somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

অরাজনৈতিকের রাজনীতিঃ সুবিধাবাদের নতুন আবাদ

২২ শে জানুয়ারি, ২০১১ দুপুর ১:১৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

এই সময়ের একটা মজার চরিত্র হচ্ছে নির্বোধের সব কিছু থেকেই মুখ ঘুরিয়ে থাকা, দেখেও না দেখার ভান করা, বুঝেও অবুঝের মত কথা বলা, নিজেকে নিজের মাঝে আটকে রাখা। এটা এই সময়ের সংস্কৃতি। আর এই নির্বোধের সংস্কৃতির মূল ধারক, বাহক ও পৃষ্ঠপোষক হল আমাদের সমাজেরই কতিপয় মানুষরূপী বুদ্ধিজীবি, যারা আমাদের তরুণ প্রজন্মের মগজের কোষে কোষে প্রতিনিয়ত ঢুকিয়ে দিচ্ছে সুবিধাবাদের বিষ, যার সবচেয়ে বড় নিদর্শন আজকের তরুণ সমাজের একটা বড় অংশের প্রত্যক্ষ রাজনীতিবিরোধিতা।
ইন্টারনেটের সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইট অথবা আড্ডা বাজির জায়গাগুলোতে একটা মজার দৃশ্য লক্ষ্যনীয়- তাহলো বর্তমান প্রজন্মের তরুণদের অধিকাংশের তথ্যের ঘরে রাজনৈতিক দর্শনের জায়গায় কিছু একই রকম কথা লেখা থাকে ( আমি রাজনীতি পছন্দ করি না, অরাজনৈতিক অথবা ডিজুস স্টাইলে- I Hate Politics!!!) / ওই ঘরটি ফাঁকা থাকে। এবং এই ঘটনা ক্রমশ বেড়েই চলছে। বিষয়টিকে হাল্কা ভাবে দেখার কোনো সুযোগ আসলে এখন আর নেই। একসময়ে যা ছিলো অগ্রসরমান তরুণ প্রজন্মের জন্য সবচেয়ে জনপ্রিয় ও গর্বের বিষয়, সেই রাজনীতি/রাজনৈতিক দর্শনের চর্চা এখন এই প্রজন্মের এক বিশাল অংশের তরুণদের কাছে রীতিমত নাক সিটকানোর উপাদান। আমাদের সমাজ জীবনেও এর প্রভাব লক্ষ্যনীয়। আমাদের বাবা-মা’রা আজ অনেকেই নিজের সন্তান রাজনীতিতে সংশ্লিষ্ট জানতে পারলে মর্মাহত হন, তাকে সেখান থেকে বের করে নিয়ে আস্তে চান। ব্যক্তি/ পরিবার/ সমাজ, সকল জায়গায় মানুষের এই রাজনীতি বিমুখতা/ অরাজনৈতিক ব্যক্তি হয়ে উঠার প্রচেষ্টা কী এই সমাজের একটি স্বাভাবিক বিকাশের পরিনাম, নাকি এর পেছনেও গভীর কোনো উদ্দেশ্য আছে, অন্য কোনো “রাজনীতি” আছে, তা এই সময়ে খুঁজে বের করা আবশ্যক হয়ে উঠেছে।
এই বিষয়টি নিয়ে আমার আলোচনার শুরুতেই বেশ কিছু প্রশ্ন স্বাভাবিকভাবেই চিন্তাশীল পাঠকের মনে উঠে আসবে-
১. অরাজনৈতিকতা/ রাজনীতি বিমুখতার এই সংস্কৃতি কিভাবে শুরু হলো আমাদের এই দেশে? এর হোতা কারা? এতে তাদের কী সুবিধা?
২. ব্যক্তিগতভাবে কেউ অরাজনৈতিক/ রাজনীতি বিমুখ হলে তাতে অন্যদের সমস্যা কোথায়?
৩. অরাজনৈতিকের রাজনীতিটা আবার কী জিনিষ? সেটা কী করে করা হয়/ যায়?

