মনটা অস্থির। ধর্মগুরু ও রাজনৈতিক নেতাদের উপর মেজাজটা বিগরে রয়েছে জঙ্গি হামলার পর থেকেই। মৃত জঙ্গিদের বয়স আমিও পার করে এসেছি। আমিও হিরো হতে চেয়েছিলাম। তখন জিয়ার আমল পৃথিবীর তাবত কর্ম শেষ করে নতুন কিছু করবার বাসনায় ধর্ম উদ্ধারে নিজেকে বিলিয়ে দেব বলে সিদ্ধান্ত চুরান্ত হল। সংগঠন হিসাবে বেছে নিলাম ইয়াং মুসরিম সোসাইটি নামের ততকালিন একটি ইসলামি যুব সংগঠন। র্নিদিধায় যোগ দিলাম। অনেকটা ওয়াই এম সি এর আদলে গড়া। এর তৎকালীন প্রানপুরুষ ছিলেন মিছবাহুর রহমান চৌধুরী/সরকার সর্মথিত ইসলামি ঐক্যজোটের বর্তমান ধর্মিও ষাঢ়। এই মিছবাহুর রহমান চৌধুরীকে খুব কাছ থেকে দেখার র্দুভাগ্য আমার হয়েছিল। তার ভন্ডামি নারী নক্ষত্র সব যখন আমার নখদর্পনে এল ঠিক তখনি সে তার নেত্রিত্ব বাচাতে আমাদের এলাকা পরিত্যাগ করে পল্টনে অফিস সড়িয়ে নিল। এর মধ্যেই আমি তার সর্ম্পকে বিস্তারিত তথ্য/উপাত্ত সংগ্রহ করে ফেলেছিলাম। মিছবাহুর রহমান চৌধুরী তার শিক্ষাগত যোগ্যতা বলতে গিয়ে বলতেন তিনি ব্যারেষ্টারি পড়ছেন লন্ডনে। কিন্তু প্রমান হিসাবে কোন প্রকার কাগজ বা বিশ্বাস করা যায় এমন কোন তথ্য বা উপাত্ত তিনি কোন দিনই উপস্থিত করতে না পেরেই তিনি পলিয়ে বেচেছিলেন। অগত্যা আমাকে সংগঠনের মুল অংশ থেকে সরিয়ে দেয়া হল একটু বেশী বুঝতে চাওয়ার কারনে। তবু্ও আমি যতটুকু তার সর্ম্পকে জানতে পেরেছিলাম তাই ছিল আমার জন্য যথেষ্ট। তিনি মুক্তিযুদ্ধের নয়মাস সিলেট জেলায় রাজাকার বাহিনীতে কর্মরত ছিলেন। শেখ হাসিনার এই হুজুর হেন আকাম কুকাম নাই যা তিনি নিজে ও তার ফলোয়ারদের দিয়ে করান নাই। বিপাকে পরলেই তিনি নবীজিকে স্বপ্নে দেখে ফেলতেন ও ধর্মিও আলোচনায় মশগুল হয়ে যেতেন। যাতে কেউ আর কোন প্রশ্ন উত্থাপন না করতে পারে। তার পুরা জীবনটাই চিটিং শিল্পের উপর প্রতিষ্ঠিত। লোক ঠকানোই ছিল তার প্রধান ব্যাবসা। বর্তমান বাংলাদেশের বাস্তবতায় ধর্মগুরু ও রাজনৈতিক নেতাদের প্রকৃত ছবি অনেকটা এইরকম। সেই যে ধর্ম উদ্ধারের পাগলামিটা আমার মাথা থেকে বিদায় নিল আর কোনদিন তা ফিরে আসেনি। কিন্তু মিছাবাহুর রহমান শয়তানটা র্ধামিক সেজে সবাইকে গোলের পর গোল দিয়ে যাচ্ছে।
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ১:১১