ঢাকার রাস্তার যে অবস্থা সাইকেল ছাড়া যাতায়াত এর কথা আমি ভাবতেই পারি না। আর যারা পরিবেশ সচেতন আর যাদের মোটর-সাইকেল কিনার মত সামর্থ্য নাই তাদের (যেমন আমার) সাইকেল ছাড়া উপায় নাই।
গত দুই মাস আমি সাইকেল এ চড়ে ইউনিভার্সিটি তে যাই। আমার বাসা বনশ্রী তে আর ভার্সিটি মহাখালি তে। যেতে সময় লাগে ১৫-২২ মিনিট। নাই জ্যাম এ পড়ার চিন্তা, বাসে উঠার জন্য ধাক্কা-ধাক্কি, বিশাল লাইন, বাস মিস তো ক্লাস মিস এর চিন্তা। শান্তি শান্তি । মনের শান্তিও মুখ্য। বুড়া বয়স এ বাপ-দাদার মতন বাত রোগে ভুগতে হবে না, ভাবতেই কলিজায় এক ধরেনের শান্তি লাগে বইলা বুঝান যাবে না।
সাইকেল চালাইতে গেলে গাড়ি অয়ালাদের উপর মাঝে মাঝে মেজাজ গরম লাগে। এমন ভাব নেয় যেন পুরা রাস্তা তার দাদা তারে একলা গাড়ি চালানির জন্য গিফট করছে।
আমি চালাই চাইকেল। ট্রাক তো চালাই না।কিছু কিছু ড্রাইভার
আছে পিছন থেকে কানের কাছে আইসা হর্ন বাজায়। আরে সাইকেল রেও যদি হর্ন বাজাইয়া সাইড দিতে বলবি তাইলে আর গাড়ি কেন চালাবি? ঠেলাগাড়ি তে হর্ন লাগাইয়া ঠেলাগাড়ি চালা।
সাইকেল চালাইতে নিয়া রাস্তায় পড়ছি এই পর্যন্ত ২-৩ বার। ব্রেক বেশি কড়া সামনের-টা। ওই দিন চালাচ্ছিলাম বনশ্রীর মেইন রোডে। হঠাৎ মনে হইল আমার ফোন ভাইব্রেশন দিতাছে। ডান হাত টা রাখলাম পকেট এর উপর। অমনি সামনের রিকশা মারল ব্রেক। আমিও মারলাম। এক হাতে ধইরাছিলাম। তাই ধরছি সামনের ব্রেক। ব্যাস একটা সুন্দর ডিগবাজী খাইলাম সাইকেল সহ। হেলমেট মাথায় ছিল আল্লাহ বাচাইছে।
ঢাকাবাসী দের উদ্দেশে একটা কথা বলিঃ চায়না তে আমাদের দেশ এর তুলনায় অনেক বেশি মানুষ। তাদের আমাদের মত জ্যাম নাই। অন্যতম কারন সাইকেল এর ব্যাবহার।
যাই হোক সাইকেল নিয়া শুখেই আছি। আপনারাও সুখে থাকেন এই কামনায় আজকের মত বিদায়।