আমি প্রথমেই দুখিত। কারণ আমাদের বিচার ব্যবস্থা নিয়ে কথা বলছি। বলার ইচ্ছা ছিলো না। কিন্তু তারপরও বলতে বাধ্য হয়েছি। বর্তমান সময়ের আদালতগুলোর পক্ষপাতিত্বমূলক রায় নিয়ে বলছি। যেখানে বিরোধী দলের কেউ আইনের প্রয়োজন নেই ইচ্ছামতো আইন চলছে।
যেমন..........
১। কোকোর অপরাধে তার মা, স্ত্রী ও অবুঝ এতিম দুটি মেয়েকে আসামী করা।
২। সালাহ উদ্দিনের নিখোঁজের ঘটনায় হাইকোর্টে শুনানি হবে এপ্রিল মাসের ৮ তারিখ।
এছাড়াও এই দেশে এরকম নানা অসঙ্গতী রয়েছে। তা আমরা বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় দেখছি।
কোকোর অপরাধে তার মা, স্ত্রী ও অবুঝ এতিম দুটি মেয়ে আসামী
জাহেলি যুগে একজনের অপরাধের শাস্তি অন্যজন পেত। একজনের অপরাধে পুরো গোত্রকে দায়ী করে দীর্ঘ যুদ্ধে বিগ্রহে লিপ্ত থাকত। বর্তমান যুগে এটা ইতিহাসের পাতায় বিদ্যমান। কোথায় এই সিষ্টেম দেখা যায় না। ধর্ম আর অধর্ম কোন পন্থায়ই এই ব্যবস্থা চালু নেই।
আমার অপরাধের জন্য আমি দায়ী থাকব এবং এজন্য আমাকেই শাস্তি পেতে হবে আমার অপরাধে অন্য কেউ শাস্তি পাবার বিধান নেই। আমার অপরাধে আমকে যদি শাস্তি দেয়া হয় সেটাই তো আমার পিতা মাতেকে শাস্তি দেয়ার শামিল। আলাদা করে পিতা -মাতাকে শাস্তি দেয়ার প্রয়োজন নেই।
তাহলে কেন কোকোর মামলায় তার মা, স্ত্রী ও অবুধ এতিম দুটি শিশুকে আসামী করা হলো?
কোন কারণে জাহেলিয়াতকে ফিরিয়ে আনার জন্য। নাকি আওয়ামী লীগ মানেই জাহেলিয়াত এর প্রকাশ ঘটানোর জন্য। না বিরোধীদের জন্য কোন আইনের প্রয়োজন নেই।
আমিসহ সকল বাঙ্গালী এই মামলায় তাদের আসামী করা আদালতের স্বস্পূর্ত কাজ নয়। এটা কারো ইশারায় করা হয়েছে।
অর্থাৎ আদালত এখন আর স্বাধীন নেই। আজ তার পরাধীন।
সালাহ উদ্দিনের নিখোঁজের ঘটনায় হাইকোর্টে শুনানি হবে এপ্রিল মাস
আরেকটা অবাক হওয়ার বিষয় সালাহ উদ্দিন নিখোঁজ। তাকে পাওয়ার জন্য তার পরিবার হাইকোর্টে মামলা করলে। হাইকোর্ট রুলের শুনানি করবে ৮ই এপ্রিল।
যদিও এমন এখতিয়ার আদালতের আছে। কিন্তু এই এখতিয়ার কতটা জনবান্ধব এই প্রশ্ন সকল মহলের। সালাহ উদ্দিনের পরিবার আরো একটি ইলিয়াস আলী ঘটনা হওয়ার আশঙ্কা করছে। তাকে ফিরে পেতে ব্যকুল হয়ে সকলের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছে। কিন্তু আদালত এমন সময় এতো সময় নিয়ে কি করে ন্যায় বিচার দিতে পারবে?
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৩:২৬