গেলে পরে বিয়া করব নাকি?এ্যা?"
"মা?"
"এ,রুকু তুই থামতো বিরক্ত করিস না,যা। তুই অরে সাফ সাফ কথা কইয়াদে,আমি অনেক চিন্তা ভাবনা কইরাই এই সিদ্ধান্ত নিছি। আমার কথার অন্যথা হইলে ভাল হইবো না এ আমি কইয়া দিলাম।"
"আহা,মা দাদার নিজেরওতো কোন পছন্দ থাকতে পারে নাকি?"
''ওরকম কিছু থাকলে ও আমারে বলে না ক্যান,এ্যা?"
"মা তুমি আমারে আর একবার সুযোগ দাও আমি দাদার সাথে আর একবার ভাল করে কথা বলি।"

কমলা তাতানো তেলের মধ্যে একচামচ গোলা ছাড়লেন,আওয়াজ হল,ছ্যাত,টুব-টুব-টুউউউ--ব.........

বাইরে অন্ধকার। সন্ধার দিকে যে জোৎস্না উঠেছিল তা আর এখন নেই। চাদটাকে ঢেকে দিয়েছে মেঘ। পুরো আকাশজুড়ে মেঘের আনাগোনা। ঘন ঘন বিদ্যুৎ চমকাচ্ছে। বাতাস থেমে গেছে যে কোন সময় বৃষ্টি আসতে পারে। এমন সময় রান্না ঘরের দিকে দৌড়ে এল পরি।"চাচী,অ চাচী আইজ আবার রাইতের বেলায় কি রান্না কর?"
কমলা গলা বাড়িয়ে লণ্ঠন উচু করে ধরে বললেন,"কেডা?.............অ,পরি। আয়,আয় মা।"
পরি রান্না ঘরে ঢুকে অবাক হয়ে বলল,"এম্মা এ দেখি এলাহি কাণ্ড! পিঠা বানাইতেছ দেখছি চাচী।"
"হ,হ পিঠা বানাইতেছি। আয় মা,আয়। বস এইখানটাতে।"
"আরে হ,হ এখনতো পিঠা বনাইবা আটা বানাইবা কত কিছু বানাইবা এখন তোমার ছেলে আইছে না। ছেলে হইলে কত দাম।"
কমলা মৃদু হেসে বললেন,"পেটটা ভরা খালি হিংসা।"
"না চাচী বকুল ভাই পিঠা পছন্দ করেনাতো তাই বললাম।"
রুকু বলল,"তোর বকুল ভাই পছন্দ না করলে আমরা খাইতে জানিনা, নাকি?"
"উ...রুকু আপা এখন খোচা মাইরা কথা বল কেন?আমিকি ঐভাবে বলছিনাকি?সে না খাএল না খাক আমরা আছি না।"

কমলা বললেন," বকুলটা আর আগের মত নাইরে,দেখসনা কেমন ঘরের মধ্যে বইসা আছে। আগেতো যখন বারিতে থাকতো তখন পিঠা বানাইতে বসলে সারাক্ষণই চুলার পাসে বইসা থাকত। শত নিষেধ স্বত্ত্বেও অর পয়লা পিঠাখান খাওয়া চাইই চাই। আর এখন দেখস না কেমন ধারে কাছেও নাই।"

কমলা একটি থালায় পিঠা ভর্তি করে পরির হাতে দিয়ে বললেন, "যাতো মা,ভাইয়ের জন্য নিয়ে যা। গরম গরম তেলের পিঠার এক স্বাদ আবার ঠাণ্ডা হইলে আরেক স্বাদ।"

পরি লালু শেখের বড় মেয়ে। অস্থির,চটপটে অসম্ভব সুন্দর এই মেয়েটাকে কমলার বড় ভাললাগে। রুকুর বিয়ে হয়ে যাবার পরে কমলা পরিকে বন্ধু হিসেবে পেলেন। তিনি যখন একা থাকতেন অথবা কোন কারণে তার মণ খারাপ থাকতো তখন কোথা থেকে যেন ঝড়ের বেগে উদয় হত পরি।"চাচী অ চাচী কি কর তুমি?"

