দার্জিলিং ভ্রমনের ওপর গতকাল লেখার পর অনেকেই অনুরোধ করেছেন বিস্তারিত লিখতে। তবে সেখানকার তরুনীদের নিয়ে কিছু বলা যাক, যা আমি দেখেছি। পাহাড়ের মেয়েরা সবাই যে তুখোড় সুন্দরী, তা নয়। তবে চেহারায় একটা কঠিন বা পাহাড়ি ভাব আছে। সাধারনত জিন্স ও গেঞ্জি ওদের প্রিয় পোশাক। অধিকাংশ মেয়েই স্লিম। অন্তত আমার চোখে কোনো মোটা মেয়ে আমি সেখানে দেখিনি। সেখানে অবশ্য প্রচুর বাঙ্গালি রমনী আছেন। তারা শাড়ি পরেন, তারা কিছুটা মোটা ধরনের, তাদের কথা আমরা বলছি না। দার্জিলিংয়ের মেয়েদের উচ্চতা মাঝারি, খাটোও আছে, যদিও আমাদের মানে বাঙ্গালীদের চোখে খাটো ধরা পড়ে না। কারণ মেয়েদের উচ্চতা আমরা সাড়ে ৫ ফুটের মধ্যেই চিন্তা করি। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হলো, সেখানকার কোনো মেয়েই খোপা করে না। চুলে তেল বা জেলি দেয় না। পিঠ গড়িয়ে কোমর ও হাটু অব্দি চুল অনেকেরই। ছেড়ে দেওয়া। বাতাস তাদের এলোচুল নিয়ে খেলা করে। দেখতে বেশ ভালো লাগে। আমার তো দারুণ লেগেছে।
এক বিকেলে রোপ ওয়ে, যা কি না সেখানকার ৭টা সাইট সিং' এর একটি। মৃদুমন্দ বাতাস। পাশে একটি দোকানের দিকে চোখ গেল। দুই তরুনী। বুঝতে অসু্বিধা হলো না তা মা ও মেয়ে। মেয়েটির বয়স ১৫, ১৬ বা ১৭ও হতে পারে। চোখে লাগার মত। আমি ওর কাছে একটা চিপস চাইলাম। ও সাড়া দিল না। ওর মা আমাকে চিপস দিয়ে ভিতরে গেল। তোমাদের এখানে জিসিপত্রের দাম খুব বেশি-- বলে মেয়েটিকে খেপাতে চাইলাম। কিন্তু হাসি ছাড়া কোনো জবাব পেলাম না। ফিরে এলাম আবার রোপ ওয়ের পাশে। কিছু্ক্ষণ ভাবলাম। আরেকবার ওর দোকানে যাওয়ার ইচ্ছে হলো। কিন্তু গেলাম না।
টাইগার হিল দেখতে গিয়ে কি কান্ড হয়েছিল, তা বলবো আরেকদিন।