৪. এখানে সুবিধাবাদের বিষয় আসলো কেমন করে?
৫. সার্বিকভাবে, সাধারন মানুষের করনীয় কী সেক্ষেত্রে?
আমি সক্ষেপে এই প্রশ্নগুলোর উত্তর খোঁজার মধ্য দিয়ে আমার মূল আলোচনাটা করার চেষ্টা করবো।
সবচেয়ে প্রথমে আমাদের যে বিষয়টি সম্পর্কে স্পষ্ট হওয়া দরকার সেটি হলো, রাজনীতি আসলে কী!? মোটাদাগে, রাজনীতি হলো এমন একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে কিছু ব্যক্তির সমন্বয়ে গঠিত কোন গোষ্ঠী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। যদিও রাজনীতি বলতে সাধারণত নাগরিক সরকারের রাজনীতিকেই বোঝানো হয়,তবে অন্যান্য সকল সামাজিক প্রতিষ্ঠান,যেমন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান,শিক্ষা প্রতিষ্ঠান,ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান যেখান মানুষের মধ্যে পারস্পারিক সম্পর্ক বিদ্যমান, সেখানে রাজনীতি চর্চা করা হয়। অর্থাৎ কতৃত্ব ও ক্ষমতার ভিত্তিতে গঠিত সকল সামাজিক সম্পর্ক রাজনীতির আওতাধীন। তাই একজন মানুষ আসলে শেষ পর্যন্ত কোনোভাবেই নিজেকে রাজনীতির প্রভাব বলয়মুক্ত বলে দাবী করতে পারে না/ চাইলেও সেরকমটি হতে পারে না। তাই নিজেকে সচেতনভাবে রাজনীতি বিমুখ/ অরাজনৈতিক বলে দাবি করা/ অন্যের কাছে তা প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করা নেহায়তই ব্যক্তির জানার ও বোঝার সীমাবদ্ধতাকেই স্পষ্ট করে তোলে।
তথাপিও আমাদের দেশে বেশ অনেকদিন যাবত এই অরাজনৈতিকতা/ রাজনীতি বিমুখতার সংস্কৃতি চলে আসছে। এর শুরুটাকে সত্যিকারভাবে কোনো সময় দিয়ে বেঁধে দেওয়া সম্ভব নয়। তবে এই বিষয়টি প্রথম লক্ষ্যনীয় হয়ে ওঠে নব্বইয়ের পরবর্তী সময়ে। একটি অগণতান্ত্রিক সরকার ব্যবস্থাকে সরিয়ে দিয়ে তথাকথিত গণতান্ত্রিক সরকার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করার পর পরই এদেশের কতিপয় সুযোগসন্ধানী রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, বুদ্ধিজীবি, আমলা, সরকারী কর্মকর্তা/ কর্মচারী, বিদেশী উপদেষ্টা ও সহযোগীতা সংস্থাসমূহ এদেশের তরুণ প্রজন্মের ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক চেতনাকে ধ্বংস করার প্রচেষ্টায় লিপ্ত হয়। তারা বিভিন্ন সংগঠনসমূহের ছাত্র ও যুব নেতৃবৃন্দকে অর্থের প্রলোভনে প্রলুব্ধ করে। ফলে ঐসকল ছাত্র ও যুব নেতৃবৃন্দ তাদের রাজনৈতিক আদর্শকে বিকিয়ে দিয়ে অর্থের দাস হয়ে যায়। তাদের এই নৈতিক স্খলন প্রচন্ড প্রভাব ফেলে আমাদের আর্থ-সামাজিক ব্যবস্থায়। মেধাবী শিক্ষার্থীদের রাজনীতি থেকে দূরে সরিয়ে রাখার একটা প্রক্রিয়া হিসেবে বিষয়টি তাদের এভাবে বোঝানো হতে থাকে যে ছাত্র রাজনীতি খুবই খারাপ। এখানে আহত হওয়ার ভয় আছে, নিহত হওয়ার ভয় আছে। অতএব, রাজনীতি, রাজনৈতিক দর্শন এই সকল সর্বনাশা বিষয় থেকে স্বেচ্ছায়/ পরিবারের চাপে মেধাবী(!) শিক্ষার্থীরা দূরে সরে থাকে। ফলে ছাত্র, যুব ও জাতীয় রাজনৈতিক অঙ্গনে নব্বইয়ের পরবর্তী সময়ে ক্রমান্বয়ে নেতৃত্বদানে অযোগ্য ও মেধাহীন নেতৃত্ব এসেছে। যা আমাদের পুরো রাজনৈতিক অঙ্গনের গুনগত মানকে ব্যহত করছে এবং রাজণৈতিক অঙ্গনকে প্রতিনিয়ত প্রশ্নবিদ্ধ করেছে সকলের সামনে। প্রকৃতিতে কখনোই কোনো জায়গা শূন্য থাকে না। তাই রাজনৈতিক অঙ্গনে মেধাবী ও যুক্তিশীলদের যে শূন্যতা তখন তৈরি হয়, তা ষড়যন্ত্রে পড়ে মেধাহীন আর অযোগ্যদের দ্বারা পূরণ হয়ে। তাই মুখ ফিরিয়ে রেখে