somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পট খাওয়া জায়েজ করতেই নাস্তিক হইছিঃ অমি পিয়াল রহমান।

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:৩৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

মহা চুদুর রহমান আমারদেশে লিখলো অমি পিয়াল নাকি নাস্তিক। নাস্তিকদের বিরুদ্বে তার ঐতিহাসিক পোষ্টা দেওয়া হলো। লন্ডনে গিয়া the byrds এর সাইনবোড দেইখ্যা আমি যারপর নাই উচ্ছ্বসিত। বিটলস না, আমার কাছে মেলোডিয়াস রক এন রোলের এরাই উস্তাদ। যারা টম হ্যাংকস অভিনীত ফরেস্ট গাম্প দেখছেন, তারা অনেকেই মানবেন আমার কথাটা। সেই ছবির সাউন্ডট্র্যাকে turn turn turn নামে অসাধারণ একটা গান আছে। তো দেখার পর থাইকা আমার দুই পায়ে আর সাড় নাই। আগায়ও না, পিছায়ও না। খালি মনে হয়, এই জীবন বৃথা এত কাছে আইসা গুরুগো না দেইখা গেলে। যাইবার কথা তানভীর ভাইর কাছে। চ্যানেল এস-এ একটা গানা গামু। উনি ব্যবস্থা দিবেন। কিন্তু সব বাদ। এখন আমার কাছে এই চারণ কবিদের প্রসাদ পাওযাটাই মূখ্য হইয়া দাড়াইছে।



আশপাশ দিয়া ঘুরঘুর করি। দরজার পাশে বড় বড় জানালায় উকি দিই। একবার ভাবি বেল টিপি। কিন্তু ডর লাগে। যদি গাইল পারে! একটু পর আমার হাউশ মিটাইয়া একটা জানালার পাল্লা খু্‌ইল্লা গেলো। দেখি খালি গায় এক লুঙ্গি পড়া লোক- কি সুন্দর প্রভাত বইলা আড়মোড়া দিলেন। লুঙ্গি! লুঙ্গি!! আমি দৌড় পাইরা কাছে যাই। সালাম ভাই, আপনে বাঙালী? উনি গম্ভীর হইয়া তাকাইলেন- আমি ভিক্ষুক না শিউর হইয় বললেন। সুপ্রভাত। আমি নাস্তিক!



নাস্তিক! বাহ সুন্দর নাম তো। ছোটোবেলায় মা আমারে মাঝে মাঝে নাস্তিক কইতো। কইতো- নামাজ নাই, কালাম নাই, সারাদিন ঘুরঘুর। আমার ঘরে একটা নাস্তিক আইলো কইথ্যাইকা। কইলাম হাই নাস্তিক ভাই। আমি বাঙলাদেশ থিক্যা আসছি। আসছি অন্য কামে। কিন্তু আমি (সাইনবোডের দিকে আঙুল দেখাইয়া) চরম ফ্যান। দেখা করতে চাই। উনি এইবার আগ্রহভরে তাকাইলেন। বললেন- সদস্য হতে চান? ওয়াও, এতো দেখি মেঘ না চাইতে দল। হিসাবে byrds গ্রুপের কারো বাইচা থাকার সম্ভাবিলিটি কম। এইটা শিউর ফ্যান ক্লাব। আমরিকাতে এমন আছে শুনছি। আইজকাল ফেইসবুকেও অহরহ। লন্ডনে আইসা প্রিয় ব্যান্ডের ভক্ত তালিকায় নাম লিখানোর সুযোগ ছাড়ে কোন হালায়। বললাম- জ্বি স্যার। উনি বললেন ঘুরেন তো। বুঝলাম না। বললাম জ্বি! বললেন, ঘুরে দাড়ান একটু। ঘুরলাম। তারপর জানালা দিয়া একটা শিলিং ছুইড়া মারলেন, বললেন দেখি উবু হইয়া টোকাইয়া দেন। দিলাম টোকাইয়া। উনি দেখি মুখ ব্যাজার কইরা বললেন- জিনিস তো সুবিধার না। চিমসা। গ্যাঞ্জা খান নাকি? আমি বলি- ছিছি, কি বলেন এইসব। আমি গাঞ্জুট্টি না। মদ-মুদ খাই মাঝে সাঝে, গ্যাঞ্জা না।



