মহা চুদুর রহমান আমারদেশে লিখলো অমি পিয়াল নাকি নাস্তিক। নাস্তিকদের বিরুদ্বে তার ঐতিহাসিক পোষ্টা দেওয়া হলো। লন্ডনে গিয়া the byrds এর সাইনবোড দেইখ্যা আমি যারপর নাই উচ্ছ্বসিত। বিটলস না, আমার কাছে মেলোডিয়াস রক এন রোলের এরাই উস্তাদ। যারা টম হ্যাংকস অভিনীত ফরেস্ট গাম্প দেখছেন, তারা অনেকেই মানবেন আমার কথাটা। সেই ছবির সাউন্ডট্র্যাকে turn turn turn নামে অসাধারণ একটা গান আছে। তো দেখার পর থাইকা আমার দুই পায়ে আর সাড় নাই। আগায়ও না, পিছায়ও না। খালি মনে হয়, এই জীবন বৃথা এত কাছে আইসা গুরুগো না দেইখা গেলে। যাইবার কথা তানভীর ভাইর কাছে। চ্যানেল এস-এ একটা গানা গামু। উনি ব্যবস্থা দিবেন। কিন্তু সব বাদ। এখন আমার কাছে এই চারণ কবিদের প্রসাদ পাওযাটাই মূখ্য হইয়া দাড়াইছে।
আশপাশ দিয়া ঘুরঘুর করি। দরজার পাশে বড় বড় জানালায় উকি দিই। একবার ভাবি বেল টিপি। কিন্তু ডর লাগে। যদি গাইল পারে! একটু পর আমার হাউশ মিটাইয়া একটা জানালার পাল্লা খু্ইল্লা গেলো। দেখি খালি গায় এক লুঙ্গি পড়া লোক- কি সুন্দর প্রভাত বইলা আড়মোড়া দিলেন। লুঙ্গি! লুঙ্গি!! আমি দৌড় পাইরা কাছে যাই। সালাম ভাই, আপনে বাঙালী? উনি গম্ভীর হইয়া তাকাইলেন- আমি ভিক্ষুক না শিউর হইয় বললেন। সুপ্রভাত। আমি নাস্তিক!
নাস্তিক! বাহ সুন্দর নাম তো। ছোটোবেলায় মা আমারে মাঝে মাঝে নাস্তিক কইতো। কইতো- নামাজ নাই, কালাম নাই, সারাদিন ঘুরঘুর। আমার ঘরে একটা নাস্তিক আইলো কইথ্যাইকা। কইলাম হাই নাস্তিক ভাই। আমি বাঙলাদেশ থিক্যা আসছি। আসছি অন্য কামে। কিন্তু আমি (সাইনবোডের দিকে আঙুল দেখাইয়া) চরম ফ্যান। দেখা করতে চাই। উনি এইবার আগ্রহভরে তাকাইলেন। বললেন- সদস্য হতে চান? ওয়াও, এতো দেখি মেঘ না চাইতে দল। হিসাবে byrds গ্রুপের কারো বাইচা থাকার সম্ভাবিলিটি কম। এইটা শিউর ফ্যান ক্লাব। আমরিকাতে এমন আছে শুনছি। আইজকাল ফেইসবুকেও অহরহ। লন্ডনে আইসা প্রিয় ব্যান্ডের ভক্ত তালিকায় নাম লিখানোর সুযোগ ছাড়ে কোন হালায়। বললাম- জ্বি স্যার। উনি বললেন ঘুরেন তো। বুঝলাম না। বললাম জ্বি! বললেন, ঘুরে দাড়ান একটু। ঘুরলাম। তারপর জানালা দিয়া একটা শিলিং ছুইড়া মারলেন, বললেন দেখি উবু হইয়া টোকাইয়া দেন। দিলাম টোকাইয়া। উনি দেখি মুখ ব্যাজার কইরা বললেন- জিনিস তো সুবিধার না। চিমসা। গ্যাঞ্জা খান নাকি? আমি বলি- ছিছি, কি বলেন এইসব। আমি গাঞ্জুট্টি না। মদ-মুদ খাই মাঝে সাঝে, গ্যাঞ্জা না।