মেধাবী, স্বপ্নবিলাসী ও যোগ্য তরুণরা একদিকে যেমন নিজেদের সম্ভাবনাকে নষ্ট করেছে, অন্যদিকে অযোগ্যদের হাতে এই দেশমাতৃকাকে তুলে দিয়েছে। আর এর মধ্য দিয়ে সবচেয়ে বেশি লাভবান হয় ওই সমস্ত সুযোগসন্ধানী রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, বুদ্ধিজীবি, আমলা, সরকারী কর্মকর্তা/ কর্মচারী, বিদেশী উপদেষ্টা ও সহযোগীতা সংস্থাসমূহ। তারা এই রাজনৈতিক অচলাবস্থার সুযোগ নিয়ে ক্রমশ নিজেদের স্বার্থ উদ্ধারের কাজে লিপ্ত হয়েছিলো। এবং অনেকদিন পর্যন্ত প্রায় নিরবিঘ্নে তা করছে তারা। আর তাই সমাজ ও রাষ্ট্রের সার্বিক কল্যানের স্বার্থে তরুণ প্রজন্মের সামগ্রিকভাবে রাজনীতিসচেতনতা এই মুহূর্তে অনেক বেশি প্রয়োজন।
এখন যে প্রশ্নটি আসবে তা হলো, ব্যক্তিগতভাবে কেউ অরাজনৈতিক/ রাজনীতি বিমুখ হলে তাতে অন্যদের সমস্যা কোথায়?! আছে, ভয়াবহ সমস্যা আছে। আমরা এই সমাজে সকলেই গোষ্ঠীগতভাবে বসবাস করি। আমরা প্রত্যেকে একে অন্যের সাথে সংশ্লিষ্ট। লক্ষ্য করলেই এটা স্পষ্ট হবে যে, আমাদের সকল সামাজিক সম্পর্ক কতৃত্ব ও ক্ষমতার ভিত্তিতে গঠিত। ফলে স্বীকার করি আর নাই করি, আমরা আমাদের প্রাত্যহিক জীবনে প্রত্যেকেই কোনো না কোনো ভাবে রাজনীতির সাথে সংশ্লিষ্ট। তাই একে ব্যক্তিগতভাবে না বুঝে অস্বীকার করা গেলেও, সত্যিকারভাবে একে অস্বীকার করার কোনো উপায়ই নেই। আর তাই, চিন্তাশীল একজন মানুষের পক্ষে রাজনীতিবিমুখ হওয়ার চেষ্টা করা নেহায়তই স্ব-বিরোধীতা ভিন্ন আর কিছুই না। এরপরও যদি কেউ এই রাজনীতি বিষয়টিকে অস্বীকার করতে চায়, তবে সে একদিকে যেমন সত্যের অপলাপ ঘটায়, অন্যদিকে একটি ভুল মনস্তত্বকে সামাজিকভাবে প্রতিষ্ঠা করতে সচেষ্ট হয়, যা সমাজ ব্যবস্থার জন্য যে মোটেই শুভকর নয়, তা আমরা ইতোমধ্যেই বাংলাদেশে দেখতে পেয়েছি। এই ভুল চিন্তা ব্যক্তিকে যেমন সত্যবোধ থেকে দূরে ঠেলে দেয়, তেমনি সমাজের অন্যায় আর প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে তার প্রতিবাদের ভাষাকে রুদ্ধ করে, তার সংঘবদ্ধ হয়ে ওঠার প্রচেষ্টাকে নষ্ট করে দেয়। তাই, একজন সমাজ সচেতন ব্যক্তির পক্ষে কোনোভাবেই ব্যক্তিগভাবেও অরাজতৈনিক/ রাজনীতিবিমুখ হওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
উপরের আলোচনাসমূহ মূলত রাজনীতির মূল বিষয়টি সম্পর্কে অসচেতন ব্যক্তির জন্যই করা হয়েছে। কিন্তু সমাজে এর বিপরীত শ্রেনীর ব্যক্তিও দেখতে পারা যায়, যারা খুব সচেতনভাবেই রাজনীতিবিমুখতার কথা বলে থাকে, অথবা তাকে সামাজিকভাবে প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করে থাকে। আর সেখানেই অরাজনৈতিকের রাজনীতি বিষয়টি চলে আসে, যা আমাদের কাছে স্পষ্ট হওয়া প্রয়োজন।
যারা আসলে সচেতনভাবে রাজনীতিবিমুখতাকে প্রশ্রয় দেন, ধারণ করেন ও প্রচার করেন তারা আসলে ২টি উদ্দেশ্যে এই কাজটিকে করে থাকেন-
১. রাজনীতি নিয়ে সাধারন মানুষের মনে এক ধরনের ধোঁয়াশা ও সন্দেহগ্রস্ত দৃষ্টিভঙ্গি তৈরির জন্য, যাতে মানুষ রাজনীতির মূল সুরটিকে আত্মস্থ করতে সক্ষম না হয়, কেননা এতে তাদের নিজেরদের রাজনীতি করার অবস্থান পরিষ্কার ও পাকাপোক্ত হয়; এবং
২. তাদের চারপাশের ও সমাজের অপরাপর মানুষের নিকট তাদের এক ধরনের তথাকথিত নিরপেক্ষ ও ভিন্নমাত্রিক অবস্থান তৈরির জন্য, যেই অবস্থাঙ্কে পুঁজি করে তারা সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারে।
