কতদিন হলো, আমাদের কত ভাইকে আমাদের থেকে দূরে রেখেছে ওরা। দিন যায়,মাস যায় সঠিক হিসেবও এখন আর রাখা হয়না। দিনের শেষে বাসায় ফিরে দেখি , বরাবরের মতই খালি পড়ে আছে বিছানা,অযত্নে পড়ে আছে পড়ার টেবিল। প্রিয় মূখগুলোকে মিটিংয়ে পাইনা,ডাইনিং টেবিলেও নেই। নেই রাজপথের উত্তাল শ্লোগানেও। নব্য ফেরাউনের কারাগারে অতিবাহিত হচ্ছে তারুণ্যের সোনালী দিনগুলো। করাগারে দেখতে গেলেও সমস্যা। এক পলক দেখার জন্য তাকিয়ে থাকতে হয় কোর্টের দিকে।
কিন্তু একি ? গতকালও যিনি আমাদের সাথে মিছিলে ছিলেন, ছিলেন পুরোপুরি সুস্থ, এখন তিনি খুড়িয়ে খুড়িয়ে হাটছেন। হাতে ব্যান্ডেজ,পায়ে ডান্ডাবেড়ী।চোখ গুলো লাল টুকটুকে।গায়ে আঘাতের চিত্র।অনেককে দেয়া হয়েছে বৈদ্যুতিক শক। উপড়ে ফেলা হয়েছে হাত ও পায়ের নখ। চলছে অমানবিক ও অমানুষিক নির্যাতন। ওরা হাত ভেঙেছে,পা ভেঙেছে কিন্তু ভাঙতে পারেনি তাদের অটুট মনোবলকে। । তাদের উজ্জ্বল দিপ্যমাণ চেহারাই সে কথার প্রমাণ দেয়। ভোরের সোনালী সূর্যের মত আলো ছড়ানো সে হাসিই আমাদের সংগ্রাম চালিয়ে যাবার প্রেরণা।
বন্ধুরা ! প্রিয় ভাইদের এমন অবস্থায় দেখে মন খারাপ করার কোন কারণ নেই।আজ তারা তো কাল আমরা।লক্ষ্য পূরণের যাত্রায় এগুলো খু্বই স্বভাবিক। স্বপ্নকে সত্যে পরিণত করতে জেনেশুনেই এপথে নেমেছি আমরা । ..এখন সময় দীপ্ত পদে সম্মুখে পথ চলার, শিকল পরেই অত্যাচারীর শিকল ভেঙে ফেলার।..

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।






