গেল ২৬ জুন রংপুরের বদরগঞ্জে মাতুব্বরের নির্দেশে হাফিজা বেগম ও তার বোন সাঈদা বেগম এভাবেই বর্বোরোচিত নির্যাতন করেন স্থানীয় প্রভাবশালীরা। প্রশাসনের নিরব ভূমিকায় নির্যাতনকারীরা থেকে যাচ্ছিলেন অন্তরালে। বৃহস্পতিবার একুশে টেলিভিশনে প্রচারিত এই দৃশ্য দেখে অবাক হন অনেকেই।
এই ঘটনা সরকারের জন্য লজ্জাজনক উল্লেখ করে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান বললেন, প্রচলিত আইনের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছেন সমাজপতিরা। প্রশাসনের ভূমিকায় প্রশ্ন তুলে মানবাধিকার কর্মীরা বলছেন, বার বার এই ঘটনা ঘটলে আইনের প্রতি শ্রদ্ধা কমবে সাধারণ মানুষের। তাই প্রশাসনসহ দ্রুত এই ঘটনার সাথে যুক্ত ব্যক্তিদের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তারা।
রংপুরে সমাজপতিদের র্ববরোচিত নির্যাতনের শিকারের পর এবার গ্রাম ছাড়া হলেন দুই বোন ও তাদের পরিবারের লোকজন। একুশে টেলিভিশনে নির্যাতনের খবর প্রচারিত হওয়ার পর ইউপি চেয়ারম্যান দল বল নিয়ে এসে নির্যাতিতা দুই মহিলাকে গ্রামছাড়া করেন। এলাকাবাসিদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে কেউ সাক্ষী দিতে পারবেনা। ইতিমধ্যে ৩ নির্যাতককে গ্রেফতার করা হলেও মামলাটিকে দুর্বল করে ফেলা হয়েছে বলে মানবাধিকার সংগঠন গুলো অভিযোগ করেছে।
রংপুরের রাজারামপুরের কাশিগনজ গ্রাম এখন পুরুষ শুন্য। ম্বামীর আত্মহত্যার ঘটনায় স্ত্রী ও তার বোনকে দায়ী করে নির্যাতনের ঘটনার মুল নায়ক ইউপি চেয়ারম্যান আয়নাল হক। তার ক্যাডাররা সর্বক্ষণ মটর সাইকেলে করে গ্রামে মহড়া দিচ্ছে। তাদের হুমকীতে গ্রাম ছেড়েছেন নির্যাতিতা হাফিজা বেগম হ্যাপি ও তার বোন সাঈদা বেগম। হুমকী দেন সাংবাদিকদের সাথে কথা বলা যাবেনা।
প্রশাসন যদি ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত এবং বিচার না করে তবে আদালতে গিয়ে আইনী লড়াই চালিয়ে যাবার কথা জানালেন এই মানবাধীকার কর্মীরা। মানবাধিকার কর্মীরা বলছেন, সংবিধানে নারী পুরুষের সমান অধিকারের কথা বলা আছে। তারপরও সমাজপতিদের নারীর প্রতি বৈষম্য, নির্যাতন কমছে না। দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য নারীর প্রতি এই ধরনের নির্যাতন বন্ধে সরকারকে আরো কঠোর হওয়ার পরমর্শ দেন তারা।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।