যাহোক। ঢুকলাম ভিতরে। দেখি নিচে মাদুর পাইতা জড়াজড়ি কইরা শুইয়া আছে কয়েকজন। গায়ে গতরে দেখতে বাঙালী গো মতোই। শোয়ার এই ঢংটা একটু কেমন জানি। কাইত হইয়া একজনের গায়ে আরেকজন লাইগা থাকা। ঢাকা সেন্ট্রাল জেলে এইটার নাম ইলিশ ফাইল। পাশের রুমে দুইতিনজন কম্পিউটারে কি জানি লিখতাছে। নাস্তিক ভাই নিজে থাইকাই বললেন উনারা ব্লগিঙ করে। জিগাইলাম- এরা সবাই ফ্যান। কইলেন- ইয়েস। আমরা সবাই নাস্তিক। এইবার চমকাই। সবার নাম নাস্তিক? বেডায় হাসে। কয় আপনি ধারমিক নাকি? বললাম- জ্বি। তাহলে সদস্য হতে চান যে বড়ো! বললাম- সদস্য হইতে কি সমস্যা! উনি ওহ কইরা একটা আওয়াজ দিলেন। তারপর কইলেন। ওই ঘরে চইলা যান। ওইখানে ধরমকথা শুনতে পারবেন। কইলাম- বুঝলাম না। কিসের ধরমকথা। কইলেন-ওইখানে আমাগো পরিচালক সাহেব বসেন। উনি আপনার সাক্ষাতকার নিবেন। তারপর যদি যোগ্য মনে করেন, তাইলে সদস্য হতে পারবেন।



বুকে একটা ফু দিয়া ঢুইকা পড়লাম সেই ঘরে। বিশাল এক মাদুর পাতা। ওইখানে এক কোলবালিশে ঢেলান দিয়া প্যান্টির মতো ল্যাংটি পইড়া এক লোক আধশোয়া। দেখলেই মাখখন কথাটা মনে আসে। আমি একটু স্মারট সাজার চেষ্টা করি- কই হাই আম ফ্রম বাঙলাদেশ। অ্যান্ড ইউ? উনি ছিনালী একটা হাসি দিয়া বললেন- চোস্ত ইংরেজি মারানোর দরকার নাই। এইখানে সিলোডি, বেঙলি, আবাদি, চৌধুরী সবই আছে। আপনে বলেন আপনে একটিভ না প্যাসিভ। বললাম কিসের একটিভ প্যাসিভ? মানে হোগা মারেন, না মারান? হেহে হাসি দিয়া বলি অবশ্যই মারি। বহুত হোগা মারছি। কইলো দেখি প্যান্ট খুলেন। একটু মাইরা দেখান। কইলাম, কি পাপের কথা বলেন? আপনারা মুসলমান না। উনি কয়- রাখেন মিয়া মুসলমান। বাপ-দাদায় আছিলো। আমারও পাসপোটে মুসলিম নাম। তাতে কি হইছে। তারপর অনেক কথাই বললেন যার সংক্ষিপ্ত রূপ- পট মারায় অভ্যাস হয়া গেছে। কিন্তু আপনাগো ইসলাম এইটারে জায়েজ মানে না। কোনো ধরমই মানে না। তাই আমরা নাস্তিক হইছি। সারাদিন পুটকি মারা খাই, আর চরমানন্দ নিতে ধরমরে গাইল পারি। ধরমে বিশ্বাসীরা এমনিতে যা যা করে, আমরাও তাই তাই করি। কথা বলি, খাই দাই, হাগিমুতি, ঘুমাই। খালি ওরা নামাজ কালাম পড়ে, পুজা আরচা করে, চারচে যায়। আর আমরা হোগা মারা দিই। বললাম ধরমে বিশ্বাসী হইয়া তো শিবিরও এই কাম করে। উনি কইলেন- ওরা প্রতিক্রিয়াশীল। আমরা প্রগতিশীল হোগামারা খাওয়া পারটি।