কমলা কোন কথা বলতেন না।

পরি বলতো,"এম্মা,তোমার দেখি মন খারাপ,এ্যা!ইস, কি অবস্থা!"
কমল তখনও কোন কথা বলতেননা

পরি বলত," এম্মা! তোমার দেখি মন খারাপ,এ্যা! ইস কি অবস্থা!"
কমলা তখনও কোন কথা বলতেন না।
পরি বুড়োর মত গালে হাত দিয়ে বলত,"আহা বেচারি মন খারাপ হবারই কথা। স্বামী বেচে নাই। মেয়েটার বিয়া হয়ে গেল। শশুর বাড়ির তোয়াক্কা না করে মাকে নিয়মিত দেখতে আসতে পারে না। ছোটটাতো উড়চণ্ডাল সারাদিন শুধু টইটই করে ঘুরে বেড়ানো। আর বড়টাতো শহরে থেকে থেকে বাহাদুর হয়ে গেছে। মায়ের খোজ নেবার দরকার নেই।"

কিছুক্ষণ চুপ থেকে পরি আবার বলত,"চাচী,অ চাচী গল্প শুনবা?"
"কি গল্প?"

পরি মনে মনে হাসত,এইতো কথা ফুটেছে। সে বলত,"মন ভাল করার গল্প।"

"মন ভাল করার আবার গল্প কি?"
"মন খারাপ করার গল্প আছে তাইলে মন ভাল করার গল্প থাকবো না, চাচী যে কি কওনা?তাহলে শুন.........মন দিয়া শুনবা কিন্তু।"
কমলা অবাক হয়ে পরির মুখের দিকে চেয়ে রইলেন।
পরি বলল,"একবার একলোক করল কি,ডাক্তারখানায় গিয়ে বলল,ডাক্তার সাহেব আমি একটা সমস্যায় পড়ছি আমারে চিকিৎসা দেন।
ডাক্তার বলল,কি সমস্যা?
লোকটা বলল,আমি আমার বাসায় যখন খাটের উপরে ঘুমাই তখন আমার মনে হয় আমার খাটের নিচে কেউ বুঝি একজন শুয়ে আছে। তখন আমি করিকি নিচে নাইমা শুই। নিচে শুইলে আবার মনে হয় খাটের উপরে কেউ হয়তো শুয়ে আছে। তখন আবার উপরে উঠি। আবার নিচে নামি। আবার উপরে উঠি। এইভাবে করতে করতে রাত কাবার। ঘুমাতে পারিনা একফোটা।
সবিস্তার শুনে ডাক্তার সাহেব তাকে একগাদা ওষধ লিখেদিলেন এবংবললেন এগুলো খেয়ে পরের সপ্তাহে দেখা করতে।

লোকটা ফার্মেসিতে গিয়ে দেখল,ওষধ কেনার মত অত টাকা তার পকেটে নাই। তাই সে বিমর্ষ মনে বাড়ির পথে হাটা ধরল।

এ ঘটনার একমাস পরে ঐলোকের সঙ্গে ডাক্তারের দেখা হল।ডাক্তার বললেন,কি ব্যাপার আপনার না একসপ্তাহ পরে দেখা করার কথা ছিল। ওষধ কিনে খেয়েছিলেন?
লোকটি বলল,না। আমার অসুখ এমনিতেই সেরে গেছে।
ডাক্তার বলল, এমনিতে সেরে গেছে মানে?
লোকটি সহাস্যে বলল,আমি বাড়ি গিয়ে আমার খাটের পায়া চারটি কেটে দিয়েছি। এখন আর আমার খাটের কোনও নিচ নাই কাজেই এখন আর মনে হয়না আমার খাটের নিচে কেউ শুয়ে আছে।

বুঝলা চাচী তোমারও এমন সমস্যার পায়া কাইটা ফেলতে হইব। জগতে মন খারাপ বলতে কিছু আছে নাকি?সব কিছু হাইসা উড়ায়া দিতে হয় বুঝলা।"

গল্প শুনে কমলার মোটেও হাসি পেত না। কিন্তু মেয়ের বলার ভঙ্গি দেখে চাচীকে হাসানোর চেষ্টা দেখে সত্যি তার মন ভাল হয়ে যেত। তিনি বলতেন," তুই এত কিছু জানস কেমনেরে পরি।"
পরি বিগ্গের ভঙ্গিতে বলত,"আরও অনেক কিছু জানি চাচী।"

