সেই দুনর্ীতি দূর করার জন্য কোন সরকারই জোরালো পদক্ষেপ নেয়নি, বর্তমান সরকারও তার ব্যতিক্রম নয়। কিন্তু এখানে একটি কথা বলা প্রয়োজন। সরকার কিভাবে দুনর্ীতি দমন করবে যদি সরকারের ন্ত্রী এমপিরা দুনর্ীতির সাথে জড়িত থাকে? যেমন উদাহরণ স্বরূপ বলা যায় নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়। এই মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব প্রাপ্ত মন্ত্রী হলো কর্ণেল আকবর সাহেব। যখন দুনর্ীতির অভিযোগে মন্ত্রী সাহেব পত্রিকার শিরোনাম হন তখন জনগণকে কি আর বলার অপেক্ষা রাখে যে নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের অধীনে পরিচালিত প্রতিটি সেক্টরে দুনর্ীতি হচ্ছে। আমি একটি মন্ত্রণালয়ের উদাহরণ দিয়ে পাঠক সমাজকে বিষয়টি সম্পর্কে সচেতন করেছি। এই রকম প্রতিটিমন্ত্রণালয়ে চলছে দুনর্ীতি যা দৈনিক পত্রিকা খুললেই স্পষ্ট।
অনেকবার সচেতন নাগরিকদের থেকে সরকারকে মতামত কিংবা পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। প্রতিদিন সচেতন কলামিষ্টরা তাদের মতামত ব্যক্ত করে সরকারের প্রতি আবেদন নিবেদন করে আসছেন। কিন্তুএই দিকে সরকারের কোন খেয়াল নেই বললেই চলে। তাই তো দুনর্ীতি থেকে রেহাই নেই।
দুনর্ীতিবাজদের কারণে দেশের 15 কোটি মানুষ ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। সুতরাং বাংলাদেশকে দুনর্ীতি মুক্ত করতে হলে আদর্শবান নেতৃত্বের বিকল্প নেই। অতএব, আমি সরকারি দলসহ প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দলের প্রতি একান্ত অনুরোধ রাখবো, আগামী নির্বাচনে আপনারা নমিনেশন দেওয়ার সময় অর্থের েচয়ে প্রাথর্ীর চরিত্র, আদর্শ এবং মৌলিক যোগ্যতাকে বেশি প্রাধান্য দিবেন। দেশবাসী এটাই আশা করে। আর যদি তাই হয়, তাহলে অচিরেই বাংলাদেশও হতে পারে সিঙ্গাপুর কিংবা মালয়েশিয়ার মতো মডেল কান্ট্রি, স্বার্থক হবে শহীদ বরকত সালামদের তাজা রক্ত। বীরশ্রেষ্ট মতিউর, জাহাঙ্গীরসহ ত্রিশ লক্ষ শহীদের জীবন। কিংবা ঐতিহাসিক রেসকোর্সের ময়দানে জাতির মহান নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের ভাষণ, এবং তারই নেতৃত্বে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণা, আর তখনি হবে বাংলাদেশ উন্নয়ন জগতে চ্যাম্পিয়ন এবং সে দিনটির অপেক্ষায় আছে বাংলার প্রতিটি অসহায় নাগরিক।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে ডিসেম্বর, ১৯৬৯ সন্ধ্যা ৭:০০

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




