মূল পোস্টঃ
ঢাকায় কেউ আছেন ভাই যে আল্লাহর পথে খরচ করতে চান?
মানুষকে সাহায্য করতে চান কেউ আছেন?
কেউ কি এই সুযোগ গ্রহণ করতে চান যেন বলতে পারেন,
''হে আল্লাহ! তোমার সন্তুষ্টির জন্য তোমার দ্বীন শিক্ষার শিক্ষকদেরকে এতটুকু হলেও সহযোগিতা করার চেষ্টা করেছি এই অসিলায় মাফ করে দাও।''
মিলে মিশে একটু সহায়তার হাত বাড়াতে চান এমন কেউ আছেন?
ঢাকার প্রেসক্লাবের ওভার ব্রিজের উপরে তিন শতাধিক মাদ্রাসা শিক্ষক রাত কাটাচ্ছেন।
অতি সামান্য উপার্জনের শিক্ষক মানুষগুলো বেতন ভাতা বাড়ানোর জন্য আন্দোলন করছেন। অবস্থান করছেন প্রেসক্লাবের সামনে ।
ইসলামের দৃষ্টিতে এই আন্দোলন সঠিক না বেঠিক সেটা আমরা গবেষণা করতে যাচ্ছিনা । বাংলাদেশে অনেক ভালো কাজই আন্দোলন ব্যতীত আদায় হয় না ।
এখানে অনেক মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক পর্যন্ত আছেন। তারা অনেকেই অনাহারে বা অর্ধাহারে আছেন । শীতে কষ্ট করতেছেন।
টিফিনের পয়সা বাঁচিয়ে বিশালাকার পদ্মা সেতু বানানোর স্বপ্ন যে দেশের প্রধান মন্ত্রী দেখতে পারেন সেই দেশেরই একজন মুসলিম নাগরিক হিসেবে সেই টিফিনের পয়সার অধিকারীদের প্রতি আহবান মাদ্রাসা শিক্ষকদের জন্য কিছু টাকা সংগ্রহ করে কি চা নাস্তার ব্যবস্থা কেউ করতে পারেন?
আল্লাহকে সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে, ইসলামের প্রতি ভালবাসার খাতিরে ইসলাম প্রচারে সহযোগিতার উদ্দেশ্যেঃ
কয়েকজন চা ওয়ালা কে ডেকে পাঠিয়ে দেন সকলকে চা নাস্তা খাওয়াক।
কলা রুটি কিনে পাঠিয়ে দেন।
চাইলে কেউ হালকা ভাত বা বিরানির ব্যবস্থাও করতে পারেন।
খবরদার ভাই কেউ মনে করবেন না এটা দয়া দাক্ষিন্ন।
এগুলো দয়া নয় বরং এগুলো হচ্ছে সহযোগিতা মানুষকে। আর এই দয়া ওই শিক্ষক মানুষগুলোর উপরেও নয় বরং দয়া হচ্ছে নিজের উপরে। কারণ নিজেকে জাহান্নাম থেকে বাচানোর একটি পথ এটি।
দাম টা দিয়ে দেবেন ব্যাস হয়ে যাবে আল্লাহর পথে দান । মানুষের সেবা ।
কারণ কাল কেয়ামতে বলতে পারব, ''হে আল্লাহ! তোমার সন্তুষ্টির জন্য তোমার দ্বীন শিক্ষার শিক্ষকদেরকে এতটুকু হলেও সহযোগিতা করার চেষ্টা করেছি এই অসিলায় মাফ করে দাও।''
সাড়া দেওয়ার কেউ কি আছেন লক্ষ কোটি মানুষের মধ্য থেকে?
আমরা জানি খুবই নগন্য সংখ্যক এতে আগ্রহী হবেন আর দুই একজন হয়ত এগিয়ে যাবেন। তারপরেও আমরা আহবান করি এটা আমাদের ঈমানী দায়িত্ব। ভালো কাজে সামর্থের অভাবে নিজে না পারি অন্যকে উত্সাহিত করতে তো দোষ নেই।
কি বলেন???
খবরের লিঙ্কঃ View this link
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:২৩