কবি গুরু কইছিল
নিল নবঘনে আষাঢ় গগনে
তিল ঠাই আর নাহিরে
ওরে আজ তোরা যাসনে ঘরের বাহিরে'।
যখন ছোটবেলায় পড়ছিলাম তখন মনে হইছে কবি এইটা একখান কথা কইল !!
কে বাহির হমু না ক্যান
রোমান্টিক দৃষ্টিতে - আমি বৃষ্টিতে ভিজুম না ? এই বৃষ্টিতে না ভিজলে কোন বৃষ্টিতে ভিজুম !!
মার্ক্সবাদী দৃষ্টিতে - ঘরে বইয়া থাকলে টাকা আইব কোন থাইকা ? তুমি ত জমিদারের পোলা ঘরে বইয়া থাইকা বৃষ্টি এঞ্জয় কর পায়ে উপর পা তুইলা আর আমাগো কও বাহির হইয়না চান্দু !!! তুফান হইলেও বাহির হইতে হইব আমাগো !! কারন বইয়া থাকলে পেটের ভাত জু্টব না ।
প্রেমিক দৃষ্টিতে - এখনি সময় উনার কাছে হিরু হইবার । এই বৃষ্টির মধ্যে কদম ফুল ধরাই দিতে পাড়লে জায়গায় প্রেম জইমা যাইব !! এইটা কী কৈলেন কবি ! এখন কেমনে ঘরে বইয়া থাকমু
কিন্তু ভাইডি ! কবি ঠিকই কইছিল বাহির হইয়া পড়ছি ফান্দে !! প্রচুর বৃষ্টিতে রাস্তা হইয়া গেছে নদীমাতৃক বাংলাদেশ !! রিক্সাওলারাও যাইতে চায়না ।
আর সবশেষে ভাংগা রাস্তায় হোঁচট খাইলাম
কাপড় - চোপড় সমেত আমি শেষ ।
বাইচ্চা থাকলে কবিগুরু নিশ্চয় মুচকি হাসতেন
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে জুন, ২০১২ রাত ২:০৩