বলত আর মিটি মিটি হাসত।

তখন থেকেই কমলা ভাবতেন পরিকে বকুলের বউ করার। সেভাবনাকে কর্যকর করতে সে এখন প্রায় মারিয়া হয়ে উঠেছেন। কিন্তু ছেলে মেয়েগুলো বড্ড ন্যাকামো ভাব দেখাচ্ছে।


বালিশে হেলান দিয়ে অর্ধশোয়া অবস্থায় মুখের সামনে একটি ম্যাগাজিন তুলে ধরে নিমগ্ন হয়েছে বকুল। পরি গিয়ে দাড়িয়েছে ওর সামনে। কিন্তু ও টের পায়নি। পরি গলা খাকারি দিল। বকুল মুখ তুলে তাকাল। বলল,"অ পরি।"
পরি হাতের থালা চৌকির উপরে রাখতে রাখতে বলল,"আফনে একটা বলদ।"
বকুল আপত্তি করে বলল,"ক্যান বলদ ক্যান?"
"কতক্ষণ হয় আইসা এভাবে খাড়ায়া রইছি আফনে দেখতে পাইলেন না।"
"দেখতে না পাইলেই বলদ না?"
"তয় কি?খালি বলদই না আফনে আরও কিছু।":
"আর কি?"
"তা বলা যাবে না। আফনে পিঠা খান আমি যাই।"
পরি দরজার কাছে গিয়ে আবার ফিরে এল।ভারী বর্ষণ শুরু হয়েছে। টিনের চালে শব্দ হচ্ছে রিম ঝিম। এখন যাওয়া সম্ভব নয়। বকুল বলল,"কিরে আবার এলিযে,বলবি নাকি কিছু?"
"বৃষ্টি নামতাছে তো।"
"ও আচ্ছা। বস তাহলে এখানটায়,গল্প করি।"
পরি যেন অবাক হল, "ইস!আফনে করবেন গল্প!"
"হু আমি।"
'আচ্ছা বলেন দেখি।"
"পড়াশোনা কেমন চলছে?"
"ভালনা।"
"ক্যান ভালনা ক্যান?"
"এমনেই।"
"এমনেই ক্যান?"
"এমনেই পড়াশোনা ভাললাগেনা তো তাই।"
"এইটা আবার কেমন কথারে!পড়াশোনা ভাললাগেনা তো কি ভাললাগে?"
"এইবাড়ি ঐবাড়ি ঘুইরা বেড়াইতে ভাললাগে।"
"হু বুঝছি। আটকা খাইছসনি কোনখানে? সত্য কথা বলত।"
"হু খাইছি।"
"কোথায়রে?"
"আফনে জানেনা বুঝি?"
"তুই না বললে জানব কেন?"
পরি বকুলের দিকে আঙ্গুল দিয়ে নির্দেশ করে বলল,"এইখানে ধরা খাইছি।"
"এইখানে মানে?"
"এইখানে মানে আমার সামনে যে বলদটা বইসা আছেনা সেই বলদটার কাছে ধরা খাইছি।"

বকুলকে ভড়কে দিয়ে পরি দুহাতে মুখ ঢেকে সন্ধার অন্ধকারে বৃষ্টির মধ্যে ভিজতে ভিজতে চলে গেল। মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছে। হৃদয়টা হাহাকার করে উঠল বকুলের। শিমুর কথা মনে পড়ল তার। আবারো একই খেলার পূণরাবৃত্তি ঘটতে যাচ্ছে। ভেতরে ভেতরে ভয়ে শিউরে উঠল সে। নাহ,পূণরায় একই খেলা খেলার কোন মানেই হয়না। তাছাড়া যে মেয়েটা এখনো তার পুরো হৃদয়জুড়ে রয়েছে তার যায়গায় আর একজনকে বসানো কিভাবে সম্ভব?বকুল অস্ফুট স্বরে বলল,এ আমি পারব না, এ আমি পারব না।

পরির বলে যাওয়া শেষ কথাটা বারবার বকুলের কানে বাজতে লাগল। সে ভারী অবাক হল--ফ্রগ আর হাফপ্যান্ট পরা বাচ্চা মেয়েটা খালি পায়ে সারাক্ষণ এ বাড়ি ওবাড়ি দৌড়ে বেড়াতো। সেই মেয়েটা কখন এত বড় হয়ে গেল?ছোট বেলায় একটু চটপটে ছিল বটে,কিনতু ও এসব শিখল কবে?একবার পরির মুখ একবার শিমুর মুখ তার চোখের সামনে পালা করে ভেসে উঠতে লাগল।