এবং স্পষ্টতই দুই ধরনের ব্যক্তিবর্গ এই “অরাজনৈতিকতার রাজনীতি” করে থাকেন এবং এর সামাজিক স্বীকৃতি তৈরিতে সচেষ্ট ব্যস্ত থাকেন-
১. সুবিধাবাদী লোকজন, যারা নিজেদের সুবিধার জন্য কখনোই নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দর্শন, রাজনৈতিক পরিচয় গ্রহন করেন না। যখন যেই ধরনের রাজনোইতিক মতাদর্শ/ দল ক্ষমতা কাঠামোর কেন্দ্রে থাকে, তখন তারা তাদের তাবেদারী করে। এভাবে কথিত রাজনৈতিক নিরপেক্ষতার ধুয়া তুলে তারা আসলে পরিপূর্ণভাবে নিজেদের স্বার্থ হাসিলের জন্য ব্যস্ত থাকে।
২. মৌলবাদী ও প্রতিক্রিয়াশীল রাজনৈতিক আদর্শের সংগঠনসমূহের ব্যক্তিবর্গ যারা প্রকাশ্যে নিজেরদের রাজনৈতিক অবস্থান জনগনের কাছে প্রকাশে অক্ষম/ নিজেদের সুবিধারথেই তা করতে চান না। অরাজনৈতিকতার আওয়াজ তুলে তারা যেমন একদিকে সাধারণ মানুষ্কে তাদের নিজেদের রাজনৈতিক অবস্থান ও মতাদর্শ সম্পর্কে ভুল ও মিথ্যা ধারনা দেয়, অপরদিকে কল্যান্মুখী রাজনৈতিক দর্শন প্রতিষ্ঠা ও তার প্রসারে মানুষ যাতে ঐক্যবদ্ধ হতে না পারে, রাজনীতি সম্পর্কে ভুল ধারনা নেয়, এবং রাজনীতির প্রতি সাধারণ মানুষ্কে বীতশ্রদ্ধ করে তোলে। এর ফলে ওই গোষ্ঠীর নিজস্ব রাজনীতি যেনতেনভাবে সাধারণ মানুষের কাছে নিয়ে যাওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হয়।
তাই, এই ধরনের “অরাজনৈতিকতার রাজনীতিতে” উপোরক্ত উভয় পক্ষই ব্যক্তিগত/ সাংগঠনিকভাবে নিজেদের রাজনীতি/ রাজনৈতিক উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে “সুবিধাবাদের” আশ্রয় নেয়। এই সুবিধাবাদিতা একদিকে যেমন ব্যক্তিকে কলুষিত করে, তেমনি আমাদের সমাজ ব্যবস্থাকেও ক্রমশ কলুষিত করে। এইভাবে, অরাজনৈতিকতার রাজনীতি বাংলাদেশের মানুষের ভিতর যে সুবিধাবাদের নতুন আবাদ ঘটায়, তা বাংলাদেশের প্রতিটি সচেতন নাগরিকের বুঝতে পারা উচিতএবং সচেতনভাবে এই রাজনীতি বিমুখতা/ অরাজনৈতিকতাকে পরিহার করে রাজনীতি সচেতন হয়ে উঠা উচিত।
আলোচনার শুরুতে যে প্রশ্নগুলো উত্থাপন করা হয়েছে খুব অল্প আলোচনায় সেই প্রশ্নগুলোর উত্তর নিয়ে আসার চেষ্টা করেছি আমি। তবে একটি বিষয়কে অবশ্যই আমাদের মনে রাখতে হবে যে, রাজনীতির প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ/ দলকরণ/ মেরুকরণ আর রাজনীতি সচেতন সম্পূর্ণ ভিন্ন দুইটি বিষয়। অনেকেই আমরা প্রায়শই রাজনীতি সচেতন বলতে রাজনীতির প্রাতিষ্ঠানিক রূপায়ঙ্কে বুঝি, মোটেও কিন্তু তা না। বাংলাদেশে রাজনৈতিক প্রাতিষ্ঠানিক রূপায়নের জায়গাগুলো হল- আওয়ামীলীগ, বি.এন.পি. – এই সকল রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানের বিপক্ষে যে কোনো ব্যক্তির অবস্থান থাকতে পারে, কিন্তু তার অবশ্যই সুনির্দিষ্ট রাজনৈতিক দর্শন ও তার স্পষ্ট উচ্চারণ থাকতে হবে, নিদেনপক্ষে সে বলতে শিখবে, সে রাজনীতি বিমুখ/ অরাজনৈতিক না, সম্পূর্ণভাবেই রাজনীতি সংশ্লিষ্ট।
আলোচনার একদম শুরুতেই বলেছিলাম, পৃথিবীর কোথাও শূন্যতা থাকে না। কেউ না কেউ সেই শূন্যতা পূরণ করবেই। রাজনীতির অঙ্গনও শূন্য থাকবে না। ভালোরা, শুভবোধের সারথীরা দায়িত্ব না নিলে নিশ্চিতভাবেই তা অশুভ শক্তির করায়ত্ত হবে। এখনি সময় আমাদের এই বিষয়গুলোকে হৃদয় দিয়ে বোঝার, এবং সে অনুযায়ী নিজেদের সত্যিকারভাবে রাজনীতি সচেতন ও রাজনীতির প্রতি আগ্রহী করে তোলার। ভবিষ্যত নিশ্চিতভাবেই আমাদের। বিশ্বমানবতার জয় অবশ্যম্ভাবী।
৪টি মন্তব্য ৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

