২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় তারেক রহমানের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের খবর শুনে প্রথমে আশ্চর্য হয়েছিলাম। পরে ভেবে দেখলাম এতেই লাভ হয়েছে। এখন তাকে দেশে ফিরিয়ে এনে সাজা খাটানোর পথটি অন্তত খুলে গেছে। গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এমন মন্তব্য করেন সংবিধান প্রণেতাদের অন্যতম বিশিষ্ট আইনজীবী ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলাম।
তারেক বাবাজী হল আওয়ামী লীগের চোখের কাঁটা, তার প্রতিটি হাসি হুল হয়ে নেতাদের প্রতিটি স্নায়ু কোষে বেদনার উদ্রেক করে। এহেন ব্যক্তিকে আইনের আওতায় আনার পরও এবং আদালত, বিচারক পরিস্থিতি সব কিছুই হাতের মুঠোর মধ্যে থাকার পরেও কেন বেচারাকে ফাঁসি দেয়া হলনা - জাতির বিবেক তা জানতে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিল। ব্যারিস্টার আমীর তাঁদের কৌতূহল মিটিয়েছেন বলা চলে।
ফাঁসি দিয়ে দিলে হয়তোবা তারেক বাবাজী ব্রিটেন ছেড়ে কানাডায় আস্তানা গাড়তেন, তাতে কানাডার মানবতা আইনের ফাঁদে পড়ে আওয়ামী লীগকে চোখের পানি নাকের পানি এক করে কাঁদতে হত। যেমন ফাঁদে পড়েছে বঙ্গবন্ধুর খুনী নূর চৌধুরীকে দেশে ফেরানো নিয়ে। এবার যাবজ্জীবন দিয়ে রাখল। কেউ যাতে আর মানবতার সাফাই গাইবার সুযোগ না পায়। ফেরারি হিসেবে ওকে আগে দেশে আনো, তারপর অন্য মামলায় ফাঁসি কেন, রাগের জ্বালা না মিটলে প্রয়োজনে কুত্তা দিয়ে কামড়ে কামড়ে শরীরের মাংস খুলে নেয়া যাবে মনের শান্তির জন্য।
তবে দুঃখের কথা এই যে, আদালতের রায় এখন আর অন্যায়ের গুরুত্ব বুঝে হয়না, হয় পরিবেশ পরিস্থিতি আর সরকারের সুবিধা অসুবিধার গুরুত্ব বুঝে।
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১১:০৭