বকুলের প্রবল বাধা স্বত্ত্বেও মায়ের অনুরোধে শেষ পর্যন্ত পরির সঙ্গেই তার বিয়ে হল। প্রথম রাতেই বকুল শিমুর সাথে ঘটে যাওয়া সব কথা পরিকে বলে দিয়ে ছিল। কিন্তু পরি সব কিছু হাসি মুখে মেনে নিয়েছিল। পরি বলেছিল,"তোমার ভালমন্দ সবকিছুই আমার।"
"কিন্তু আমার হৃদয়টাতো ক্ষত বিক্ষত।"
"তোমার ক্ষত বিক্ষত হৃদয়টাকে আমি সারিয়ে তুলব।"
"কিভাবে?"
"ভালবাসা দিয়ে।"
"কিন্তু আমার মন থেকেতো ওকে কখনো দুর করতে পারিনা।"
"সেইটা তোমার ব্যাপার। আমাকে তোমার ভালবাসতে হবেনা। তুমি শুধু আমার ভালবাসা গ্রহন করে আমাকে তোমার পায়ে ঠাই দিও।"

পায়ে নয় বকুল পরিকে বুকের মাঝেই স্থান দিয়েছিল। পরির ভালবামায় ভুলেছিল সব কষ্ট। দুজনের ভালবাসাবাসিতে সুখে ঘর ভরে উঠেছিল তাদের।

এভাবে সুখে কাটছিল তাদের জীবন।


আর এভাবেই কেটে গেছে অনেকগুলো দিন।




পরি গ্রামের মেয়ে কখনো শহর দেখে নাই। এই প্রথমবারের মত এসেছে বকুলের সাথে।
১৪ফেব্রুয়ারী। বিশ্ব ভালবাসা দিবস আজ। সংসদ ভবনের খোলামাঠ। লোকেলোকারণ্য হয়ে পড়েছে সারামাঠময়। সবাই এসেছে প্রিয় মানুষের সঙ্গে একান্তে কিছু সময় কাটাবে বলে। কেউ কেউ হেটে বেড়াচ্ছে আবার কেউ কেউ বসে গল্প করছে।

পরি বকুলের হাত ধরে হাটছিল। সে বলল,"বলতো ভালবাসা দিবসের মানে কি?"
"কোন মানে নাই।"
"কোন মানে নাই?"
"না কোন মানে নাই। একদল লোক যাদের কোন কাজ কর্ম নাই তারা করল কি একটা কাহিনী রটাইয়া একটা দিবস বার করল,যার নাম দিল ভালবাসা দিবস। আসলে ভালবাসার জন্যে এইসব দিবস টিবসের প্রয়জন নাই বুঝলা। এ সবই লোক দেখানো মাত্র।"
"তুমি চিরকালই আনরসিক।"

পরি যেমন করে বকুলের হাত ধরে হাটছিল ঠিক তার উল্টো দিক থেকে হেটে আসছিল শিমু সঙ্গে তার হাজবেন্ড। যখন শিমু আর বকুল মুখোমুখি হল তখন তারা ভূত দেখার মত চমকে উঠল। থমকে দাড়াল ওরা। অপলক চেয়ে রইল একে অপরের মুখপানে। পরি এবং মাহফুজ একে অপরের দিকে মুখ চাওয়া চাওয়ি করল। কয়েক মুহুর্ত নীরব থাকার পরে বকুলই প্রথমে কথা বলল,"তমি?"
শিমু উদাশ গলায় বলল,"হ্যা আমি!"
''কেমন আছ?"
"যেমন দেখছ। তুমি?"
"আমিও তোমার মত।"

বকুলের সঙ্গে শিমুর দেখা হল ছয় বছর পরে। দীর্ঘদিন পরে হলেও তারা একে অপরকে দেখে এতটাই আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়ল যে,তারা দুজনেই ভুলে গেল তাদের সঙ্গে পরি এবং মাহফুজ আছে।