যাহোক। ঢুকলাম ভিতরে। দেখি নিচে মাদুর পাইতা জড়াজড়ি কইরা শুইয়া আছে কয়েকজন। গায়ে গতরে দেখতে বাঙালী গো মতোই। শোয়ার এই ঢংটা একটু কেমন জানি। কাইত হইয়া একজনের গায়ে আরেকজন লাইগা থাকা। ঢাকা সেন্ট্রাল জেলে এইটার নাম ইলিশ ফাইল। পাশের রুমে দুইতিনজন কম্পিউটারে কি জানি লিখতাছে। নাস্তিক ভাই নিজে থাইকাই বললেন উনারা ব্লগিঙ করে। জিগাইলাম- এরা সবাই ফ্যান। কইলেন- ইয়েস। আমরা সবাই নাস্তিক। এইবার চমকাই। সবার নাম নাস্তিক? বেডায় হাসে। কয় আপনি ধারমিক নাকি? বললাম- জ্বি। তাহলে সদস্য হতে চান যে বড়ো! বললাম- সদস্য হইতে কি সমস্যা! উনি ওহ কইরা একটা আওয়াজ দিলেন। তারপর কইলেন। ওই ঘরে চইলা যান। ওইখানে ধরমকথা শুনতে পারবেন। কইলাম- বুঝলাম না। কিসের ধরমকথা। কইলেন-ওইখানে আমাগো পরিচালক সাহেব বসেন। উনি আপনার সাক্ষাতকার নিবেন। তারপর যদি যোগ্য মনে করেন, তাইলে সদস্য হতে পারবেন।
বুকে একটা ফু দিয়া ঢুইকা পড়লাম সেই ঘরে। বিশাল এক মাদুর পাতা। ওইখানে এক কোলবালিশে ঢেলান দিয়া প্যান্টির মতো ল্যাংটি পইড়া এক লোক আধশোয়া। দেখলেই মাখখন কথাটা মনে আসে। আমি একটু স্মারট সাজার চেষ্টা করি- কই হাই আম ফ্রম বাঙলাদেশ। অ্যান্ড ইউ? উনি ছিনালী একটা হাসি দিয়া বললেন- চোস্ত ইংরেজি মারানোর দরকার নাই। এইখানে সিলোডি, বেঙলি, আবাদি, চৌধুরী সবই আছে। আপনে বলেন আপনে একটিভ না প্যাসিভ। বললাম কিসের একটিভ প্যাসিভ? মানে হোগা মারেন, না মারান? হেহে হাসি দিয়া বলি অবশ্যই মারি। বহুত হোগা মারছি। কইলো দেখি প্যান্ট খুলেন। একটু মাইরা দেখান। কইলাম, কি পাপের কথা বলেন? আপনারা মুসলমান না। উনি কয়- রাখেন মিয়া মুসলমান। বাপ-দাদায় আছিলো। আমারও পাসপোটে মুসলিম নাম। তাতে কি হইছে। তারপর অনেক কথাই বললেন যার সংক্ষিপ্ত রূপ- পট মারায় অভ্যাস হয়া গেছে। কিন্তু আপনাগো ইসলাম এইটারে জায়েজ মানে না। কোনো ধরমই মানে না। তাই আমরা নাস্তিক হইছি। সারাদিন পুটকি মারা খাই, আর চরমানন্দ নিতে ধরমরে গাইল পারি। ধরমে বিশ্বাসীরা এমনিতে যা যা করে, আমরাও তাই তাই করি। কথা বলি, খাই দাই, হাগিমুতি, ঘুমাই। খালি ওরা নামাজ কালাম পড়ে, পুজা আরচা করে, চারচে যায়। আর আমরা হোগা মারা দিই। বললাম ধরমে বিশ্বাসী হইয়া তো শিবিরও এই কাম করে। উনি কইলেন- ওরা প্রতিক্রিয়াশীল। আমরা প্রগতিশীল হোগামারা খাওয়া পারটি।
শুইনা খুবই মায়া হইলো। ভুইলা গেলাম প্রিয় ব্যান্ডের ভক্ত দলে নাম না লেখানোর দুঃখ। তারপরও এতদূর আইলাম কামের কাম কিছুই হইলো না, ওইদিকে তানভীর ভাই নিশ্চয়ই ফায়ার হইতেছে। পরিচালক সাহেব জিগাইলেন- কি ঠিক করলেন? হবেন সদস্য। বললাম- আরেকটু ভাইবা দেখি। তবে পরীক্ষাটা দিয়া যাইতে চাই। উনি বললেন তথাস্তু। তারপর পয়সা টোকানোর স্টাইলে উবু হইলেন।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




