শুভ জন্মদিন!
একটা জিনিস এই দিনে ভালো হইছে, আর তা হইল আজকে ছুটি ছিল। কাজ কাম করতে মন চায় না। তাই শেখ মুজিবের জন্মদিনের ওয়াস্তে ছুটিটা পাইয়া ভালোই লাগলো।
১৫ আগস্টে খালেদার জন্মদিনেও ভালোই লাগে। জন্মদিন মানেই ছুটি;জন্মদিন মানেই আনন্দ। কারণ জন্মদিন মানেই ছুটি। নিজামী এরশাদের জন্মদিনগুলিও জানা দরকার। প্রয়োজনে মঈন ইউ আহমেদের জন্মদিনও জেনে রাখা দরকার। কিছু সেনা সদস্য ও তাদের বউদের জন্মদিনও জেনে রাখা অন্তত নোট রাখা দরকার আছে।
ভাবছি আমার আগামী জন্মদিনে অফিস কামাই দিব। অফিস কামাই দিয়ে বিটিভি দেখা যায়।
আজকে বিটিভি চালু করেছিলাম বন্ধুর চায়নাসেট থেকে। এন্টেনা ধইরা রাইখা অনেক ক্ষণ মজা পাইছি। সঙ্গীতানুষ্ঠান, একটা গানের নমুনা দেইঃ
ও আমার বঙ্গবন্ধুরে...
কোথায় গেলে পাবো তোমারে...
কেমনে ভুলিব তোমারে...?
শেষ লাইনে শেখ মুজিবকে আসলেই ভুলিয়ে দিতে চাইছেন গায়ক। আরেকটাঃ
আজকে শুভদিন,
জাতির-জনক-শেখ মুজিবের জন্মদিন...
এইটা ভালো না। আগেরটা হিট খাইছে। যাকগা শিল্পী কাউরে চিনি না। আপনেরাও চিনেন না শিউর। তয় এদের দেইখা "শহীদ জিয়া সাংস্কৃতিক জোট, তারেক শিল্পী গোষ্ঠী" ইত্যাদির কথা মনে পড়ে।
শেখ মুজিবের একটা হিট ডায়লগ তো আছেই, "এবারের সংগ্রাম আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রাম!" ৭ ই মার্চের ভাষণের গুরুত্ব নিয়া আমার মনের মইধ্যে খুব বেশি সন্দেহ নাই। ঐটা একটা টার্নিং পয়েন্ট আমাদের স্বাধীনতা আন্দোলনের। শেখ মুজিবের প্রতি জাতি কৃতজ্ঞ। কবিরাও বিশেষ করে। নির্মলেন্দু গুণ...ইত্যাদি।
সংগীতানুষ্ঠানের পরের অনুষ্ঠান, "স্বরচিত কবিতা আবৃত্তির অনুষ্ঠান।" প্রথমে ঠিক মতো শুনিনাই। পরে দেখি "স্বরচিত"। হায়রে। শিহাভ সরকার, প্রত্যয় জসীম, নাসির আহমেদ, তারেক সুঝাত, নিয়োঘী ইহারা কোনকালে কবি ছিল না, এইটা আমি শিউর। তবে এরা নিজেরা কবিতা লিখা ভুল উচ্চারণ(সংবৃত-বিবৃত, ঘোষ-অঘোষ-অল্পপ্রাণ-মহাপ্রাণ-ঝঞ্ঝা-জঞ্জা, সবগুলার সমস্যা আছে) নিয়া চইল্যা আইছে কবিতা পাঠ করতে শুধু শেখ মুজিবের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাইতে এইটা বিশ্বাস করা কষ্টকর। আরও স্বার্থ নিশ্চয় আছে। হুদা আবেগের বশে এতকিছু করার কথা না। সাদীভাই যেমন গত আমলে গাইতো, "সেদিন আকাশে শ্রাবণের মেঘ ছিল..."। তারেক-জয় শিল্পী-কবি-সাহিত্যিক ফোরাম ইত্যাদি ইত্যাদি।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




