নুরুল ইসলামের সাহায্যে এগিয়ে আসুন
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Tweet
‘বাবা, তুমি কথা বলছো না কেন? কী হয়েছে তোমার? অফিসে যাও না কেন? অফিস থেকে আসার সময় তুমি কি আমার জন্য আর চকোলেট আনবে না?’ ছয় বছরের শিশুসন্তান ফাহিমের এমন হাজারো প্রশ্নে কাজী নুরুল ইসলাম (৩৬) অপলক তাকিয়ে থাকেন; কোনো উত্তর দিতে পারেন না! আড়ালে চোখের জল মোছেন! তিনি কীভাবে তাঁর প্রাণপ্রিয় ছোট্ট ছেলেকে বোঝাবেন−“দুটি কিডনিই আজ তাঁর অকেজো হয়ে গেছে। অফিসে যেতে বারণ। চিকিৎসকেরা বলছেন, ‘বাঁচতে হলে খুব শিগগির অন্তত একটি কিডনি প্রতিস্থাপন করতে হবে। টিস্যু পরীক্ষা করতে হবে, বি পজিটিভ রক্ত লাগবে।’ এর জন্য কত টাকা প্রয়োজন, কীভাবে বোঝাবেন ফাহিমকে!”
কাজী নুরুল ইসলাম প্রথম আলোর মূল কার্যালয়ের একজন নিবেদিতপ্রাণ কর্মী। তিনি ভোরের কাগজ-এ শুরু থেকেই কাজ করেছেন। প্রথম আলোর যাত্রা শুরুর প্রথম থেকেই সঙ্গে আছেন। মানুষের জন্য কিছু করার মানসেই তিনি সংবাদপত্র জগতে পা রেখেছিলেন। প্রথম আলোকে ভালোবেসে যেন দুখিনি মানুষের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করতে চেয়েছিলেন। হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে এখনো আশা করেন−‘আবার ফিরবেন মানুষের মাঝে। এখোনো তো তারুণ্যের কাল পেড়িয়ে যায়নি! এখোনো তো দেওয়ার আছে অনেক কিছু। সম্বিৎ ফিরে এলে দেখেন−এখন তো তাঁর নিজেরই প্রয়োজন।’ তবু বিশ্বাস করেন মানুষের ভালোবাসায়।
নুরুল ইসলামের স্ত্রী কাজী মাসুরা বলেন, ‘অফিস-পাগল ছিলেন তাঁর স্বামী। কিন্তু একমাত্র উপার্জনক্ষম সে মানুষটিকে এখন বিছানায় শুয়ে-বসে কাটাতে হয়!’ দুই ছেলে কাজী নাঈমুল ইসলাম (১০) ও কাজী ফাহিমকে (৬) নিয়ে অসহায় জীবন যাপন করা স্ত্রী মাসুরাও প্রায় বাঁকহারা।! তবু আশায় বুক বাঁধেন−‘সব হয়তো ঠিক হয়ে যাবে।’ আশায় বুক বাঁধা ছাড়া আর কী-ই-বা করার আছে একজন অসহায় নারীর!
প্রথম আলোর কর্মীরা নুরুল ইসলামকে বাঁচাতে ইতিমধ্যে তাঁদের এক দিনের বেতন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আরও চেষ্টা করা হচ্ছে। তাঁকে বাঁচাতে হলে প্রয়োজন প্রায় ২০ লাখ টাকা, যা তাঁর পরিবার আর আপনজনদের পক্ষে বহন করা সম্ভব নয়। সমাজের বিত্তশালী ও দয়ালু ব্যক্তিরা যদি এগিয়ে আসেন, তবেই হয়তো নুরুল ইসলামকে বাঁচানো সম্ভব, যিনি এখন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের কিডনি বিশেষজ্ঞ এ. এইচ হামিদ আহাম্মদের তত্ত্বাবধানে আছেন।
সাহায্য পাঠানোর ঠিকানা: কাজী নুরুল ইসলাম, সঞ্চয়ী হিসাব নম্বর ২০৭-২০০-২৪৫০৯, ঢাকা ব্যাংক লিঃ, কারওয়ান বাজার শাখা, ঢাকা। মোবাইল: ০১৭১৬৫৭৫৫৭৭।
মূল লেখা নেয়া হয়েছে Click This Link থেকে।
৩টি মন্তব্য ২টি উত্তর
আলোচিত ব্লগ
লালনের বাংলাদেশ থেকে শফি হুজুরের বাংলাদেশ : কোথায় যাচ্ছি আমরা?
মেটাল গান আমার নিত্যসঙ্গী। সস্তা, ভ্যাপিড পপ মিউজিক কখনোই আমার কাপ অফ টি না। ক্রিয়েটর, ক্যানিবল কর্পস, ব্লাডবাথ, ডাইং ফিটাস, ভাইটাল রিমেইনস, ইনফ্যান্ট এনাইহিলেটর এর গানে তারা মৃত্যু, রাজনীতি,... ...বাকিটুকু পড়ুন
আমেরিকার গ্র্যান্ড কেনিয়ন পৃথিবীর বুকে এক বিস্ময়
প্রচলিত কিংবদন্তি অনুসারে হাতে গাছের ডাল আর পরনে সাধা পোশাক পরিহিত এক মহিলার ভাটাকতে হুয়ে আতমা গ্র্যান্ড কেনিয়নের নীচে ঘুরে বেড়ায়। লোকমুখে প্রচলিত এই কেনিয়নের গভীরেই মহিলাটি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন
চুরি! চুরি! সুপারি চুরি। স্মৃতি থেকে(১০)
সে অনেকদিন আগের কথা, আমি তখন প্রাইমারি স্কুলে পড়ি। স্কুলে যাওয়ার সময় আব্বা ৩ টাকা দিতো। আসলে দিতো ৫ টাকা, আমরা ভাই বোন দুইজনে মিলে স্কুলে যেতাম। আপা আব্বার... ...বাকিটুকু পড়ুন
যেকোন বাংগালীর ইন্টারভিউর সময়, 'লাই-ডিটেক্টটর' যোগ করে ইন্টারভিউ নেয়ার দরকার।
আপনার এনলাকার এমপি, প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী কামাল সাহেব, যেকোন সেক্রেটারী, যেকোন মেয়র, বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান, বিএনপি'র রিজভী, আওয়ামী লীগের ওয়ায়দুল কাদের, আপনার থানার ওসি, সীমান্তের একজন বিজিবি সদস্য, ঢাকার... ...বাকিটুকু পড়ুন
তাবলীগ এর ভয়ে ফরজ নামাজ পড়ে দৌড় দিয়েছেন কখনো?
আমাদের দেশের অনেক মসজিদে তাবলীগ এর ভাইরা দ্বীন ইসলামের দাওয়াত দিয়ে থাকেন। তাবলীগ এর সাদামাটাভাবে জীবনযাপন খারাপ কিছু মনে হয়না। জামাত শেষ হলে তাদের একজন দাঁড়িয়ে বলেন - °নামাজের... ...বাকিটুকু পড়ুন