বগুড়া-৫ (শেরপুর-ধুনট) আসনে আওয়ামী লীগের সাংসদ হাবিবর রহমান ১০ বছর আগে নির্ভরশীলদের কাছ থেকে ধারের টাকায় নির্বাচন করেছেন। তখন তাঁর কাছে নগদ টাকা ছিল ২ লাখ ৭৭ হাজার ৪৭৫। এখন জমা টাকা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ৫১ লাখ ৫৭ হাজার ৬১১। হলফনামা বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, সাংসদ হাবিবুরের নিজের নামে ১০ বছর আগে স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ ছিল ৩৫ লাখ ৭২ হাজার টাকার। এখন তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ কোটি ১৬ লাখ ৪৫ হাজর ৯৪৮ টাকা। ১০ বছর আগে তাঁর কাছে নগদ ছিল ২ লাখ ৭৭ হাজার ৪৭৫ টাকা, ব্যাংকে দেড় লাখ এবং বন্ড ও শেয়ারবাজারে ২৫ লাখ টাকা। এখন নগদ টাকার পরিমাণ ৫৪ গুণ বেড়েছে। ব্যাংকে জমা রয়েছে আরও ৬০ লাখ ২৯ হাজার ৭০৪ টাকা। বন্ড ও শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ রয়েছে আরও ৪০ লাখ টাকা।
১০ বছর আগে তাঁর নিজের কোনো গাড়ি ছিল না, চড়তেন স্ত্রীর গাড়িতে। এখন ৬৬ লাখ ২৩ হাজার টাকার দামি গাড়িতে চড়েন। আগে হাবিবরের লাইসেন্স করা কোনো অস্ত্র ছিল না। এখন একটি বন্দুক ও পিস্তল সঙ্গে রাখেন তিনি। ১০ বছর আগে একটি ফ্ল্যাটে থাকতেন। এখন ঢাকার অদূরে সাভারে আরও একটি ফ্ল্যাটের মালিক তিনি। তাঁর স্ত্রী খাদিজা বেগমের অস্থাবর সম্পদ ৬৯ লাখ ৬২ হাজার ৯২৫ টাকা। হাবিবরের স্থাবর সম্পদের মধ্যে ৫০ হাজার টাকা মূল্যের ১০ বিঘা কৃষিজমি, ৯৩ লাখ ৩৫ হাজার ৬৩৩ টাকা মূল্যের ঢাকার নিকুঞ্জে একটি ফ্ল্যাট এবং সাভারে বিসিএস পুলিশ অফিসার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশেনের আবাসিক এলাকায় একটি ফ্ল্যাট। তাঁর স্ত্রীর রয়েছে ৯ লাখ ৯৪ হাজার ৬০০ টাকা মূল্যের সাড়ে ৩ বিঘা কৃষিজমি। তবে ২০০৮ সালের হলফনামায় স্ত্রীর কোনো কৃষিজমি ছিল না।
তথ্যসূত্র-প্রথম আলো