প্রতিবারের মতো ঈদে বাড়ী এলাম, কিন্তু চারিদিকে অপার শূণ্যতা আর হাহাকার!
গত বছরের ঈদে ও বাবা- মা ছিলেন ; ঘরে ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে জড়িয়ে ধরেছেন, এবার কেমন আছি এ কথা জিজ্ঞেস করার কেউ নেই।
ছুটে গেলাম কবরের পাড়ে, সেখানে আরেক নিস্তব্ধতা-থেকে থেকে অজানা পাখির ডাক-চোখের পানিতে চারদিক ঝাঁপসা দেখি,নিজেকে বিপন্ন মনে হয়, অসহায়ত্বে পুরো শরীরে বয়ে যায় শীতল অনুভূতি।
বাবা-মা এর জন্য কখনো কিছইু করিনি, কিছু করতেও পারিনি। গত ঈদে মা কে জিজ্ঞেস করেছিলাম , ‘আম্মু কি আনবো? আম্মু বলেছিলেন, তুই তাড়াতাড়ি আয় বাবা, আব্বু বলেছিলেন, আমার তো বাবা সবই আছে, কিছুই লাগবে না, কবে ছুটি পাবি?’
মা চলে গেছেন ২৭শে ডিসেম্বর ২০১০, আর বাবা ২২ শে জানুয়ারি ২০১১, মাত্র ২৬ দিনে সম্পূর্ণ ওলোট পালট হয়ে গেছে আমার পৃথিবী; আমার সবকিছু।
এখন জীবন জীবনের নিয়মে চলছে, হাসছি-খেলছি,ক্যামেরার সামনে দাড়াচ্ছি, কাজ করছি কিন্তু ভেতরের হাহাকার যায়না।
সেই প্রিয় মুখ আর কখনো দেখবো না, পরম মমতায় বুকের ভেতরে কখনো আর আশ্রয় পাবো না, হাহাকারের তপ্ত মরুতে বাবা-মায়ের চোখের জল করুণাধারার মতো আর কখনো নেমে আসবে না ... ....
যতদিন বেঁচে আছি, আমি জানি আমার প্রতিটি ঈদ বা প্রতিটি আনন্দের দিন এভাবেই কাটবে, পরমকরুণাময় আমার চোখের জলের বিনিময়ে আমার বাবা-মা কে পরম সুখে রাখবেন; আমাকে শৈশবে তাঁরা যেভাবে-যে পরম মমতায় লালন-পালন করেছেন তার চেয়েও বেশি যত্ন তাঁরা এখন আছেন এবং থাকবেন।
বন্ধুদের সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




