অবাক হওয়ার কিছু নেই। বাস্তব সম্মত ঘটনা এটি। উত্তরসূরি হওয়ার জন্য তাদের বংশধরের কউ হবার প্রয়োজন নেই। তারা যে কাজ করেছে। ঠিক একই যে কাজ যে যারা করবে তারাই তাদের উত্তর সূরী হবে। যেমন আল্লাহর রসূল (স) এর উত্তরসূরী তার বংশের কেউ না। যারা তাকে অনুসরন করছে তারাই তার উত্তরসূরী। সুতরাং রসূল (স) এর নিদের্শিত পথে যারা চলবে তারাই রসূল (স) এর উত্তরসুরী।
তেমনি ভাবে যারা ফেরাউন, নমরুদ ও আবু জাহলরা যা করেছে ঠিক তা যারা করবে তারাই তাদের উত্তরসূরী বলে বিবেচিত হবে।
ফেরাউন, নমরুদ ও আবু জাহলরা যেভাবে দেশ শাষন করেছে
বর্তমান বাংলাদেশেও ঠিক তেমনি ভাবে তাদের উত্তরসূরীরা শাষন করছে।
মুসলীম সংখ্যাগরিষ্ঠ এই দেশে মুসলমানদের উপর করা হচ্ছে নির্মম অত্যাচার। যা ফেরাউন, নমরুদ, আবু জাহলরা করেছে। জামায়াত-শিবিরকে নির্মূল করার নামে এই উত্তরসূরীরা ইসলামে অনুগত মুসলমানদের উপর চালাচ্ছে নির্যাতনের স্ট্রিম রোলার। যা ফেরাউন, নমরুদ, আবু জাহলদেরও ছাড়িয়ে গেছে।
আলেমদের উপর বেশি নির্যাচন চলছে। যারা আগে বা পরে ইসলামের পক্ষে শক্ত কথা বলতো তাদেরকে সাজানো নাটকমঞ্চাস্থ করে ঠুনকো অভিযোগে ফাঁসি দিচ্ছে আবু জাহলের নাতি পুতিরা।
আর যাদের বিরুদ্ধে এই যুদ্ধাপরাধ নামক নাটক সাজাতে পারছেন না। তাদেরকে দিচ্ছে ক্রসফায়ার বা সরাসরি গুলি করে হত্যা করছে।
যেভাবে ফেরাউন, নমরুদ ও আবু জাহলরা মানুষের উপর অত্যাচার নির্যাতন করতো।
শাহবাগ আন্দোলন নামে কপিপয় পথভ্রষ্টরা আল্লাহ ও তার রসূল (স) কে নিয়ে কটুক্তি করছে নানা নামে বেনামে। এর প্রতিবাদ হেফাজতে ইসলাম নামে একটি সংগঠন এদের বিচার দাবি করলে। রাতের আধারে গুলি করে হাজার হাজার লোককে হত্যা করেছে ফেরাউন, নমরুদদের উত্তরসূরীরা।
এই হত্যাকান্ডের প্রতিবাদে যারা কলম ধরেছিলো তাদেরও জেলে পুরে রেখেছে বর্তমান সরকার।
আর মিডিয়া নির্লজ্জভাবে এই সরকারের পা চাটছে।
এখন মোদ্দাকথা হলো ফেরাউন, নমরুদ, আবু জাহলরা যাদের উপর অর্থাৎ ইসলামের উপর নির্যাতন চালাতো ঠিকই। সময়ের পরিক্রমায় তারা হারিয়ে গেলেও হারিয়ে যায়নি সত্য ধর্ম ইসলাম।
যুগ যুগ ধরে সত্যবাদিরা জয়ী হয়ে এসেছে এবারো ঠিক জয়ী হয়ে আসবে তাতে কোন সন্দেহ নেই। কিন্তু ফেরাউন, নমরুদদের উত্তরসূরীরা নিজেরা নিজেদের ধ্বংস করছে। যা তারা বুঝতে অক্ষম।
(বিঃ দ্রঃ চেতনাধারীরা চেতনায় গুতা খাইলে কর্তৃপক্ষ দায়ী নহে)