শুইনা খুবই মায়া হইলো। ভুইলা গেলাম প্রিয় ব্যান্ডের ভক্ত দলে নাম না লেখানোর দুঃখ। তারপরও এতদূর আইলাম কামের কাম কিছুই হইলো না, ওইদিকে তানভীর ভাই নিশ্চয়ই ফায়ার হইতেছে। পরিচালক সাহেব জিগাইলেন- কি ঠিক করলেন? হবেন সদস্য। বললাম- আরেকটু ভাইবা দেখি। তবে পরীক্ষাটা দিয়া যাইতে চাই। উনি বললেন তথাস্তু। তারপর পয়সা টোকানোর স্টাইলে উবু হইলেন।
৩টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বন্ডাইর মত হত্যাকাণ্ড বন্ধে নেতানিয়াহুদের থামানো জরুরি...

লিখেছেন নতুন নকিব, ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:২৫

বন্ডাইর মত হত্যাকাণ্ড বন্ধে নেতানিয়াহুদের থামানো জরুরি...

বন্ডাই সৈকতের হামলাস্থল। ছবি: রয়টার্স

অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডাই সৈকত এলাকায় ইহুদিদের একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে সমবেত মানুষের ওপর দুই অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী অতর্কিতে গুলি চালিয়েছে। এতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আল্লাহ সর্বত্র বিরাজমাণ নন বলা কুফুরী

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১৪



সূরাঃ ২ বাকারা, ২৫৫ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৫৫। আল্লাহ, তিনি ব্যতীত কোন ইলাহ নেই।তিনি চিরঞ্জীব চির বিদ্যমাণ।তাঁকে তন্দ্রা অথবা নিদ্রা স্পর্শ করে না।আকাশ ও পৃথিবীতে যা কিছু আছে সমস্তই... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিজয়ের আগে রাজাকারের গুলিতে নিহত আফজাল

লিখেছেন প্রামানিক, ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:১৩


ঘটনা স্থল গাইবান্ধা জেলার ফুলছড়ি থানার উড়িয়া ইউনিয়নের গুণভরি ওয়াপদা বাঁধ।

১৯৭১সালের ১৬ই ডিসেম্বরের কয়েক দিন আগের ঘটনা। আফজাল নামের ভদ্রলোক এসেছিলেন শ্বশুর বাড়ি বেড়াতে। আমাদের পাশের গ্রামেই তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

৫৫ বছর আগে কি ঘটেছে, উহা কি ইডিয়টদের মনে থাকে?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:৫৮




ব্লগের অনেক প্রশ্নফাঁস ( Gen-F ) ১ দিন আগে পড়া নিউটনের ২য় সুত্রের প্রমাণ মনে করতে পারে না বলেই ফাঁসকরা প্রশ্নপত্র কিনে, বইয়ের পাতা কেটে পরীক্ষার হলে নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

১৯৭১ সালে পাক ভারত যুদ্ধে ভারত বিজয়ী!

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯


দীর্ঘ ২৫ বছরের নানা লাঞ্ছনা গঞ্জনা বঞ্চনা সহ্য করে যখন পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বীর বাঙালী অস্ত্র হাতে তুলে নিয়ে বীরবিক্রমে যুদ্ধ করে দেশ প্রায় স্বাধীন করে ফেলবে এমন সময় বাংলাদেশী ভারতীয়... ...বাকিটুকু পড়ুন

×