জামাত কি দেশটাকে আবার পূর্ব পাকিস্তান বানাতে চায়? পারবে?

লিখেছেন ঋণাত্মক শূণ্য, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৭:২৮

অন্য যে কোন সময়ে জামাতকে নিয়ে মানুষ যতটা চিন্তিত ছিলো, বর্তমানে তার থেকে অনেক বেশী চিন্তিত বলেই মনে করি।



১৯৭১ এ জামাতের যে অবস্থান, তা নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের অস্তিত্বের বিরুদ্ধে... ...বাকিটুকু পড়ুন

১৯৭১ সালে পাক ভারত যুদ্ধে ভারত বিজয়ী!

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯


দীর্ঘ ২৫ বছরের নানা লাঞ্ছনা গঞ্জনা বঞ্চনা সহ্য করে যখন পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বীর বাঙালী অস্ত্র হাতে তুলে নিয়ে বীরবিক্রমে যুদ্ধ করে দেশ প্রায় স্বাধীন করে ফেলবে এমন সময় বাংলাদেশী ভারতীয়... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইন্দিরা গান্ধীর চোখে মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক: ওরিয়ানা ফলাচির সাক্ষাৎকার

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৫৫


১৯৭২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ইতালীয় সাংবাদিক ওরিয়ানা ফলাচি ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর সাক্ষাৎকার নেন। এই সাক্ষাৎকারে মুক্তিযুদ্ধ, শরনার্থী সমস্যা, ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক, আমেরিকার সাম্রাজ্যবাদী পররাষ্ট্রনীতি এবং পাকিস্তানে তাদের সামরিক... ...বাকিটুকু পড়ুন

=যাচ্ছি হেঁটে, সঙ্গে যাবি?=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:০৬


যাচ্ছি হেঁটে দূরের বনে
তুই কি আমার সঙ্গি হবি?
পাশাপাশি হেঁটে কি তুই
দুঃখ সুখের কথা ক'বি?

যাচ্ছি একা অন্য কোথাও,
যেখানটাতে সবুজ আলো
এই শহরে পেরেশানি
আর লাগে না আমার ভালো!

যাবি কি তুই সঙ্গে আমার
যেথায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

আগামী নির্বাচন কি জাতিকে সাহায্য করবে, নাকি আরো বিপদের দিকে ঠেলে দিবে?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:১২



আগামী নির্বচন জাতিকে আরো কমপ্লেক্স সমস্যার মাঝে ঠেলে দিবে; জাতির সমস্যাগুলো কঠিন থেকে কঠিনতর হবে। এই নির্বাচনটা মুলত করা হচ্ছে আমেরিকান দুতাবাসের প্রয়োজনে, আমাদের দেশের কি হবে, সেটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

×