ইতিমধ্যে পরি এবং মাহফুজ ওদের থেকে একটু দুরে এসে দাড়িয়েছে। ওরা দুজন কোন কথা বলছে না তবে মাঝে মাঝে মুখ চাওয়া চাওয়ি করছে। পরির অস্বস্তি লাগছিল তাই সেই প্রথমে কথা বলল,"ইক্সকিউজ মি,ভদ্রমহিলার নাম নিশ্চয়ই শিমু?"
"হ্যা।"
"আর আপনি?"
"ওর হাজবেন্ড। মাহফুজ।"
"আমি পরি,ওর স্ত্রী।"
"আচ্ছা।"
"পরি বকুল ওশিমুর দিকে আঙ্গুল নির্দেশ করে বলল,"দেখুন ওরা কাদছে।"
মাহফুজ তাকালো ওদের দিকে।
পরি নিস্পৃহ গলায় বলল,"কাদছে কাদুক, কেদে কেদে চোখের সব পানি শেষ করে ফেলুক। ভেতরে জমে থাকা সব কথা বলে শেষ করে ফেলুক,আমরা বরং ঐদিকটা ঘুরে আসি, চলুন।"
মাহফুজ বলল,"চলুন।"

মাহফুজ ও পরি সামনের দিকে এগিয়ে গেল।।
৫টি মন্তব্য ৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সমাধান দিন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৯ শে মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৩১




সকালে কন্যা বলল তার কলিগরা ছবি দিচ্ছে রিকশাবিহীন রাস্তায় শিশু আর গার্জেনরা পায়ে হেটে যাচ্ছে । একটু বাদেই আবাসিক মোড় থেকে মিছিলের আওয়াজ । আজ রিকশাযাত্রীদের বেশ দুর্ভোগ পোয়াতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

=নিছক স্বপ্ন=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ১৯ শে মে, ২০২৪ রাত ৯:৪৮



©কাজী ফাতেমা ছবি
তারপর তুমি আমি ঘুম থেকে জেগে উঠব
চোখ খুলে স্মিত হাসি তোমার ঠোঁটে
তুমি ভুলেই যাবে পিছনে ফেলে আসা সব গল্প,
সাদা পথে হেঁটে যাব আমরা কত সভ্যতা পিছনে ফেলে
কত সহজ... ...বাকিটুকু পড়ুন

একদম চুপ. দেশে আওয়ামী উন্নয়ন হচ্ছে তো?

লিখেছেন তানভির জুমার, ১৯ শে মে, ২০২৪ রাত ১০:৫৯



টাকার দাম কমবে যতো ততোই এটিএম বুথে গ্রাহকরা বেশি টাকা তোলার লিমিট পাবে।
এরপর দেখা যাবে দু তিন জন গ্রাহক‍কেই চাহিদা মতো টাকা দিতে গেলে এটিএম খালি। সকলেই লাখ টাকা তুলবে।
তখন... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে গরু দুধ দেয় সেই গরু লাথি মারলেও ভাল।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২০ শে মে, ২০২৪ রাত ১২:১৮


০,০,০,২,৩,৫,১৬, ৭,৮,৮,০,৩,৭,৮ কি ভাবছেন? এগুলো কিসের সংখ্যা জানেন কি? দু:খজনক হলেও সত্য যে, এগুলো আজকে ব্লগে আসা প্রথম পাতার ১৪ টি পোস্টের মন্তব্য। ৮,২৭,৯,১২,২২,৪০,৭১,৭১,১২১,৬৭,৯৪,১৯,৬৮, ৯৫,৯৯ এগুলো বিগত ২৪ ঘণ্টায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইরানের প্রেসিডেন্ট কি ইসরায়েলি হামলার শিকার? নাকি এর পিছে অতৃপ্ত আত্মা?

লিখেছেন ...নিপুণ কথন..., ২০ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:৩৯


ইরানের প্রেসিডেন্ট হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে নিহত!?

বাঙালি মুমিনরা যেমন সারাদিন ইহুদিদের গালি দেয়, তাও আবার ইহুদির ফেসবুকে এসেই! ইসরায়েল আর।আমেরিকাকে হুমকি দেয়া ইরানের প্রেসিডেন্টও তেমন ৪৫+ বছরের পুরাতন আমেরিকান হেলিকপ্টারে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×