- "অফিসে যাবি না? যলদি ওঠ, বুয়া আসেনি। নাস্তা আনতে হোটেলে যেতে হবে।"
বাবার ডাকে ঘুম ভাঙ্গল। ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে হোটেল থেকে নাস্তা কিনে বাপ-বেটা দু'জন নাস্তা সারলাম। তারপর অফিস।
বাবার ডায়াবেটিস। সকাল ও রাতে দু'বেলা ইনসুলিন নিতে হয়। নিজের ইনসুলিন নিজে পুশ করতে পারে না তাই আমিই সর্বদা এই কাজটি করে থাকি। ভাই-বোনের মধ্যে আমি সবার ছোট। মা মারা গেছে ৩ বছর হতে চলল। বোনদের বিয়ে হয়ে গেছে অনেক আগে। বড় ভাই বিয়ে করেছে নিজের পছন্দ মত। প্রথমে আমরা কেউই জানতাম না। জানার পর মা নিজে গিয়ে তার ছেলের বউকে বাড়িতে নিয়ে এসেছিল। কিন্তু বেশি দিন থাকতে পারলো না আমাদের সাথে, আলাদা হয়ে গেল।
মা মারা যাবার পর বড় খালা তাদের জানাশোনার মধ্যে বিয়ে দিল। বিয়ের আগে মেয়ে (ভাবি) সম্পর্কে অনেক ভালো ভালো কথা শুনেছিলাম। অসম্ভব রকম ভালো মেয়ে, শ্বশুড়ের যত্নের কোন ত্রুটি হবে না, তবে এই যা একটু বয়স কম। যাক সেই কথা। এখন তারাও আলাদা থাকে। আসলে আলাদা থাকে বলাটা ভুল হবে, আলাদা করা হয়েছে।
তারও বছর খানেক পর সেজ ভাইকে বাবা নিজে পছন্দ করে বিয়ে করালো। মেয়ে আমাদের দেশের বাড়ীর, ঢাকায় তাদের নিজেদের বাড়ীতে থাকে। লেখাপড়া মাস্টার্স পাশ। বছর খানেক হলো বিয়ে হয়েছে। এই ভাবি সম্পর্কে বাবার মন্তব্য কিছু হোক বা না হোক এই মেয়ে আমাদের দেশী আচার-ব্যবহার অন্ত্যত জানে। কাকে কখন কিভাবে খোজ খবর নিতে হবে, কিভাবে সংসার গোছাতে হবে তা বলে দিতে হবে না। তার মধ্যে শিক্ষার আলো আছে।
তিন তিনটা ভাবির যুগ পার করে এখন আমরা কাজের বুয়ার হাতের রান্না খাই। বুয়া না আসলে হোটেল। ছোট বোনের বাড়ী আমাদের বাড়ীর কাছে হওযায় বাবার রক্ষা, সময় পার হয় এ বাড়ী ও বাড়ী করে।
চলছে জীবনের রথ জীবনের মত।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




