সন্তান প্রসবের পূর্ব মুহূর্তেও নারী শ্রমিক হামিদা আক্তারকে ছুটি দেয়নি ওই কারখানার সুপারভাইজার মো. রতন মিয়া ।
অন্তঃসত্ত্বা হামিদা আক্তার প্রসব বেদনায় অস্থির হয়ে সুপারভাইজার রতনের কাছে ছুটি চাইলেও রতন ছুটি না দিয়ে উল্টো তাকে মনোযোগ সহকারে কাজ করতে বলেন। এক পর্যায়ে হামিদা আক্তার প্রসব বেদনা সহ্য করতে না পেরে কারখানার টয়লেটের ভেতরে গিয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়েন। সেখানেই একটি সন্তান প্রসব করেন ওই নারী শ্রমিক হামিদা। প্রসবের পর মাকে বাঁচানো গেলেও ভূমিষ্ঠ নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে।
শনিবার দুপুরের দিকে গাজীপুরের কালিয়াকৈরে অ্যাপেক্স ফুটওয়্যার কারখানায় এ ঘটনা ঘটে।
কারখানার অন্য শ্রমিকরা জানান, কালিয়াকৈর উপজেলার ওই কারখানার লাস্টিং সেকশনে কাজ করেন নারী শ্রমিক হামিদা আক্তার। তিনি অন্তঃসত্ত্বা থাকায় গতকাল দুপুরে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তিনি কারখানার লাস্টিং সেকশনের সুপারভাইজার মো. রতন মিয়ার কাছে ছুটির আবেদন করেন।
কিন্তু তাকে ছুটি না দিয়ে মনোযোগ দিয়ে কাজ করতে বলেন ওই কর্মকর্তা। এক পর্যায়ে অবস্থার অবনতি হলে তিনি কারখানার ভেতরের একটি টয়লেটে যান। সেখানে যাওয়ার পর তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়েন ও বাচ্চা প্রসব করেন।
পরে মা ও নবজাতককে উপজেলার সফিপুর মর্ডান হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক নবজাতককে মৃত ঘোষণা করেন। সূত্র- ১০ মে’র অনলাইন পত্রিকা সমূহ।
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই মে, ২০১৫ সকাল ১১:৩৭